আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলে শিক্ষাদানের জন্য অনেক বিদেশি লেখকদের বই পড়ানো হয়। এই সকল বই এর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয় অনেক ক্ষেত্রে কেনা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এই সকল বই এর গ্রন্থসত্ব সংরক্ষিত থাকে এবং বিনা অনুমতিতে এগুলো কপি করে বিতরণ( ডিজিটাল pdf, ফটোকপি ইত্যাদি ) নিষিদ্ধ থাকে। বাংলাদেশে কপিরাইট আইনের তেমন প্রয়োগ না থাকায়, এ সকল বই অহরহ বিভিন্ন দোকানে ফটোকপি করে অনেক কম দামে পাইরেটেড কপি বিক্রি করে। দাম কম হওয়ার শিক্ষার্থীরাও সাধারণত এই ফটোকপি বই গুলো কিনে থাকে। ফলে বইয়ের প্রকাশক,লেখকগণ এই বিক্রির লাভ থেকে বঞ্চিত হন। একসময় কিছু ব্যবসায়ী এ বই গুলো আমদানি করে নিয়ে আসতো কিন্তু পাইরেসির হিড়িকে আসল বই এর ক্রেতা খুব কম হয়ে যাওয়ায় আমদানি করাও অনেক কমে যায়। ফলে অনেক আসল বই দেশের বাজারে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এগুলোর অনুমোদিত pdf কেনা যায়, কিন্তু অনেকের কাছে সেখানে মূল্য পরিশোধের মাধ্যম ( যেমন- Debit card, Master কার্ড) এগূলো থাকে না। এমতাবস্থায়, আসল বই না পাওয়া গেলে পাইরেটেড কপি পড়া জায়েজ হবে কি? এখন অনুমোদনহীন কপি পড়ে পরর্বতীতে যদি ওই বই এর আসল কপি কেনার সূযোগ, সামর্থ্য আসে তখন ওটার প্রয়োজন না থাকলেও আসল কপি কিনে লেখকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে কিনা?
এক্ষেত্রে লেখক যদি নন-মুসলিন হন ও নন-মুসলিম দেশের নাগরিক হন এক্ষেত্রে অনেকে বলেন তাদের জান-মালের নিরাপত্তা শরীয়ত দেয় না। তাই তাদের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ। কিন্তু এখানে আমার মনে হয় আমরা তো তাদের সাথে জিহাদ করছি না আর আমাদের দেশেও ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম নেই। আর এই সকল দেশের সাথে আমাদের দেশ জাতিসংঘের মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ। আর তাদের সাথে আমরা নিয়মিত ব্যবসায়ীক লেনদেন করছি। তাদের কাছে পণ্য রপ্তানি করছি, তাদের থেকে আমদানীকৃত পণ্য টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করছি। এক্ষেত্রে তাদের হারবী কাফির বলা যাবে কিনা? এ ধরণের কাফিরদের ব্যাপারে আমাদের শরীয়ত কি ধরণের নির্দেশনা দেয় তা পরিষ্কার করলে উপকৃত হব।।
জাযাকাল্লাহ্ খাইর।