আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১৮৬৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কয়েকদিন আগে আমাদের মাদরাসা সংলগ্ন মহল্লার মসজিদের জায়গা মাপা হলে দেখা গেল, মসজিদের অনেক জায়গা পাশের এক বিত্তবান প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির ভেতর চলে গেছে। তিনি আমাদের মাদরাসায় প্রচুর পরিমাণ দান করে থাকেন এবং মসজিদের প্রয়োজনীয় খরচও বহন করে থাকেন। তাকে জানানো হলে তিনি বললেন, মসজিদের যে পরিমাণ জায়গা তার বাড়ির ভেতরে চলে গেছে তা তাকে বিক্রি করে দিতে বা এর পরিবর্তে অন্য কোনো জায়গা নিয়ে নিতে।  

জানার বিষয় হল, এ অবস্থায় মসজিদের জায়গা তার কাছে বিক্রি করা বা অন্য আরেকটি জায়গার সাথে বদল করা জায়েয হবে কি? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।  

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#৫৪৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একটি জেনারেল (সুদী) ব্যাংকে প্রায় ৯ বছর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছি এবং এ সময়ে প্রাপ্ত বেতন-বোনাস দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করেছি। পরবর্তীতে একসময় ‘সুদী ব্যাংকে চাকরি করা বৈধ নয়’ এ মাসআলা জানার পর সুদী কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে নিজের মাঝে অনুশোচনা জাগে। ফলে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন অন্য একটি চাকরিতে যোগদান করেছি।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, আগের চাকরির বেতন-বোনাস দিয়ে যে গাড়ি-বাড়ি করেছি তা আমার জন্য বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে আমার এখন করণীয় কী? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৮১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি, আর্সিম গেট সংলগ্ন বাজারে আমার একটি মুদি দোকান আছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারাই এখানের সাধারণ ক্রেতা। তারা সারা মাস প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাকিতে নেয় এবং মাস শেষে বেতন পেয়ে মূল্য পরিশোধ করে। তাদের অন্য কোনো আয় আছে কিনা আমার জানা নেই। শুধু এতটুকু জানি যে, বেতন পাওয়ার পর তারা আমাদের ঋণ আদায় করে। এখন আমার জানার বিষয় হল, তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা এবং মাস শেষে আমাদের ধারণামতে ব্যাংকের বেতন দিয়ে পণ্যের পরিশোধিত মূল্য গ্রহণ করা বৈধ হবে কি? যদি বৈধ না হয় তাহলে কীভাবে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করব? সুন্দর সমাধানে আপনাদের সুমর্জি কামনা করছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার একটি বিষয় জানার খুবই প্রয়োজন। যেহেতু হালাল বা হারামের বিষয় তাই মেহেরবানী করে সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।

বিষয়টি হল, আমি একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট। আমি এখানে মানুষকে দিয়ে ডিপিএস করাই। কোম্পানি তা থেকে আমাকে কিছু কমিশন দেয়। আমার জানার বিষয় হল, এখান থেকে যে টাকা পাই তা কি হালাল হবে? আর যদি হালাল না হয়, তাহলে আমি কি এই টাকা মসজিদ-মাদরাসা বা অন্যান্য সেবামূলক কাজে খরচ করতে পারব? আমি কি চাকরিটা চালিয়ে যা পাই তা যদি এইভাবে ব্যয় করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কি আমি দায়মুক্ত থাকব। আর যাদেরকে দিয়ে ডিপিএস করাই তাদের কাছে কি দায়ী থাকব? কেননা ডিপিএস করার এক বছরের ভিতরে ভাঙলে ডিপিএসকারী কোনো টাকাই পাবে না। এমনকি এক বছর পরে ভাঙলেও ডিপিএসকারীর কিছু লস হয়। যদিও আমি গ্রাহকদেরকে এই বিষয়গুলো জানিয়ে ডিপিএস করিয়ে থাকি।

মুফতী সাহেবকে আর একটু জানিয়ে রাখি, আমি আমার এলাকার এক আলেম থেকে জানতে পারি যে, আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংক-বীমার কার্যক্রম হারামের ভিতরে পরে। তারপর আমি আমার ম্যানেজারকে বলি যে, স্যার এই চাকরি করা তো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তখন সে আমাকে ড. জাকির নায়েকের একটি ভিডিও দেখায়; সেখানে তিনি বলেন, ইন্সুরেন্স করা যাবে না- এরকম কথা কুরআনের কোথাও লেখা নেই। তবে তিনি বলেছেন, যেখানে সুদ আছে সেখানে কখনোই মুমিন যেতে পারে না।

তাই মুফতী সাহেবের কাছে আমার আকুল আবেদন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শরীয়তের দলীল দ্বারা দিলে আমি অনেক উপকৃত হব এবং হারাম থেকে বাঁচতে পারব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০