আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৭১৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১.মুহতারাম, আমি ব‍্যক্তিগভাবে হানাফি মাজহাব ফলো করি। কোনো এক কারণে আমি আহলে হাদিসদের মসজিদে এক দিন আসরের নামাজ পড়েছি। তখনো হানাফি মাজহাবে নামাযের ওয়াক্ত হয়নি। এখন আমার নামাজ হবে?২. ফরজ নামাজে ইমাম যদি বৈঠকে দুই সেজদার মাঝখানে শুধুমাত্র আল্লাহুম্মাগ ফিরলি এতটুকু দোয়াটি পড়ে কোনো সমস‍্যা হবে। ৩. আমি নামাজে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাই। হানাফি মাজহাব মতে কি আমার নামাজে কোনো সমস‍্যা হবে?জাযাকাল্লাহু খাইরান।,

১৮ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




১.
যেহেতু এ বিষয়ে আমাদের ইমামদের মাঝেই মতভেদ হয়ে গেছে। তাই ফক্বীহগণ বলেন, উত্তম ও সতর্কতা এটাই যে, বস্তুর ছাড়া দ্বিগুণ হওয়ার আগে আসরের নামায পড়বে না। তবে যদি কেউ পড়ে নেয়, তাহলে মতভেদ থাকার কারণে নামাযকে বাতিল বলা যাবে না। বরং সহীহ হয়ে গেছে বলেই ধর্তব্য হবে।

তাই ফিতনার আশংকা না হলে আলাদা পড়া উত্তম। তবে ফিতনার শংকা হলে এক সাথে পড়া যাবে।

قال المشائخ: ينبغى أن لا يصلى العصر حتى يبلغ المثلين، ولا يؤخر الظهر إلى أن يبلغ المثل ليخرج من الخلاف فيها، (الحلبى الكبير، كتاب الصلاة، بحث فروع فى شرح الطحاوى-227، رد المحتار، كتاب الصلاة-1/359، البحر الرائق، كتاب الصلاة-1/425-426، حاشية الطحطاوى على الدر المختار، كتاب الصلاة-1/173)

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَا أُخْبِرُكَ، صَلِّ الظُّهْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ.وَالْعَصْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ (1) مِثْلَيْكَ.

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, আমি তোমাদের জানাচ্ছি যে, যখন তোমার ছায়া তোমার সমান হয়, তখন যোহরের নামায পড়, আর যখন তা দ্বিগুণ হয়, তখন আসরের নামায পড়। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২, ৯, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২০৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২১৭৩৪}
২.
আর আপনার দুআর ব্যাপারে মাসিক আল কাউসারে বলা হয়েছে , "সুনানে নাসায়ীতে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে "রাবিবগফিরলী, রাবিবগফিরলী" দুআটি পড়ার কথা এসেছে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে তা পড়তেন।-সুনানে নাসায়ী ১/২৯। আবার কখনো তিনি এ দুআটিও পড়তেন- اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৮৫০ ফযীলতপূর্ণ এ দুআগুলো ইমাম-মুকতাদী সবার জন্য নফল-ফরয সব নামাযেই পড়া উত্তম।
৩. হাত উঠানোর ক্ষেত্রে বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি বরাবর থাকবে এবং উভয় হাতের তালু কিবলামুখি থাকবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৭৫৮০৯

প্রথমে কেরাত শুদ্ধ পড়ে পরে ভুল পড়লে নামায হবে?


২০ অক্টোবর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৬২৫১৬

নামাযীর বরাবর সামনে থেকে সরে যাওয়ার হুকুম।


২৮ মে, ২০২৪

Panchapukur

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৭১৭০৩

মাগরিব পড়ে সৌদীগামী বিমানে আরোহণ


৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Chinarang

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৬৫১৬

জুমার নামাজে ওয়াজিব ছুটে গেলে করণীয়


৫ জুলাই, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy