আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দল বেঁধে পাত্রি দেখা কি জায়েজ?

প্রশ্নঃ ১৩২২৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বিয়ের জন্য পএী দেখতে আসলে, পাএীকে, দেখতে পরবে, ছেলে, ছেলেরবাবা, আর মুমিন নারীরা, বর মেয়ের পরিবারের মাহরাম পুরুষ বাদে, বাকি সব মানুষ যারা উপস্থিত থাকবে তাদের সামনে দেখা দেওয়া যাবে...? ধরুন ছেলের মামা, ছেলের ভাই। আমার প্রশ্ন হলো এখানে এই দেখাদেখি করার সময়, দেখা দেওয়ার কী বিধান আছে...???? এটার কী কোন পর্দার লঙ্ঘন হবে। প্রশ্নটি কুরআন হাদীসের আলোকে চাই যদি থাকে।

১৬ মে, ২০২৪
কুমিল্লা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


বিয়ের পূর্বে পাত্রের বাবার জন্যও পাত্রি কে দেখা হারাম।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের আগে পাত্রীকে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই শর্ত সাপেক্ষে দেখতে পারবে। সেই শর্তগুলো হলো—এক. পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পক্ষের কোনো পুরুষ, যেমন—বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ থাকতে পারবে না। তাদের পাত্রী দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ। দুই. পাত্র-পাত্রী একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।


কিন্তু একে অন্যকে স্পর্শ করতে পারবে না। তিন. পাত্রীর শুধু কবজি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা ও মুখমণ্ডল দেখা পাত্রের জন্য বৈধ। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ আবরণ ছাড়া দেখতে পারবে না। চার. নির্জনে পাত্র-পাত্রীর একত্র হওয়া বৈধ নয়। সুতরাং যেখানে পাত্রের জন্যই এত শর্ত রয়েছে, সেখানে ‘ অন্ন কোন গায়রে মাহরাম পুরুষ পাত্রী কে দেখার তো প্রশ্নই আসে না। এমনকি পাত্রের প্রকৃত পিতার জন্যও বিয়ের আগে তার হবু পুত্রবধূকে দেখা বৈধ নয়।
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾حرمت علیکم امهتکم و بنتکم و اخوتکم و عمتکم و خلتکم و بنت الاخ و بنت الاخت و امهتکم التی ارضعنکم و اخوتکم من الرضاعۃ و امهت نسائکم و ربائبکم التی فی حجورکم من نسائکم التی دخلتم بهن ۫ فان لم تکونوا دخلتم بهن فلا جناح علیکم ۫ و حلائل ابنائکم الذین من اصلابکم ۙ و ان تجمعوا بین الاختین الا ما قد سلف ان الله کان غفورا رحیما ﴿ۙ۲۳﴾
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা, আয়াত : ২৩, তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪)

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর