আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দেবর ভাসুর ননদজামাইর সাথেও পর্দা জরুরী

প্রশ্নঃ ২৩৬৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার শশুর বাড়িতে আমার বাসুর,দেবর থাকে। আমি তাদেরকে দেখলে আড়াল হইলেও তারা হয় না। এবং আমার শাশুড়ি বলে যে (দেবর ভাবি এক সাথে ভাই বোনের মতো থাকবে, ভাবি দেবরের সামনে যায় না) আমি জেনারেল লাইনের ছিলাম আমার হাসবেন্ড মসজিদের মুয়াজ্জিন সে আমাকে বলেছে যে আমি যেন তাদের সামনে না যাই। কিন্তু আমার শশুর শাশুড়ী এটা তেমন মন থেকে চায় না। আমার মনে হয় আমার পর্দা ঠিক মতো হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমি কী করবো। বা আমার হাসবেন্ডকে যদি বলি আমাকে আলাদা পর্দা করতে পারবো এমন জায়গায় রাখতে। শশুর শাশুড়ীকে তাদের খরচ দিযে দিতে তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে কিনা। বা আমার হাসবেন্ডের কি করা উচিৎ? ।

২১ জানুয়ারী, ২০২৫
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী বোন!

আল্লাহ তায়ালা আপনার হিম্মত, সাহস ও হিকমাহ আরো বাড়িয়ে দিন। এগুলো প্রয়োগ করে আপনি নিজেও দীনের পথে এগিয়ে যান এবং পরিবারস্ত সকলের জন্য একজন আদর্শ ও দীনদার স্ত্রী, বধু এবং নারী, হিসেবে নিজেকে পরিচালিত করুন। আপনি এখানে আপনার শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা উল্লেখ করেছেন। তারা যেগুলো বলেছেন শরীয়তের দৃষ্টিতে সেগুলোই গুনাহের কাজ। হাদিস শরীফে রাসুলুল্লাহ সা দেবীকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করে নারীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় দেবর-ভাবির মিশ্রণের ফলে পরকীয়াসহ নানাবিধ সমস্যা ও পাপাচার সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই আপনিও কিছুতেই দেবর-ভাসুরের সাথে দেখা সাক্ষাত করবেন না। তাদের আপনার চেহারা প্রদর্শন করা কিংবা আপনি তার চেহারা দেখা কোনটাই জায়েজ হবে না। তবে কখনো যদি অনন্যোপায় অবস্থার সম্মুখীন হোন তাহলে পর্দর আড়াল থেকে কোমলতা পরিহার করে সংক্ষিপ্তাকারে প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলতে পারবেন।

আপনার জন্য আমাদের দৃষ্টিতে করণীয় হলো,
১. আপনি পূর্ণ পর্দার সাথে চলুন। এই ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ!!
১. ঘরে তালিমের ব্যবস্থা করুন। তার জন্য আকামে জিন্দেগী , আহকামুন নিসা এবং তালিমুন নিসা ইত্যাদী উত্তম বই হতে পারে। নিজেও ইমানিয়াত ও ইসলামিয়াত সম্পর্কে পড়া-শোনা করুন। সেগুলো বিশেষত শাশুড়ীর সাথে শেয়ার করুন।
২. শ্বশুর-শাশুড়ীকে সম্ভব হলে ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মাসতুরাতের জামাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
৩. ঘরে পরিবেশ কায়েমের জন্য নিয়মিত দোয়া ও সদকা করুন।
৪. উপরোক্ত বিষয়গুলো অবলম্বনের পরও যদি কোনো ফল না হয় তবে আপনার স্বামীকে বলুন তার সাধ্যের মধ্যে যেন তিনি পর্দার সাথে আপনার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। তবে আগে উপরের বিষয়গুলো দিয়ে চেষ্টা করুন। এর জন্য হয়তো কিছুটা সময় লাগবে তবে সেটার ফলাফল চিরস্থায়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
পর্দা -হিজাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর