আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নারীদের জন্য মাহরাম

প্রশ্নঃ ২৬৯৬৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নারীদের জন্য মাহরাম পুরুষ ও গায়ের মাহরাম পুরুষ কারা ? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো

২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
West Bengal ७००००७

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নারীর জন্য মাহরাম : নারীরা যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন, তারা হলেন-১. দাদা২. বাবা৩. ভাই৪. শ্বশুর৫. স্বামী৬. ছেলে৭. নাতি৮. চাচা৯. ভাই/বোনের ছেলে (ভাতিজা/ভাগিনা)১০. নানা১১. মামা

নারীর জন্য গায়ের মাহরাম : নারীরা যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন না; তারা হলেন-১. মায়ের খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই২. চাচাতো ভাই৩. দুলাভাই (বোনের স্বামী)৪. বাবার খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুপাতো ভাই৫. ফুফুর স্বামী (ফুফা)৬. ফুফাতো ভাই৭. খালাতো ভাই৮. মামাতো ভাই৯. ননদের ছেলে১০. শ্বশুর/শাশুড়ির ভাই (চাচা শ্বশুড়/মামা শ্বশুড়)১১. দেবর/ভাসুর (স্বামীর ছোট ও বড় ভাই)১২. ননদের স্বামী (স্বামীর ছোট বোনের স্বামী)১৩. স্বামীর খালাতো/চাচাতো/মামাতো/ফুফাতো ভাই১৪. স্বামীর দুলাভাই (স্বামীর বড় বোনের স্বামী)১৫. ছেলের শ্যালক (ছেলের স্ত্রীর ছোট ভাই)১৬. ছেলে/মেয়ের শ্বশুর১৭. খালার স্বামী (খালু)

তবে উপরে উল্লেখিত এসব নারী-পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ ও হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোরআনুল কারিমের একটি আয়াতে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাহলো-حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًاতোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজিদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সঙ্গে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোনো পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র (বিয়ে) করা (তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা : আয়াত ২৩)

والله اعلم بالصواب

মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর