আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১৩৬০৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন?
আমি একটি হোটেলে কাজ করতাম এবং কাজ করার কয়েক মাস পর আমি হোটেল থেকে বাড়ি আসার সময় আমি আমার মাসের বেতন চাইলাম ম্যানেজার তা আমাকে অধেক মাসে বেতন দিলো কিন্তু আমি পেতাম পুরো এক মাসের বেতন
আর একটা কথা হোটেলে কাজ করার পূর্বে আমাকে দুই সেট ইউনিফর্ম দিয়েছিলো কিন্তু আমাকে অধেক মাসে বেতন না দেওয়ার কারণে আমি দুই সেট ইউনিফর্ম নিয়ে আসি বাড়িতে এবং ওই ইউনিফর্ম পরে আমি কাজ করে টাকা ইনকাম করি
আমার প্রশ্নঃ
ওই টাকা হালাল ইনকাম হবে না হারাম ইনকাম হবে
উত্তর জন্য আমি অপেক্ষায় রহিলাম ?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
Maharashtra ৪১২১১৪
#১৩২৩২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।।।
শাইখ আমি জেনারেল শিক্ষিত একজন ছাত্র, মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ আমার হয় নাই, আমার পরিবারের সদস্য চারজন তার মধ্যে আমার বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন আমি কলেজে অধ্যায়নরত আছি, আমার মা বাবা আমার জন্মের আগে অনেক কষ্ট করে সংসার চালিয়েছেন এরকম আমি তাদের থেকে শুনেছি। তারপর তারা আর এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কারো বুদ্ধি শুনে হারাম উপার্জনের দিকে ধাবিত হয়। এভাবে চলতে থাকে । এরপর আমি যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম এবং বুঝতে পারলাম যে তারা এই কাজ করে। তখন আমি তাদের মানা করতে শুরু করলাম। কিন্তু প্রথম প্রথম আমি বুঝিনাই যে ব্যাপারটা এত গুরুতর । এই জন্য আমি তাদেরকে সেই ভাবে গুরুত্বারোপ করিনি। এবং তারাও আমার কথায় অতটা গুরুত্ব দেয়নি। এভাবে চলতে থাকে, সময়ের সাথে সাথে আস্তে আস্তে আমার কাছে ব্যাপারটা আরোও স্পষ্ট হতে থাকে। আমি তাদের মানা করি কিন্তু তাদের যুক্তির কাছে আমি হেরে যাই, অবশ্য আমার মানা করাতেও যথেষ্ট হেকমতের অভাব ছিল। তাই হয়তোবা কাজ হয়নাই, আল্লাহই ভালো জানেন।। তারপর আমার বয়স আরো বাড়তে লাগলো এবং ব্যাপারটা আমার কাছে আরোও বেশি গুরুতর হয়ে উঠলো এবং আমি আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইতে শুরু করলাম।। এরপর লেখাপড়ার দরুন আমাকে বাহিরে আসতে হলো। এখন আমি অনুপ্রাণিত হতে লাগলাম বিভিন্ন স্কলারদের কথা শুনে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি দয়া করে আমার জন্য একটা হালাল উপার্জনের ব্যাবস্তা করে দেন।
আলহামদুলিল্লাহ।।।
এখন আমি আমার মা বাবা কে নিষেধ করতেছি হারাম উপার্জন ছেড়ে দিতে এখন তারা অবশ্য আমার কথা শুনে, কিন্তু এখনো সুদ ছেড়ে দিতে পারেনি। আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসে , আমিও তাকে ভালবাসি। আমার মা এই কাজ ছেড়ে দিতে চায় কিন্তু আমার বাবার কারনে পারেনা। আমার বাবা এখন বিভিন্ন অসুখে ভোগেন তবে ওনাকে দেখে মনে হয় সুস্থ সবল মানুষ। উনি এখন কোনো কাজ করতে চান না । উনি কোনো কাজ করতে সাহসি পাননা । এজন্য এই অবৈধ কাজের হিসাব নিকাশও আমার মায়ের দ্বারা করায় । আমার মা আর কিছু বলতে পারে না । আমাকে যখন এই ব্যাপারে বলে তখন আমিও কিছু বলতে পারি না। এখন তারা দুজনই নামাজ পড়ে । তারাও শিকার করে ব্যাপারটা অনেক খারাপ কিন্তু তাদের অজুহাত যে তারা তো অভাবের কারণে এসব করতেছে , না হলে কি করে খাবে । এখন তারা চেষ্টা করতেছে এই কাজ ছাড়ার কিন্তু এখনো ছাড়েনি। এদিকে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা আমাকে যে কাজের ব্যাবস্তা করে দিয়েছে তাতে শুধু আমার খাওয়ার খরচ এবং আনুষাঙ্গিক কিছু খরচা হয়ে যায়। কিন্তু আমার অন্যান্য চাহিদা পূরণ হয় না। কেননা বেতন অনেক কম। আলহামদুলিল্লাহ।। আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজ করতেছি। এখন এই পরিস্থিতিতে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এখন তো আমার সংসয় হচ্ছে, বাড়িতে যেতে, বাড়ি থেকে টাকা নিতে, বাড়ির খাবার খেতে, ইত্যাদি আরও অনেক বিষয়ে। আমার কাছে বাড়ি থেকে পাঠানো কিছু টাকা ও চাল আছে এগুলো খরচ করতে আমার অনেক সংশয় হচ্ছে। আর এখন আবার আমার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছাও অনেক বেড়ে গেছে। আমার মাকে আমি ব্যাপারটা একটু বলেছি সে একটু দুঃখ পেয়েছে কিন্তু বুঝেছে সম্ভবত। এখন এই পরিস্থিতিতে আমি কি করবো বুঝতে পারতেছি না , আমাকে যদি দয়া করে কোরআন সুন্নাহর আলোকে একটু বুঝিয়ে পরামর্শ দিতেন তো অনেক উপকৃত হতাম ইংশাআল্লাহ ।।। জাযাকাল্লাহু খাইরান।।।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
৩১ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা ১২০৮