আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

পুকুরে মাছ বিক্রি

প্রশ্নঃ ১৩১০১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা জানি যে, পুকুরে থাকা অবস্থায় মাছ বিক্রি বৈধ নয়। এর থেকে বাঁচার জন্য এক ব্যক্তি এই পন্থা অবলম্বন করেছে যে, এক মাস বা দুই মাসের জন্য পুকুর জেলেদের কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়। এই শর্তে যে, জেলেরা এই পুকুর থেকে মাছ, পানি সহ সকল ধরণের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এই সূরত বৈধ হবে কিনা? কোরআন হাদীস ও ফিকহে হানাফীর রেফারেন্স সহ উত্তর কামনা করছি।

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
কেরানীগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হালাল ও হারাম ঈমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস মতে, কোনো ব্যক্তি যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত কোনো হালাল বস্তুকে হারাম এবং হারাম বস্তুকে হালাল মনে করে, তাহলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। পবিত্র কোরআনে এই শ্রেণির মানুষের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনে না ও পরকালের প্রতিও নয়; আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বিনের অনুসরণ করে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে—যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে নিজ হাতে জিজিয়া দেয়। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ২৯)

প্রশ্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করলেও পুকুর বিক্রি করা সহীহ হবে না। এটাকে ভাড়া বললেও বাস্তবে তা বিক্রিই। কেননা ভাড়া চুক্তির জন্য শর্ত হচ্ছে,
الإجارة هي عقد على منفعة مقصودة مباحة معلومة بعوض معلوم.
মূল বস্তুটি অক্ষত রেখে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে ব্যাবহারের সুযোগ লাভ করা। কিন্তু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কথিত ভাড়া চুক্তিতে গ্রাহক পক্ষ পুকুর ব্যবহার করবে না বরং পুকুর থেকে মাছ শিকার করে বা পানি সেঁচে মাছ তুলে নিয়ে যাবে। যা সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় ।
আর শরিয়তের মূলনীতি হলো العبرة بالمعاني دون المباني, অর্থ এবং বাস্তবতাই মুখ্য বিষয় শব্দ নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হালাল হারাম তমিয করে হালাল গ্রহন করার এবং হারাম বর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন