আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১১৫০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি কুমিল্লা ইপিজেডে একটি কোরিয়ান ফ্যাক্টরিতে চাকরি করি। আমার দায়িত্ব হল ফ্যাক্টরির জন্য কাঁচামাল ক্রয় করা। কাঁচামালগুলে যেসব কোম্পানি থেকে ক্রয় করি তারা অনেক সময় আমাকে প্রস্তাব করে যে, আমি তাদের থেকে পণ্য ক্রয় করলে তারা আমাকে শতকরা হারে কিছু কমিশন দিবে। যেমন আমার ফ্যাক্টরির ক্যাবল প্রয়োজন। ক্যাবল বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন, বিআরবি, বিবিএস, প্যারাডাইস ক্যাবল ইত্যাদি। তো ধরুন, বিআরবি কোম্পানি আমাকে প্রস্তাব করল যে, আমি যদি তাদের থেকে ক্রয় করি তাহলে তারা আমাকে ০.৫% কমিশন দিবে। এই কমিশনটা নেওয়া আমার জন্য জায়েয হবে কি না?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#৬০২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

সিক আলকাউসারের সফর সংখ্যা ১৪৩৯ (নভেম্বর-২০১৭) ৪২২৩ নং প্রশ্নের উত্তর থেকে জেনেছি যে, ব্যাংকে চাকরি উপার্জিত টাকা হারাম। ছেলে ব্যাংকে চাকরি করে। তাই তার উপার্জন দ্বারা মা-বাবা হজ্ব করতে পারবেন না। এই উত্তর থেকে আমার মনে সংশয় এসেছে যে-

১. বিভিন্ন বিধর্মী বিদেশী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানী করে থাকে। তারা সুদকে হারাম মনে করে না। ব্যাংক থেকে সুদী লোন নিয়ে থাকে এবং ব্যাংক থেকে সুদ দেওয়া হলে তাও গ্রহণ করে। আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসাবে বাংলাদেশে তাদের অফিসে কাজ পরিচালনা করে থাকি। এক্ষেত্রে আমার কাজ পোষাকশিল্প নিয়েই। প্রস্তুত করা থেকে নিয়ে শিপমেন্ট পর্যন্ত সকল কাজের  পরিচালনা আমার দায়িত্বে। তো এ বাবদ তারা যে বিনিময় প্রদান করে থাকে তা গ্রহণ করা হালাল না হারাম?

২. আমার এক দ্বীনী ভাইয়েরও প্রশ্ন হল, উপরোক্ত কোম্পানী ও এধরনের প্রতিষ্ঠানের আমদানীকৃত পণ্য সে এদেশ থেকে বিদেশে পরিবহন করে থাকে। এ বাবদ তাদের থেকে প্রাপ্ত টাকা হালাল না হারাম। তার পরিবহন সংক্রান্ত কার্যাদিও বৈধ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তার পরিবহন খরচ পরিশোধ করছে তো উক্ত ইহুদী-খ্রিস্টানদের কোম্পানী, যারা সুদী লোন নেয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে সুদ গ্রহণও করে। এ কারণে আমাদের বেতন ও পারিশ্রমিক অবৈধ গণ্য হবে কি না?

দয়া করে মাসআলা দু’টির সমাধান কুরআন-হাদীসের আলোকে জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৯ অক্টোবর, ২০২০
#৫৪২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাবা রাষ্ট্রীয় একটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বাবার ইন্তেকালের পর আমরা তার থেকে একটি বাড়ি ও উক্ত বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে পেনশনের টাকা মীরাস হিসাবে পাই। তারা আমাদেরকে পেনশনের ৫০% একত্রে দেয়। আর বাকী ৫০% প্রতি মাসে সাড়ে আঠার হাজার টাকা করে দেয়। আমাদের বাড়িটি নির্মাণে মোট ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তার মধ্যে ৫০ লাখ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত টাকা। আর বাকি টাকার বেশির ভাগই বৈধভাবে উপার্জিত। বর্তমানে আমরা বাড়ি ভাড়া আর মাসিক পেনশনের টাকা দিয়ে চলি। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো আয় নেই। তবে আমাদের পরিবারে দুজন সদস্য কর্মক্ষম।

জানতে চাই, বাবার ওয়ারিসদের জন্য এ বাড়ীতে থাকা ও তার ভাড়া এবং পেনশনের টাকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে? নাজায়েয হলে করণীয় কী? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#৩৮৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি ব্যাংকে চাকরি করার অবৈধতা সম্পর্কে না জেনে একটি বিদেশী ব্যাংকে চাকরি নেয়। ঐ চাকরি অবস্থায় চাকরি ও লোনের টাকা দিয়ে জায়গা-জমি খরিদ করেন, বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন এবং নিজ ছোট-বড় ভাই-বোনদেরকে সেসকল জায়গা-জমিতে অংশিদার করেন। দলীলে তাদের নামও লিখে দেন। ভাই-বোনদের বিয়ে-শাদীতেও খরচাদি করেন। মা-বাবার অনেক খেদমত করেন। অবশ্য চাকরির শেষ পর্যায়ে এ চাকরি অবৈধ জেনেও ঈমানী দুর্বলতার কারণে বা অপারগ মনে করে শেষ পর্যন্ত চাকরিরত থাকেন।

উল্লেখ্য, লোকটি ব্যক্তিগতভাবে উদার, আমলদার ও আলেমভক্ত। এখন তার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কী? কীভাবে তিনি আখেরাতে মুক্তি পেতে পারেন। আর যারা তার দান গ্রহণ করেছেন বিশেষ করে ভাই-বোন, যারা মাসে/বছরে তার থেকে লেখা-পড়ার খরচ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন কাজে তিনি তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। (যার কোনো হিসাব রাখা হয়নি) এবং তিনি যে ভাই-বোনদেরকে জায়গাজমিতে অংশিদার করেছেন, ভাই-বোনদের এখন করণীয় কী? তাদের দায়মুক্ত ও বৈধ অধিকারী হওয়ারই বা কী উপায়?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০