আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

খতম পড়ে টাকা নেওয়ার বিধান

প্রশ্নঃ ২৩৪৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, খতমে কুরআন, খতমে ইউনুস ইত্যাদি পড়ে টাকা-পয়সা আদানপ্রদান জায়েয আছে কি? মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াব করে কিংবা বালা-মুসিবতের জন্য বা রোগমুক্তির জন্য খতম পড়ে বর্তমানে টাকাপয়সার যে লেনদেন করা হয় তার হুকুম কী? বিস্তারিত জানতে চাই।

১৫ অক্টোবর, ২০২৪

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন মজীদ খতম করে বা অন্য কোনো দুআ-দরূদ পড়ে বিনিময়ে টাকা-পয়সা বা কোনো কিছু আদান-প্রদান করা নাজায়েয়।

সুতরাং বর্তমান সমাজে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে দুআ দরূদ ও কুরআন খতম করিয়ে বিনিময়ে টাকা-পয়সা আদান-প্রদানের যে প্রথা কোনো কোনো জায়গায় চালু আছে তা নাজায়েয ও কু প্রথার

অন্তর্ভুক্ত। এ থেকে বিরত থাকা জরুরি।

হ্যাঁ, খতমে কুরআন, খতমে ইউনুস বা অন্য কোনো দুআ-দরূদের খতম যদি কেবলমাত্র দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে করা হয় (যেমন, রোগমুক্তি, বিপদ-আপদ থেকে হেফাযত, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি ইত্যাদি) তবে সেক্ষেত্রে বিনিময় দেওয়া-নেওয়া জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রেও বিনিময়ে কোনো কিছু না নেওয়াই শ্রেয়। আর কারো জন্য এভাবে খতম পড়াকে পেশা হিসাবে অবলম্বন করা কিছুতেই সমীচীন নয়।

 

প্রকাশ থাকে যে, মুসলমানদের কর্তব্য হল, অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ ও প্রয়োজনের মুহূর্তে নিজেই নফল নামায, দুআ, দরূদ ও ইস্তিগফার দ্বারা আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করা, নফল সদকা দেওয়া। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদেরকেও দুআ করতে বলা। আলেম, বুযুর্গ ব্যক্তিদের থেকে দুআ চাওয়া। সর্বোপরি সবর ও তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত কামনা করা।

 

এমনিভাবে মৃত আত্মীয়-স্বজনের ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে নিজেরাই কুরআন খতম ও দুআ-দরূদ পড়বে। দান-সদকা করবে। মূলত এসবই হল শরীয়তের দৃষ্টিতে উত্তম পন্থা।

আর ব্যবসা-বাণিজ্যে বরকতের জন্য সবচে বড় করণীয় হল, বৈধ পন্থায় ব্যবসা করা, মিথ্যা, ধোঁকা, ভেজাল, মাপে কম দেওয়া, সুদ ইত্যাদি সকল ধরনের হারাম কাজ ও পন্থা থেকে বেঁচে থাকা এবং সততা ও সত্যবাদিতার প্রতি যত্নবান হওয়া।


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন