প্রশ্নঃ ৩৮৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক ব্যক্তি ব্যাংকে চাকরি করার অবৈধতা সম্পর্কে না জেনে একটি বিদেশী ব্যাংকে চাকরি নেয়। ঐ চাকরি অবস্থায় চাকরি ও লোনের টাকা দিয়ে জায়গা-জমি খরিদ করেন, বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন এবং নিজ ছোট-বড় ভাই-বোনদেরকে সেসকল জায়গা-জমিতে অংশিদার করেন। দলীলে তাদের নামও লিখে দেন। ভাই-বোনদের বিয়ে-শাদীতেও খরচাদি করেন। মা-বাবার অনেক খেদমত করেন। অবশ্য চাকরির শেষ পর্যায়ে এ চাকরি অবৈধ জেনেও ঈমানী দুর্বলতার কারণে বা অপারগ মনে করে শেষ পর্যন্ত চাকরিরত থাকেন। উল্লেখ্য, লোকটি ব্যক্তিগতভাবে উদার, আমলদার ও আলেমভক্ত। এখন তার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কী? কীভাবে তিনি আখেরাতে মুক্তি পেতে পারেন। আর যারা তার দান গ্রহণ করেছেন বিশেষ করে ভাই-বোন, যারা মাসে/বছরে তার থেকে লেখা-পড়ার খরচ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন কাজে তিনি তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। (যার কোনো হিসাব রাখা হয়নি) এবং তিনি যে ভাই-বোনদেরকে জায়গাজমিতে অংশিদার করেছেন, ভাই-বোনদের এখন করণীয় কী? তাদের দায়মুক্ত ও বৈধ অধিকারী হওয়ারই বা কী উপায়?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নোক্ত ব্যক্তিকে এখন দুটি কাজ করতে হবে। এক. সুদি ব্যাংকে চাকরি করা এবং এর বেতন-ভাতা ভোগ করার জন্য খালেস মনে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা-ইসতেগফার করতে হবে। দুই. ব্যাংকের বেতন-ভাতা দিয়ে যে জমিবাড়ি করেছেন তা থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চাইলে মূল টাকা সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে পুরো টাকা একত্রে সদকা করা সম্ভব না হলে তিনি বা তার ওয়ারিশরা ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে তা আদায় করবেন। অনুরূপ যারা তার থেকে দান-সহায়তা নিয়ে স্থায়ী সম্পদ গড়েছেন তারা ঐ সম্পত্তি থেকে বৈধভাবে উপকৃত হতে চাইলে এর মূল্য সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিবেন। আর যে পরিমাণ টাকা ভোগ করেছেন অনুমান করে সে পরিমাণ টাকাও সদকা করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন