আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৩৫২৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত, আমি কুমিল্লা থেকে সিয়াম প্রশ্ন করছি।

আমি সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কোন টিউশনি না পাওয়ায় আমার আয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। বাবার পাঠানো টাকাতেই চলি। যখন থেকে মাসজিদের সাথে সম্পর্ক হয়, তালিমে বসি, তখন থেকেই আল'হামদুলিল্লাহ সুন্নাতের উপর চলার চেষ্টা করছি। আমার বাবা-মা নামাজি হলেও আমার পোশাক পছন্দ করেন না এবং ঈদ আসলে তারা আমাকে শার্ট-প্যান্ট কেনার জন্য চাপ দেন। কিন্তু আমি আমার পুরনো পাঞ্জাবি-পাজামাই পড়ি। এমতাবস্থায় আমার মামা আমাকে পাঞ্জাবি-পাজামার জন্য কাপড় হাদিয়া দেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার মামা ক্রিমিনাল কেসের দক্ষ আইনজীবী, তার আয়ের ব্যাপারে সন্দেহ আছে, হারাম হবার সম্ভাবনাই বেশি।

আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যেহেতু আমার বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই এবং আমি সুন্নাতি পোশাক পরিধানে আগ্রহী সেহেতু আমি কি আমার মামার হাদিয়ার কাপড় গ্রহণ করতে পারি? জানালে উপকৃত হবো। জাযাকাল্লাহ খাইর।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
১১ নভেম্বর, ২০২০
কুমিল্লা
#
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার একটি বিষয় জানার খুবই প্রয়োজন। যেহেতু হালাল বা হারামের বিষয় তাই মেহেরবানী করে সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।

বিষয়টি হল, আমি একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট। আমি এখানে মানুষকে দিয়ে ডিপিএস করাই। কোম্পানি তা থেকে আমাকে কিছু কমিশন দেয়। আমার জানার বিষয় হল, এখান থেকে যে টাকা পাই তা কি হালাল হবে? আর যদি হালাল না হয়, তাহলে আমি কি এই টাকা মসজিদ-মাদরাসা বা অন্যান্য সেবামূলক কাজে খরচ করতে পারব? আমি কি চাকরিটা চালিয়ে যা পাই তা যদি এইভাবে ব্যয় করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কি আমি দায়মুক্ত থাকব। আর যাদেরকে দিয়ে ডিপিএস করাই তাদের কাছে কি দায়ী থাকব? কেননা ডিপিএস করার এক বছরের ভিতরে ভাঙলে ডিপিএসকারী কোনো টাকাই পাবে না। এমনকি এক বছর পরে ভাঙলেও ডিপিএসকারীর কিছু লস হয়। যদিও আমি গ্রাহকদেরকে এই বিষয়গুলো জানিয়ে ডিপিএস করিয়ে থাকি।

মুফতী সাহেবকে আর একটু জানিয়ে রাখি, আমি আমার এলাকার এক আলেম থেকে জানতে পারি যে, আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংক-বীমার কার্যক্রম হারামের ভিতরে পরে। তারপর আমি আমার ম্যানেজারকে বলি যে, স্যার এই চাকরি করা তো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তখন সে আমাকে ড. জাকির নায়েকের একটি ভিডিও দেখায়; সেখানে তিনি বলেন, ইন্সুরেন্স করা যাবে না- এরকম কথা কুরআনের কোথাও লেখা নেই। তবে তিনি বলেছেন, যেখানে সুদ আছে সেখানে কখনোই মুমিন যেতে পারে না।

তাই মুফতী সাহেবের কাছে আমার আকুল আবেদন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শরীয়তের দলীল দ্বারা দিলে আমি অনেক উপকৃত হব এবং হারাম থেকে বাঁচতে পারব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন)-এ কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বিএডিসি একটি কর্পোরেশন হলেও সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীর যাবতীয় বিধান অনুসরণপূর্বক বেতন-ভাতাদিসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। জাতীয় বেতন স্কেল অনুসরণে বেতন-ভাতাদি ও চাকরির অবসরকালীন যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের অবসরকালীন পেনশন ও গ্রাচ্যুটি প্রদান করা হয় আর বিএডিসির কর্মকর্তাদের সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায় পেনশন প্রদান করা হয় না। বিএডিসির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুটি ও প্রভিডেন্ট-এর সুবিধা প্রদান করা হয়। তাই, জানতে চাই গ্রাচ্যুটি/প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ পেনশন স্কিম (সঞ্চয়পত্র)-এ রাখা যাবে কি না? পেনশন স্কিমের সুবিধা হল, পঞ্চাশ লক্ষ টাকা জমা রাখলে প্রতি তিন মাস পর পর পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করা হয় এবং মূল অর্থ অক্ষত থাকে।

উল্লেখ্য, সরকারের জাতীয় স্কেলভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীরাই শুধু পেনশন স্কিম (সঞ্চয়পত্র)-এ টাকা লগ্নি করতে পারে।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন মুসলমান। আমি আমার জীবনের যে কোনো ধরনের হারাম উপার্জন থেকে বাঁচানোর জন্য বদ্ধ পরিকর। আমি একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকরি করি। আমি শরীয়াহভিত্তিক একটি সমিতির সদস্য। আমাদের সমিতির অর্থ দিয়ে সদস্যদের বাড়ি করার জন্য একটি জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। এই জমি ডেভলপ কোম্পানীকে দেয়া হবে নাকি নিজেরা বাড়ি করবে এ নিয়ে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তাই আমার অংশের টাকার উপর প্রতি বছর যাকাত দিয়ে আসছি। এখন আমার প্রশ্ন হল, এই যাকাত প্রদান ঠিক আছে কি না?

দ্বিতীয় বিষয় হল, চাকরির অনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছু অর্থ দিয়ে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের চেষ্টা করি। কিন্তু টাকার স্বল্পতার জন্য এবং শরয়ী বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা না হওয়ায় জমির উপর বিনিয়োগ করি। দুইজন মুফতী সাহেবের সাথে কথা বলে যে পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার ধরন নি¤েœ উল্লেখ করলাম :

১ম ধরন : ৫০,০০০/- টাকা দিয়ে এক ব্যক্তির নিকট থেকে মৌখিকভাবে ২০ শতক জায়গা ক্রয় করলাম এবং পরবর্তীতে অন্য এক মজলিসে বসে ঐ ব্যক্তির সাথে ওয়াদা করলাম যে, যখন জমি বিক্রি করব তখন আপনার কাছেই বিক্রি করব। অর্থাৎ সে যখন আমাকে টাকা ফেরত দেবে তখন নতুন করে জমির দাম ধরে তার কাছে আবার বিক্রি করে দিব। (এখানে উল্লেখ্য যে, ২০ শতক জমির প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি)

২য় ধরন : জমির মালিককে অগ্রিম ৫০,০০০/- টাকা দিব এবং সেখান থেকে প্রতি বছর ২ ফসলের জন্য জমির ভাড়া বাবদ ৮০০ টাকা করে কর্তন হতে থাকবে। অর্থাৎ সে যদি ১ বছর পর টাকা পরিশোধ করে তাহলে (৫০,০০০-৮০০) = ৪৯,২০০/- টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু আমি তাকে প্রতি বছর ৮০০ টাকা দিতে থাকব, যে পর্যন্ত সে আমাকে ৫০,০০০/- টাকা ফেরত না দেবে। (এখানে উল্লেখ্য যে, জমির প্রকৃত ভাড়া আরও বেশি, কিন্তু আমাকে কম টাকায় বন্ধক দিত তাহলে জমি ফেরত নেয়ার সময় তাকে পুরো ৫০,০০০/- টাকাই পরিশোধ করতে হতো তাই সে আমাকে কম টাকায় ভাড়া দিয়েছে)

কেউ কেউ এভাবে জায়েয নয় বলে জানিয়েছে। তাই মনের সংশয় দূর করার জন্য দয়া করে উক্ত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানালে উপকৃত হব, অথবা অন্য কোনো সঠিক পদ্ধতি থাকলে জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০