اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِكَ تَهْدِيْ بِهَا قَلْبِيْ، وَتَجْمَعُ بِهَاۤ أَمْرِيْ، وَتَلُمُّ بِهَا شَعَثِيْ، وَتُصْلِحُ بِهَا دِيْنِيْ، وَتَقْضِيْ بِهَا دَيْنِيْ، وَتَحْفَظُ بِهَا غَائِـبِيْ، وَتَرْفَعُ بِهَا شَاهِدِيْ، وَتُبَيِّضُ بِهَا وَجْهِيْ، وَتُزَكِّيْ بِهَا عَمَلِيْ، وَتُلْهِمُنِيْ بِهَا رَشَدِىْ، وَتَرُدُّ بِهَا أُلْفَتِيْ، وَتَعْصِمُنِيْ بِهَا مِنْ كُلِّ سُوْٓءٍ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার খাস রহমত, যা দ্বারা আপনি আমার অন্তরকে পথ দেখাবেন, আমার কর্মে শৃঙ্খলা দান করবেন, আমার বিক্ষিপ্ততা দূর করবেন, আমার দ্বীনদারীকে শুদ্ধতা ও সৌন্দর্য দান করবেন, আমার ঋণ পরিশোধ করবেন, আমার অপ্রকাশ্য অবস্থার সংরক্ষণ করবেন, আমার প্রকাশ্য অবস্থাকে উচ্চতা দান করবেন, আমার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করবেন, আমার কর্মকে পবিত্র করবেন, আমার অন্তরে হেদায়েত নাযিল করবেন, আমার পরিণত অবস্থা ফিরিয়ে দিবেন এবং ঐ রহমত দ্বারা আমাকে সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।১৩২
اَللّٰهُمَّ أَعْطِنِيْۤ إِيْمَانًا لَّا يَرْتَدُّ، وَيَقِيْنًا لَّيْسَ بَعْدَهٗ كُفْرٌ، وَرَحْمَةً أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে এমন ঈমান দিন, যা টলবে না, এমন ইয়াকীন দিন, যার পর আর কুফর হবে না, এমন রহমত দিন, যার দ্বারা আমি দুনিয়া-আখিরাতে আপনার পক্ষ হতে মর্যাদাপ্রাপ্তির সৌভাগ্য লাভ করি।১৩৩
اَللّٰهُمَّ مَا قَصُرَ عَنْهُ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَنْهُ عَمَلِيْ وَلَمْ تَبْلُغْهُ مُنْيَتِيْ وَ مَسْأَلَتِيْ مِنْ خَيْرٍ وَّعَدْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيْهِ أَحَدًا مِّنْ عِبَادِكَ فَإِنِّيْۤ أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيْهِ، وَأَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! এমনসব কল্যাণ, যা উপলব্ধি করতে আমার চিন্তা ব্যর্থ, যা অর্জনে আমার কর্ম অপারগ আর যা আমার আকাঙ্ক্ষা ও প্রার্থনার ঊর্ধ্বে। অথচ আপনি কোনো মাখলুককে তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অথবা আপনার কোনো বান্দাকে তা দান করবেন, আমি ঐ বিষয়ে আপনার কাছে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছি এবং আপনার রহমতের উসীলায় তা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি ইয়া রাব্বাল আলামীন!১৩৫
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أُنْزِلُ بِكَ حَاجَتِيْ وَإِنْ قَصُرَ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَمَلِىْ، اِفْتَقَرْتُ إِلٰى رَحْمَتِكَ، فَأَسْأَلُكَ يَا قَاضِيَ الْأُمُوْرِ! وَيَا شَافِيَ الصُّدُوْرِ! كَمَا تُجِيْرُ بَيْنَ الْبُحُوْرِ أَنْ تُجِيْرَنِيْ مِنْ عَذَابِ السَّعِيْرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الثُّبُوْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْقُبُوْرِ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আমার প্রয়োজন আপনার কাছেই নিবেদন করছি, যদিও আমার বুদ্ধি অক্ষম, আমার কর্ম অপারগ, আমি ভিখারী আপনার রহমতের। সুতরাং হে সর্বকর্মবিধায়ক! হে সকল অন্তরের উপশমদাতা! যেভাবে আপনি সমুদ্রের মাঝে দাঁড় করিয়েছেন (অদৃশ্য) প্রাচীর, আমাকেও (ঐ রকম) জাহান্নামের আযাব থেকে, আক্ষেপ-আর্তনাদ থেকে ও কবরের ফিতনা থেকে প্রাচীর দ্বারা দূরে রাখুন। (এটাও তো আপনার পক্ষে কিছুমাত্র কঠিন নয়)।১৩৬
اَللّٰهُمَّ ذَا الْحَبْلِ الشَّدِيْدِ وَالْأَمْرِالرَّشِيْدِ! أَسْأَلُكَ الْأَمْنَ يَوْمَ الْوَعِيْدِ، وَالْجَنَّةَ يَوْمَ الْخُلُوْدِ مَعَ الْمُقَرَّبِيْنَ الشُّهُوْدِ الرُّكَّعِ السُّجُوْدِ الْمُوْفِيْنَ بِالْعُهُوْدِ، إِنَّكَ رَحِيْمٌ وَّدُوْدٌ، اِنَّكَ أَنْتَ تَفْعَلُ مَا تُرِيْدُ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! ‘দৃঢ় রজ্জু’ যাঁর, সত্য দ্বীন যাঁর, আমি আপনার কাছে হাশর দিবসে নিরাপত্তা চাই এবং আখিরাতে ঐসব মানুষের সাথে জান্নাত চাই, যারা নৈটক্যপ্রাপ্ত, নিয়মিত উপস্থিত, বেশি বেশি রুকু-সিজদাকারী এবং প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী। নিশ্চয়ই আপনি বড় দয়ালু, মেহেরবান এবং নিশ্চয়ই আপনি যা চান করতে পারেন।১৩৭ -কানযুল উম্মাল
اَللّٰهُمَّ هٰذَا الدُّعَآءُ وَعَلَيْكَ الْإِجَابَةُ، وَهٰذَا الْجَهْدُ وَعَلَيْكَ التُّكْـلَانُ، اَللّٰهُمَّ لَا تَكِلْنِيْۤ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَلَا تَنْزِعْ مِنِّيْ صَالِحَ مَاۤ أَعْطَيْتَنِىْ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! এ-ই প্রার্থনা আর আপনারই কাজ কবুল করা। এ-ই চেষ্টা আর আপনারই উপর ভরসা। ইয়া আল্লাহ! আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও আমার নিজের কাছে সোপর্দ কোরেন না। আর যে সকল উত্তম বস্তু আপনি আমাকে দিয়েছেন, তা আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়েন না।১৩৯
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ لَسْتَ بِإِلٰهِ ۟اِسْتَحْدَثْنَاهُ، وَلَا بِرَبٍّ يَبِيْدُ ذِكْرُهُ ابْتَدَعْنَاهُ، وَلَاعَلَيْكَ شُرَكَآءُ يَقْضُوْنَ مَعَكَ، وَلَا كَانَ لَنَا قَبْلَكَ مِنْ إِلٰهٍ نَلْجَأُ إِلَيْهِ وَنَذَرُكَ، وَلَاۤ أَعَانَكَ عَلٰى خَلْقِنَا أَحَدٌ فَنُشْرِكَهٗ فِيْكَ، تَـبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، فَنَسْئَلُكَ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّۤا أَنْتَ اغْفِرْلِيْ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি তো এমন ইলাহ নন, যাকে আমরা উদ্ভাবন করেছি, এমন পালনকর্তা নন, যার নাম ক্ষণস্থায়ী, যাকে আমাদের কল্পনাশক্তি সৃষ্টি করেছে, না হুকুম ও ফায়সালায় আপনার কোনো সঙ্গী-শরীক আছে, না আপনার আগে আমাদের কোনো ইলাহ ছিল, যার কাছে আমরা আশ্রয় নিতে পারি আপনাকে ছেড়ে। না আমাদের সৃষ্টি করার বিষয়ে কেউ আপনাকে সাহায্য করেছে যে, তাকে আপনার শরীক মনে করতে পারি। আপনি তো বরকতময়, সুউচ্চ। সুতরাং ইয়া আল্লাহ—যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই! আপনার কাছে মিনতি, আমাকে আপনি মাফ করে দিন।১৪০
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ خَلَقْتَ نَفْسِيْ وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا، لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا، إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ، وَإنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا وَارْحَمْهَا.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনিই আমার প্রাণ সৃষ্টি করেছেন আর আপনিই তাকে মৃত্যু দিবেন। আপনারই হাতে তার জীবন ও মরণ। তাকে যদি জীবিত রাখেন, তাহলে এমনভাবে রক্ষা করুন, যেভাবে আপন নেক বান্দাদের রক্ষা করে থাকেন। আর যদি মৃত্যু দেন, তাহলে তাকে ক্ষমা করুন ও রহম করুন।১৪১
اَللّٰهُمَّ لَا يُدْرِكُنِيْ زَمَانٌ وَّلَا يُدْرِكُوْا زَمَانًا لَّا يُتَّبَعُ فِيْهِ الْعَلِيْمُ، وَلَا يُسْتَحْيٰى فِيْهِ مِنَ الْحَلِيْمِ، قُلُوْبُهُمْ قُلُوْبُ الْأَعَاجِمِ، وَأَلْسِنَتُهُمْ أَلْسِنَةُ الْعَرَبِ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! ঐ যুগ যেন আমাকে না পায় এবং এরাও যেন ঐ যুগ পর্যন্ত না পৌঁছায়, যে যুগে না ইলমওয়ালার অনুসরণ করা হবে, না ভদ্র ও সহনশীলের লেহায করা হবে। তাদের অন্তর হবে আজমীদের আর ভাষা আরবীদের।১৪৩
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَتَّخِذُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَّنْ تُخْلِفَنِيْهِ، فَإِنَّمَاۤ أَنَا بَشَرٌ، فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ اٰذَيْتُهٗ أَوْ شَتَمْتُهٗ أَوْ جَلَدْتُّهٗ أَوْ لَعَنْتُهٗ فَاجْعَلْهَا لَهٗ صَلٰوةً وَّزَكوٰةً وَّقُرْبَةً تُقَرِّبُهٗ بِهَاۤ إِلَيْكَ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আপনার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি, আপনি কখনো এর অন্যথা কোরেন না। আমি তো একজন মানবমাত্র। সুতরাং যে মুসলিমকেই আমি কষ্ট দেই বা কটু কথা বলি কিংবা প্রহার করি বা অভিশাপ দেই আপনি একে তার জন্য কোরেন আশীর্বাদ ও পবিত্রতা এবং আপনার নৈকট্যের উপায়।১৪৪
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَمِنَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْٓءِ الْأَخْلَاقِ وَمِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ، أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ وَمِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَمِنْ شَرِّ مَاۤ أَنْتَ اٰخِذٌ بِۢنَاصِيَتِه، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيْ هٰذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهٗ، وَمِنْ شَرِّ نَفْسِيْ وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه، وَأَنْ نَقْتَرِفَ عَلٰۤى أَنْفُسِنَا سُوْٓءً أَوْ نَجُرَّهٗۤ إِلٰى مُسْلِمٍ أَوْ أَكْتَسِبَ خَطِٓيْئَةً أَوْ ذَنْبًا لَّا تَغْفِرُهٗ، وَمِنْ ضِيْقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি কুষ্ঠ থেকে; জেদাজেদি, কপটতা ও কুপ্রবণতা থেকে এবং ঐ সকল বিষয়ের অনিষ্ট থেকে, যা আপনার জানা। আমি আল্লাহর আশ্রয় নিচ্ছি দোযখীদের অবস্থা (বৈশিষ্ট্য) থেকে ও দোযখ থেকে এবং ঐ সকল কথা ও কাজ থেকে, যা দোযখের নিকটবর্তী করে। আর ঐ সকল কিছুর অনিষ্ট থেকে, যা আপনার কব্জায়। আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি ঐ সকল অমঙ্গল থেকে, যা আছে আজকের দিবসে এবং ঐ সকল অমঙ্গল থেকে, যা আছে তার পরে। আর আপন প্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট ও শিরক থেকে। (আরো আশ্রয় চাই) নিজেদের উপর কোনো অমঙ্গল টেনে আনা থেকে বা কোনো মুসলিমকে অমঙ্গলের শিকার করা থেকে এবং (আরো আশ্রয় চাই) এমন ভুল ও পাপ করা থেকে, যা আপনি মাফ করবেন না এবং (আরো আশ্রয় নিচ্ছি) কিয়ামত দিবসের সংকট ও সংকীর্ণতা থেকে।১৪৫
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَأَصْلِحْهُمْ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ، وَاجْعَلْ فِيْ قُلُوْبِهِمِ الْإِيْمَانَ وَالْحِكْمَةَ، وَثَبِّتْهُمْ عَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِكَ، وَأَوْزِعْهُمْ أَنْ يَّشْكُرُوْا نِعْمَتَكَ الَّتِۤيْ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ وَأَنْ يُّوْفُوْا بِعَهْدِكَ الَّذِيْ عَاهَدْتَهُمْ عَلَيْهِ، وَانْصُرْهُمْ عَلٰى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، إِلٰهَ الْحَقِّ، سُبْحَانَكَ لَاۤ إِلٰهَ غَيْرُكَ، اِغْفِرْ لِيْ ذَنْۢبِيْ وَأَصْلِحْ لِيْ عَمَلِيْ، إِنَّكَ تَغْفِرُ الذُّنُوْبَ لِمَنْ تَشَآءُ، وَأَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ، يَا غَفَّارُ اغْفِرْ لِيْ، يَا تَوَّابُ تُبْ عَلَيَّ، يَا رَحْمٰنُ ارْحَمْنِيْ، يَا عَفُوُّ اعْفُ عَنِّيْ، يَا رَءُوْفُ ارْءُفْ بِيْ، يَا رَبِّ أَوْزِعْنِيْ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْۤ أَنْعَمْتَ عَلَيَّ، وَطَوِّقْنِيْ حُسْنَ عِبَادَتِكَ، يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُـلِّه، يَا رَبِّ افْتَحْ لِيْ بِخَيْرٍ وَّاخْتِمْ لِيْ بِخَيْرٍ، وَقِنِي السَّيِّئَاتِ، وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ، وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ.
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন এবং মাফ করুন সকল মুমিন নর-নারী ও সকল মুসলিম নারী-পুরুষকে এবং তাদেরকে সংশোধন করুন, তাদের মাঝে সৌহার্দ সৃষ্টি করুন, তাদের হৃদয়সমূহে সম্প্রীতি দান করুন, তাদের অন্তরে ঈমান ও হিকমত দান করুন, তাদেরকে আপনার রাসূলের দীনের উপর অটল রাখুন। আপনি তাদের যে নেয়ামত দিয়েছেন, তার শোকর করার তাওফীক তাদের দান করুন,১৫৫ যে অঙ্গীকার তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, তা পূরণ করার তাওফীক দিন আর তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুর উপর বিজয়ী করুন।১৫৬ হে সত্য মাবুদ! আপনি পবিত্র, আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার আমল শুদ্ধ করুন। নিশ্চয়ই আপনি যার গুনাহসমূহ ইচ্ছা মাফ করে থাকেন। আপনিই তো পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। হে ক্ষমাকারী! আমায় ক্ষমা করুন। হে তাওবা কবুলকারী! আমার তাওবা কবুল করুন। হে পরম দয়ালু! আমার উপর দয়া করুন। হে ক্ষমাশীল! আমাকে ক্ষমা করুন। হে মেহেরবান! আমার প্রতি মেহেরবানী করুন। পরওয়ারদেগার! আমাকে তাওফীক দিন, যে নেয়ামত আমাকে দান করেছেন আমি যেন তার শোকর করতে পারি। আমাকে শক্তি দিন, আপনার ইবাদত যেন আমি উত্তমরূপে করতে পারি। পরওয়ারদেগার! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সকল কল্যাণ। পরওয়ারদেগার! আমার সূচনা কল্যাণের সাথে করুন, সমাপ্তিও কল্যাণের সাথে করুন। আর আমাকে অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। ঐদিন (হিসাব-দিবসে) যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে রক্ষা করবেন, নিশ্চয়ই তার প্রতি করুণাই করবেন। আর এ-ই তো পরম সাফল্য।১৫৭