بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
অর্থঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণঃ (১) আ-মানাররাছূলু বিমা উনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা, কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহ, লা-নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রুছুলিহ, ওয়া ক্ব-লূ ছামি‘না ওয়া আতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। (২) লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-ত্ব-ক্বতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।
অর্থঃ (১) রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (২) আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَآؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْعَلَّمْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ بَصَرِيْ، وَجِلَآءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّىْ.
উচ্চারণঃ null
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার দাস, পুত্র আপনার দাসের, পুত্র আপনার দাসীর। আমার ঝুঁটি (পূর্ণ সত্তা) আপনার কব্জায়। আমার উপর আপনার বিধানই কার্যকর। আমার সম্পর্কে আপনার ফয়সালা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। আমি আপনার সকল নামের তোফায়েলে যা দ্বারা নিজেকে আপনি গুণান্বিত করেছেন কিংবা আপন কিতাবে নাযিল করেছেন কিংবা নিজের কোনো সৃষ্টিকে শিক্ষা দিয়েছেন কিংবা আপনার কাছেই গোপন রেখেছেন, প্রার্থনা করছি, মহিমান্বিত কুরআনকে করুন আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার চোখের জ্যোতি, আমার বেদনার মলম ও আমার দুশ্চিন্তার উপশম।১০৬
اَفَحَسِبۡتُمۡ اَنَّمَا خَلَقۡنٰكُمۡ عَبَثًا وَّاَنَّكُمۡ اِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۱۱۵﴾ فَتَعٰلَى اللّٰهُ الۡمَلِكُ الۡحَـقُّ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡـكَرِيۡمِ ﴿۱۱۶﴾ وَمَنۡ يَّدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَۙ لَا بُرۡهَانَ لَهٗ بِهٖۙ فَاِنَّمَا حِسَابُهٗ عِنۡدَ رَبِّهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفۡلِحُ الۡـكٰفِرُوۡنَ ﴿۱۱۷﴾ وَقُلْ رَّبِّ اغۡفِرۡ وَارۡحَمۡ وَاَنۡتَ خَيۡرُ الرّٰحِمِيۡنَ ﴿۱۱۸﴾
উচ্চারণঃ (১১৫) আফাহাছিবতুম আন্নামা-খালাকনা-কুম আবাছাওঁ ওয়া আন্নাকুম ইলাইনা-লা-তুরজা‘ঊন। (১১৬) ফাতাআ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্কু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া, রাব্বুল ‘আরশিল কারীম। (১১৭) ওয়া মাইঁ ইয়াদ‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা লা-বুরহা-না লাহূবিহী ফাইন্নামাহিছা-বুহূ‘ইনদা রাব্বিহী ইন্নাহূলা-ইউফলিহুল কা-ফিরূন। (১১৮) ওয়া কুর রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুররা-হিমীন।
অর্থঃ (১১৫) ‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ?’ (১১৬) মহিমান্বিত আল্লাহ্ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; সম্মানিত র্আশের তিনি অধিপতি। (১১৭) যে ব্যক্তি আল্লাহ্ র সঙ্গে ডাকে অন্য ইলাহ্কে, এই বিষয়ে তার নিকট কোন সনদ নেই; তার হিসেব তার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হবে না। (১১৮) বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
بِسۡمِ اللهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِيۡمِ وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ ﴿۱﴾ فَالزّٰجِرٰتِ زَجۡرًا ۙ ﴿۲﴾ فَالتّٰلِيٰتِ ذِكۡرًا ۙ ﴿۳﴾ اِنَّ اِلٰهَكُمۡ لَوَاحِدٌ ؕ ﴿۴﴾ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَرَبُّ الۡمَشَارِقِ ؕ ﴿۵﴾ اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡيَا بِزِيۡنَةِ اۨلۡكَوَاكِبِۙ ﴿۶﴾ وَحِفۡظًا مِّنۡ كُلِّ شَيۡطٰنٍ مَّارِدٍۚ ﴿۷﴾ لَّا يَسَّمَّعُوۡنَ اِلَى الۡمَلَاِ الۡاَعۡلٰى وَيُقۡذَفُوۡنَ مِنۡ كُلِّ جَانِبٍۖ ﴿۸﴾ دُحُوۡرًا وَّلَهُمۡ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ۙ ﴿۹﴾ اِلَّا مَنۡ خَطِفَ الۡخَطۡفَةَ فَاَتۡبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ ﴿۱۰﴾ فَاسۡتَفۡتِهِمۡ اَهُمۡ اَشَدُّ خَلۡقًا اَمۡ مَّنۡ خَلَقۡنَاؕ اِنَّا خَلَقۡنٰهُمۡ مِّنۡ طِيۡنٍ لَّازِبٍ ﴿۱۱﴾
উচ্চারণঃ (১) ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-। (২) ফাঝঝা-জিরা-তি ঝাজরা-। (৩) ফাত্তা-লিয়া-তি যিকরা-। (৪) ইন্না ইলা-হাকুম লাওয়া-হিদ। (৫) রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ওয়া রাব্বুল মাশা-রিক। (৬) ইন্না-ঝাইয়ান্নাছছামাআদ্দুনইয়া-বিঝীনাতিনিল কাওয়া-কিব। (৭) ওয়া হিফজাম মিন কুল্লি শাইতা-নিম মা-রিদ। (৮) লা ইয়াছছাম্মা‘ঊনা ইলাল মালাইল আ‘লা-ওয়া ইউকযাফূনা মিন কুল্লি জা-নিব। (৯) দুহূ রাও ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ওয়া-সিব। (১০) ইল্লা-মান খাতিফাল খাতফাতা ফাআতবা‘আহূশিহা-বুন ছাকিব। (১১) ফাছতাফতিহিম আহুম আশাদ্দু খাল কান আম্মান খালাকনা- ইন্না-খালাকনা-হুম মিন ত্বীনিল লা-ঝিব।
অর্থঃ (১) শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান (২) ও যারা কঠোর পরিচালক (৩) এবং যারা ‘যিকির’ আবৃত্তিতে রত- (৪) নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ্ এক, (৫) যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর প্রভু এবং প্রভু সকল উদয়স্থলের। (৬) আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দিয়ে সুশোভিত করেছি, (৭) এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। (৮) ফলে এরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শোনে করতে পারে না এবং এদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে- (৯) বিতাড়নের জন্যে এবং এদের জন্যে আছে অবিরাম শাস্তি। (১০) তবে কেউ হঠাৎ কিছু শুনে ফেলিলে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। (১১) এদেরকে জিজ্ঞাসা কর, এরা সৃষ্টিতে দৃঢ়তর, না আমি অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা ? এদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি আঠাল মৃত্তিকা হতে।
لَوۡ اَنۡزَلۡنَا هٰذَا الۡقُرۡاٰنَ عَلٰى جَبَلٍ لَّرَاَيۡتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنۡ خَشۡيَةِ اللّٰهِؕ وَتِلۡكَ الۡاَمۡثَالُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُوۡنَ ﴿۲۱﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰىؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ ﴿۲۴﴾
উচ্চারণঃ (২১) লাও আনঝালনা-হা-যাল কুরআ-না ‘আলা-জাবালিল লারাআইতাহু খা-শি‘আম মুতাসাদ্দি‘ আম মিন খাশয়াতিল্লা-হি ওয়া তিলকাল আমছা-লুনাদরিবুহা-লিন্নাছি লা‘আল্লাহম ইয়াতাফাক্কারূন। (২২) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম। (২৩) হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। (২৪) হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।
অর্থঃ (২১) যদি আমি এই কুরআন পর্বতের ওপর অবতীর্ণ করতাম তবে তুমি একে আল্লাহ্ র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ দেখতে। আমি এই সমস্ত দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্যে, যাতে তারা চিন্তা করে। (২২) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। (২৩) তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। এরা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তা হতে পবিত্র, মহান। (২৪) তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তাঁরই সকল উত্তম নাম। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ الٓـمّٓ ﴿۱﴾ ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَیْبَ ۚۖۛ فِیْهِ ۚۛ هُدًی لِّلْمُتَّقِیْنَ ﴿۲﴾ الَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِالْغَیْبِ وَیُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ ﴿۳﴾ وَالَّذِیْنَ یُؤْمِنُوْنَ بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ ۚوَ بِالْاٰخِرَۃِ هُمْ یُوْقِنُوْنَ ﴿۴﴾ اُولٰٓئِكَ عَلٰی هُدًی مِّنْ رَّبِّهِمْ ٭ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴿۵﴾
উচ্চারণঃ আলিফ-লাম-মীম যা-লিকাল কিতা-বুলা-রাইবা ফীহি হুদাল লিলমুত্তাকীন। আল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিলগাইবি ওয়াইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুমইউনফিকূ ন। ওয়াল্লাযীনা ইউ’মিনূনা বিমাউনঝিলা ইলাইকা ওয়ামাদ উনঝিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনূন। উলাইকা ‘আলা-হুদাম মিররাব্বিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।
অর্থঃ (1) আলিফ লাম মীম [এর প্রকৃত তাৎপর্য আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না]। (2) এই তো কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, আছে মোত্তাকীদের (অন্যায় পরিহারকারী, আল্লাহভীরু, সৎকর্মশীল ও ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিদের) জন্য পথনির্দেশ; (3) যারা অদৃশ্য সত্যকে বিশ্বাস করে, নামায আদায় করে, আর আমি তাদেরকে যা দান করেছি তা থেকে (সৎকাজে) ব্যয় করে; (4) যারা তোমার কাছে যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমার পূর্বে (অন্য নবীদের কাছে) যা নাযিল করা হয়েছিল তা বিশ্বাস করে; আর পরকালের প্রতি তারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (5) এ ধরনের লোকেরাই তাদের প্রভুর সঠিক পথে আছে এবং এরাই সফলকাম।
وَاتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰی مُلْكِ سُلَیْمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَلٰكِنَّ الشَّیٰطِیْنَ کَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنْزِلَ عَلَی الْمَلَکَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَمَارُوْتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِہٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِہٖ ؕ وَمَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِہٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰه ؕ وَیَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَلَا یَنْفَعُهُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَہٗ فِی الْاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِہٖۤ اَنْفُسَهُمْ ؕ لَوْ کَانُوْا یَعْلَمُوْنَ ﴿۱۰۲﴾
উচ্চারণঃ ওয়াত্তাবা‘উ মা-তাতলুশশাইয়া-তীনু‘আলা- মুলকি ছুলাইমা-না ওয়ামা-কাফারা ছুলাইমা-নু ওয়ালা- কিন্নাশশাইয়া-তীনা কাফারূ ইউ‘আলিলমূনান্না-ছাছছিহরা ওয়ামা উনঝিলা ‘আলাল মালাকাইনি ব্বিা-বিলা হা-রূতা ওয়ামা-রূতা ওয়ামা- ইউ‘আলিলমা-নি মিন আহাদিন হাত্তা-ইয়াকূলা ইন্নামা-নাহনুফিতনাতুন ফালা-তাকফুর ফাইয়াতা‘আল্লামূনা মিনহুমা- মা-ইউফাররিকূনা বিহী বাইনাল মারই ওয়াঝাওজিহী ওয়ামা-হুম বিদাররীনা বিহী মিন আহাদিন ইল্লা- বিইযনিল্লা-হি ওয়াইয়াতা‘আল্লামূনা মা-ইয়াদুররুহুম ওয়ালাইয়ানফা‘উহুম ওয়ালাকাদ ‘আলিমূলামানিশতারা-হু মা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন খালাকিওঁ ওয়ালাবি’ছা মা-শারাও বিহী আনফুছাহুম লাও কা-নূইয়া‘লামূন।
অর্থঃ আর সুলায়মানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করত। সুলায়মান কুফরী করে নাই, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত এবং যা বাবিল শহরে হারূত ও মারূত ফেরেশতাদ্বয়ের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা কাউকেও শিক্ষা দিত না এ কথা না বলে যে, ‘আমরা পরীক্ষাস্বরূপ; সুতরাং তুমি কুফরী কর না।’ তারা উভয়ের নিকট হতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে তা শিক্ষা করত, অথচ আল্লাহ্ র নির্দেশ ব্যতীত তারা কারও কোন ক্ষতি সাধন করতে পারত না। তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতি সাধন করত এবং কোন উপকারে আসত না; আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে, যে কেউ তা ক্রয় করে পরকালে তার কোন অংশ নেই। এটা কত নিকৃষ্ট, যার বিনিময়ে তারা স্বীয় আত্মাকে বিক্রয় করেছে, যদি তারা জানত!
وَ اِلٰـهُكُمْ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚلَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِیْمُ ﴿۱۶۳﴾ اِنَّ فِیْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّیْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِیْ تَجْرِیْ فِی الْبَحْرِ بِمَا یَنْفَعُ النَّاسَ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ مَّآءٍ فَاَحْیَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِیْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّةٍ ۪ وَّتَصْرِیْفِ الرِّیٰحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَیْنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّعْقِلُوْنَ ﴿۱۶۴﴾
উচ্চারণঃ ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুল লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়ার রাহমা-নূর রাহীম। ইন্না ফী খালকিছছামা-ওয়াতি ওয়াল আর দিওয়াখতিলা-ফিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াল ফুলকিল্লাতী তাজরী ফিল বাহরি বিমা-ইয়ানফা‘উন্না-ছা ওয়ামাআনঝালাল্লা-হু মিনাছছামাই মিম্মাইন ফাআহইয়া-বিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহা ওয়া বাছছা ফীহামিন কুল্লি দাব্বাতিওঁ ওয়া তাসরীফির রিয়া-হিওয়াছছাহা-বিল মুছাখখারি বাইনাছ ছামাই ওয়াল আরদিলাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।
অর্থঃ আর তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে, যা মানুষের হিত সাধন করে তাসহ সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযানসমূহে, আল্লাহ্ আকাশ হতে যে বারিবর্ষণ এর মাধ্যমে ধরিত্রীকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে আর তার মধ্যে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তারণে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚاَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ۚ لَا تَاْخُذُہٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا بِاِذْنِہٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۚوَلَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِہٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚوَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚوَلَا یَـُٔوْدُہٗ حِفْظُهُمَا ۚوَهُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ ﴿۲۵۵﴾
উচ্চারণঃ null
অর্থঃ আল্লাহ (এমন এক সত্তা যে), তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। (তিনি) চিরঞ্জীব ও অবিনশ্বর। তাঁকে তন্দ্রায় কিংবা নিদ্রায় ধরে না। আসমানে ও জমিনে যা কিছু আছে তা (সব) তাঁরই। এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? যা কিছু তাদের সামনে আছে ও যা কিছু তাদের পেছনে আছে তিনি তা (সব) জানেন। তিনি যতটুকু চান তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী আসমান ও জমিন পরিব্যাপ্ত করে আছে। এ দুইয়ের সংরক্ষণে তাঁর কোন কষ্ট হয় না। তিনি সর্বোচ্চ, মহামহিম।
شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙوَالْمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِالْقِسْطِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ ﴿۱۸﴾ اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ ۟ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ ؕ وَمَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ ﴿۱۹﴾
উচ্চারণঃ শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ওয়াল মালাইকাতুওয়া উলুল ‘ইলমি কাইমাম বিলকিছতিলাইল্লা-হা ইল্লা-হুওয়াল আঝীঝুল হাকীম। ইন্নাদ্দীনা ‘ইনদাল্লা-হিল ইছলা-মু ওয়ামাখতালাফাল্লাযীনা ঊতুল কিতা-বা ইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়ামাইঁ ইয়াকফুর বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ছারী‘উল হিছা-ব।
অর্থঃ (18) আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই; ফেরেশতারা ও জ্ঞানী ব্যক্তিরাও (একই সাক্ষ্য দেয়); (আল্লাহর এই সাক্ষ্য) ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী হিসাবে। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান। (19) আল্লাহর কাছে ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তারা (ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা) তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত মতবিরোধ করেছে। যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অবিশ্বাস করে তাদের জানা উচিত যে, আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
اِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِیْ سِتَّةِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۟ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُہٗ حَثِیْثًا ۙوَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِہٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۵۴﴾ اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْیَۃً ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الْمُعْتَدِیْنَ ﴿۵۵﴾ وَ لَا تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا ؕ اِنَّ رَحْمَتَ اللّٰهِ قَرِیْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِیْنَ ﴿۵۶﴾
উচ্চারণঃ ইন্না-রাব্বাকুমুল্লা-হুল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ফী ছিত্তাতি আইইয়া-মিন ছু ম্মাছ তাওয়া-‘আলাল ‘আরশি ইউগশিল লাইলান নাহা-রা ইয়াতলুবুহূহাছীছাওঁ ওয়াশশামছা ওয়াল কামারা ওয়ান নুজূমা মুছাখখারা-তিম বিআমরিহী আলা-লাহুল খালকুওয়াল আমরু তাবা-রাকাল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন। উদ‘ঊ রাব্বাকুম তাদাররু‘আওঁ ওয়া খুফইয়াতান ইন্নাহূলা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন। ওয়ালা-তুফছিদূফিল আরদিবা‘দা ইসলা-হিহা-ওয়াদ‘ঊহু খাওফাওঁ ওয়া তামা‘আন ইন্না রাহমাতাল্লা-হি কারীবুম মিনাল মুহছিনীন।
অর্থঃ (54) নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু আল্লাহ, যিনি ছয়দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন; (এদের) একটি আরেকটির পেছনে দ্রুত ছুটছে। আরো সৃষ্টি করেছেন তাঁর আজ্ঞানুবর্তী সূর্য, চনদ্র ও নক্ষত্ররাজি। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও আদেশ তাঁরই। আল্লাহ মহিমান্বিত, যিনি সারাবিশ্তের প্রভু। (55) তোমরা মিনতিভরে ও সংগোপনে তোমাদের প্রভুকে ডাক। তিনি তো সীমালংঘন-কারীদের ভালবাসেন না। (56) দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিও না, তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।
وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ ۚفَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْن﴿۱۱۷﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾
উচ্চারণঃ ওয়া আওহাইনাইলা-মূছাআন আলকি‘আসা-কা ফাইযা-হিয়া তালকাফুমাইয়া’ফিকূন। ফাওয়াকা‘আল হাক্কুওয়া বাতালা মা-কা-নূইয়া‘মালূন। ফাগুলিবূহুনা-লিকা ওয়ান কালাবূসা-গিরীন। ওয়া উলকিয়াছছাহারাতুছা-জিদীন। কা-লূআ-মান্না-বিরাব্বিল ‘আ-লামীন। রাব্বি মূছা-ওয়া হা-রূন।
অর্থঃ (117) তখন আমি মূসাকে আদেশ দিলাম যে, তুমি তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো; আর অমনি তা তাদের বানানো বস্তুগুলোকে গিলে ফেলতে লাগল। (118) ফলে সত্য প্রমাণিত হল আর তাদের কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে গেল। (119) এভাবে তারা সেখানে পরাভূত হল এবং লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে গেল। (120) যাদুকরেরা সেজদায় পড়ে গেল। (121) তারা বলল, “আমরা বিশ্বপ্রভুর প্রতি ঈমান এনেছি; (122) যিনি মূসা ও হারূনের প্রভু।”
{(80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ (82)} [يونس: 80 - 82]
উচ্চারণঃ ফালাম্মাআলকাও কা-লা মূছা- মা-জি’তুম বিহিছছিহরু ইন্নাল্লা-হা ছাইউবতিলুহূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউসলিহু‘আমালাল মুফছিদীন। ওয়া ইউহিক্কুল্লা-হুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন।
অর্থঃ (81) অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন মূসা বলল, “তোমরা যা এনেছো তা যাদু। অচিরেই আল্লাহ তা নস্যাৎ করে দেবেন। আল্লাহ তো অনর্থ সৃষ্টিকারীদের কর্ম ঠিক রাখেন না। (82) এবং অপরাধীরা পছন্দ না করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকেন।”
وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾
উচ্চারণঃ ওয়া আল কিমা-ফী ইয়ামীনিকা তালকাফ মা-সানা‘ঊ ইন্নামা-সানা‘ঊ কাইদুছাহিরিওঁ ওয়ালা-ইউফলিহুছছা-হিরু হাইছুআতা-।
অর্থঃ তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেখানেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।”
{وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَى قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ (29) قَالُوا يَاقَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ (30) يَاقَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ (31) وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءُ أُولَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ (32)} [الأحقاف: 29 - 32]
উচ্চারণঃ ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন। কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম। ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম। ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।
অর্থঃ স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল। যখন এরা তার নিকট উপস্থিত হল, এরা বলল, ‘চুপ করে শোনে কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল এরা এদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শুনেছি যা অবতীর্ণ হয়েছে মূসার পরে, এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। ‘হে আমাদের সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হতে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন।’ কেউ যদি আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ فَانْفُذُوْا ؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍ ﴿۳۳﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۴﴾ یُرْسَلُ عَلَیْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ ۬ۙوَّ نُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرٰنِ ﴿۳۵﴾ فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُکَذِّبٰنِ ﴿۳۶﴾
উচ্চারণঃ (৩৩) ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইনিছতাতা‘তুম আন তানফুযূমিন আকতা-রিছ ছামাওয়া-তি ওয়াল আরদিফানফুযূ লা-তানফুযূনা ইল্লা-বিছুলতা-ন। (৩৪) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন । (৩৫) ইউরছালু‘আলাইকুমা-শুওয়া-জু ম মিন্না-রিওঁ ওয়া নুহা-ছুন ফালা-তানতাসিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা- তুকাযযিবা-ন ।
অর্থঃ (৩৩) হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? (৩৫) ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না। (৩৬) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اُوْحِیَ اِلَیَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْۤا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا ﴿۱﴾ یَّہْدِیْۤ اِلَی الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِہٖ ؕ وَ لَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا ﴿۲﴾ وَّ اَنَّہٗ تَعٰلٰی جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّ لَا وَلَدًا ﴿۳﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ یَقُوْلُ سَفِیْهُنَا عَلَی اللّٰهِ شَطَطًا ﴿۴﴾ وَّ اَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَ الْجِنُّ عَلَی اللّٰهِ کَذِبًا ﴿۵﴾ وَّ اَنَّہٗ کَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْاِنْسِ یَعُوْذُوْنَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوْهُمْ رَهَقًا ﴿۶﴾ وَّ اَنَّهُمْ ظَنُّوْا کَمَا ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ یَّبْعَثَ اللّٰهُ اَحَدًا ﴿۷﴾ وَّ اَنَّا لَمَسْنَا السَّمَآءَ فَوَجَدْنٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِیْدًا وَّ شُهُبًا ﴿۸﴾ وَّ اَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ؕ فَمَنْ یَّسْتَمِعِ الْاٰنَ یَجِدْ لَہٗ شِهَابًا رَّصَدًا﴿۹﴾
উচ্চারণঃ (১)কুলঊহিয়া ইলাইইয়া আন্নাহুছতামা‘আ নাফারুম মিনাল জিন্নি ফাকা-লূইন্না-ছামি‘নাকুরআ-নান ‘আজাবা- । (২)ইয়াহদীইলাররুশদি ফাআ-মান্না- বিহী ওয়া লান নুশরিকা বিরাব্বিনাআহাদা- । (৩)ওয়া আন্নাহূতা‘আ- জাদ্দুরাব্বিনা- মাত্তাখাযা সা-হিবাতাওঁ ওয়ালা- ওয়ালাদা- । (৪)ওয়া আন্নাহূকা-না ইয়াকূলুছাফীহুনা- ‘আলাল্লা-হি শাতাতা- । (৫) ওয়া আন্না- জানান্নাআল্লান তাকূলাল ইনছুওয়াল জিন্নু‘আলাল্লা-হি কাযিবা- । (৬) ওয়া আন্নাহূকা-না রিজা-লুম মিনাল ইনছি ইয়া‘ঊযূনা বিরিজা-লিম মিনাল জিন্নি ফাঝা-দূহুম রাহাকা- । (৭) ওয়া আন্নাহুম জান্নুকামা-জানানতুম আল্লাইঁ ইয়াব‘আছাল্লা- হু আহাদা- । (৮) ওয়া আন্না-লামাছনাছছামাআ ফাওয়াজাদনা-হা- মুলিইয়াত হারাছান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা-। (৯) ওয়া আন্না- কুন্না- নাক‘উদুমিনহা- মাকা-‘ইদা লিছছামা‘ই ফামাইঁ ইয়াছতামি‘ইল আনা ইয়াজিদ লাহূশিহা-বাররাসাদা-।
অর্থঃ (1) বল, “আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, একদল জ্বিন কান পেতে (কোরআন) শুনেছে আর বলেছে, “আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, (2) যা (সকলকে) সৎপথ প্রদর্শন করে; তাই আমরা তা বিশ্বাস করেছি। আমরা আমাদের প্রভুর সাথে কাউকে শরীক করব না। (3) উচ্চ হোক আমাদের প্রভুর মর্যাদা! তিনি কোন সঙ্গিনী কিংবা কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি।” (4) “আমাদের নির্বোধেরা আল্লাহ সম্পর্কে অসংযত মিথ্যা বলত; (5) অথচ আমরা মনে করেছিলাম যে, মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলবে না।” (6) “কতক মানুষ ছিল, যারা কতক জ্বিনের কাছে আশ্রয় নিত; ফলে এই জ্বিনেরা ঐ মানুষগুলোর পাপ ও অন্যায় আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। (7) তারা মনে করেছিল, যেমন তোমরাও মনে করো যে, আল্লাহ কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।” (8) “আমরা আসমানে গিয়ে তার (আসমানের) তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাকে কঠোর প্রহরা ও উল্কায় পরিপূর্ণ দেখতে পেয়েছি। (9) আমরা আসমানের বিভিন্ন স্থানে (সেখানকার কথাবার্তা) শোনার জন্য বসতাম, কিন্তু এখন কেউ (তা) শুনতে চাইলে সে তার জন্য প্রস্তুত-রাখা উল্কা দেখতে পাবে।”
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ﴿۱﴾ اللّٰهُ الصَّمَدُ ﴿۲﴾ لَمْ یَلِدْ ۙوَ لَمْ یُوْلَدْ ﴿۳﴾ وَ لَمْ یَكُنْ لَّہٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿۴﴾
উচ্চারণঃ null
অর্থঃ (1) বল, “আল্লাহ এক ও একমাত্র। (2) আল্লাহ চিরন্তন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। (3) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। (4) আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।”
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾
উচ্চারণঃ null
অর্থঃ (1) বল, “আমি প্রভাতের প্রভুর আশ্রয় চাই (2) তাঁর সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, (3) অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা নেমে আসে, (4) সেই রমণীদের অনিষ্ট থেকে যারা (যাদু করার জন্য) গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, (5) এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।”
দু'আর বিষয়
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে