আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮০৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মানুষ মারা গেলে মিলাদ পরা মানুষ বা ফকির খাওয়ান কি জায়েজ। নতুন ঘর দিলে বা নতুন কোন জিনিস কিনলে কি মিলাদ দেওয়া কি ইসলামে জায়েজ আছে কি,

১৩ আগস্ট, ২০২১

৪FGP+২VP

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মুমিনের প্রতিটি কাজ হওয়া চাই সুন্নাহসম্মত পন্থায়। নবীজীর পবিত্র সীরাত হওয়া উচিত তার কাজের আদর্শ। যে কাজে থাকে আদ্যোপান্ত নববী সুন্নাহ ও আদর্শের উপস্থিতি তা রূপে-রসে হয়ে ওঠে অপূর্ব। তার নূর ও খায়ের-বরকত হয় অনন্য।
আর যে কাজ করা হয় মনগড়া ও নবউদ্ভাবিত পন্থায় এবং যার অনুপ্রেরণা হয় প্রচলিত রীতি-রেওয়াজ সেটা হয় নিষ্প্রাণ। তাতে কোনো খায়ের ও বরকত থাকে না। তদুপরি তা বহু রকমের উদ্বেগ, জটিলতা ও সংকীর্ণতার কারণ হয়।
এজন্য হাদীস শরীফে সুন্নাহ্র অনুসরণ আর নবউদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-
فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين، تمسكوا بها وعضوا عليها بالنواجذ، وإياكم ومحدثات الأمور، فإن كل محدثة بدعة، وإن كل بدعة ضلالة.
তোমরা আমার সুন্নাহ ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাহকে মজবুতভাবে ধরে রেখো। আর সকল নবউদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থেকো। কারণ সকল নবউদ্ভাবিত বিষয় বিদআত আর সকল বিদআত গোমরাহী। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪৫

আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ

১- মৃত আত্মীয়-স্বজনের ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে নিজেরাই কুরআন খতম ও দুআ-দরূদ পড়বে। দান-সদকা করবে।
সেই হিসেবে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে গরীবকে খানা খাওয়ানো ইত্যাদি জায়েজ আছে। মূলত এসবই হল শরীয়তের দৃষ্টিতে উত্তম পন্থা।

কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির মিলাদ মাহফিল এবং তাতে বিশেষ মুহুর্তে বিশেষ পদ্ধতিতে দাঁড়ানো এবং তিনদিন, চল্লিশ, এগার দিন ইত্যাদি দিন ধার্য করা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। সেই সাথে খাইরুল কুরুনেও এর কোন নজীর নেই। তাই এভাবে বিশেষ পদ্ধতির মিলাদ মাহফিল করা জায়েজ নয়।

২- নতুন ঘর দিলে বা নতুন কোন জিনিস কিনলে এসবের জন্য মিলাদ ইত্যাদি করা যাবে না। প্রচলিত মিলাদ মাহফিল বিদআত।
হ্যাঁ, খতমে কুরআন বা অন্য কোনো দুআ-দরূদের খতম ইত্যাদি আল্লাহ্‌র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় স্বরূপ করা যেতে পারে। সেটা বিদআত হবে না।

উল্লেখ্য, বরকত এবং বিপদাপদ থেকে মুক্তির জন্য করণীয় হল, ঘরকে গুনাহ-মুক্ত রাখা এবং ঈমান-আমলের পরিবেশ যিন্দা করা। মনে রাখা উচিত, কুরআনের হক কুরআন খতম করানো নয়; বরং কুরআন শেখা, তিলাওয়াত করা, খতম করার চেষ্টা করা এবং কুরআনের বিধান অনুযায়ী আমল করা।

-সহীহ মুসলিম ২/২২৪; শরহু মাআনিল আছার ২/২৪৭; ফয়যুল বারী ৩/২৭৬; শিফাউল আলিল ওয়াবাল্লুল গালিল ১/১৫৭; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামিদিয়্যাহ ২/১৩৯; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৮১৬৪

প্রাইভেট মাদরাসায় জুমার জামাত


৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৬৯৩

বন্ধকি বস্তু ভাড়া দেয়া যাবে কি?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৭৩২৮৯

মসজিদের অপ্রয়োজনী মালামাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করার বিধান


২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রামপাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৪৪৭

কবরস্থানে গিয়েই কি কবর যিয়ারত করতে হবে?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy