و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই!
১। প্রশ্নোক্ত বর্ণিত বিষয়টি একটি কথিত কথাই। হ্যাঁ, যদি মানসিক অর্থ বিভিন্ন পেরেশানিতে জর্জরিত ব্যক্তি উদ্দেশ্য নিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি আল্লাহ তা‘আলার বাণীতেই আছে:
وَمِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنۡ خَلَقَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا لِّتَسۡکُنُوۡۤا اِلَیۡہَا وَجَعَلَ بَیۡنَکُمۡ مَّوَدَّۃً وَّرَحۡمَۃً ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ
অর্থ: "তাঁর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য হতে স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে গিয়ে শান্তি লাভ কর এবং তিনি তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর ভেতর নিদর্শন আছে সেই সব লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।" (সূরা রূম, আয়াত ২১)

যদি মানসিক ভারসাম্যহীন বলতে “সুস্থ বিবেকের অধিকারী হয় এবং পাগলামি ভাব না থাকে/মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়,” তাহলে এমন ব্যক্তি নিজেও বিয়ে করতে পারবে এবং তার কাছে অন্য কেউ বিয়ে করতে পারবে।

২। প্রশ্নোক্ত একই কাজ বারবার করার দ্বারা উক্ত ব্যক্তিকে পাগল হিসেবে ধরা যায় না। বরং ১ নম্বর উত্তরের আওতাভুক্ত হবে। তবে যদি সে পাগলও হয়, তারপরও তার বিয়ে সহীহ হবে। শর্ত হল, অভিভাবকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করাতে হবে। (অভিভাবক তার পক্ষ থেকে ইজাব-কবুলের কাজ সম্পাদন করবে।)

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তির বিবাহ করার দ্বারা বিবাহ সংঘটিত হবে।

পরামর্শ: একই কাজ দুইবার/একাধিকবার করা ওয়াসওয়াসার কারণে হতে পারে। যদি তাই হয়, বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কেননা এক্ষেত্রে আলেমদের দিক-নির্দেশনা ফলপ্রসূ হওয়া প্রমাণিত। তাছাড়া আমাদের মুসলিম বাংলা দু‘আ সেকশনে ওয়াসওয়াসা দূর করার দু‘আ উল্লেখ করা আছে, সেখানে দেখতে পারেন।

শরঈ প্রামাণিকতা:

(وَأَمَّا شُرُوطُهُ) فَمِنْهَا الْعَقْلُ وَالْبُلُوغُ وَالْحُرِّيَّةُ فِي الْعَاقِدِ
(ص267 – كتاب الفتاوى الهندية – كتاب النكاح وفيه أحد عشر بابا – المكتبة الشاملة الحديثة)

قُلْنَا: الْمُعْتَبَرُ ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ مُطْلَقُ الْعَقْلِ وَالْبُلُوغِ دُونَ الزِّيَادَةِ وَالنُّقْصَانِ؛ فَإِنَّ النَّاسَ يَتَفَاوَتُونَ فِي الرَّأْيِ وَالْعَقْلِ تَفَاوُتًا فَاحِشًا، وَلَا اعْتِبَارَ بِهِ
(ص92 – كتاب الاختيار لتعليل المختار – فصل عبارة النساء معتبرة في النكاح – المكتبة الشاملة الحديثة)

وذكر خواهر زاده في “مبسوطه ” من جملة الخصال الأربع النكاح، والطلاق، فقال: لا يجوز طلاق الصبي العاقل، ويجوز طلاق السفيه، وكذا يجوز نكاح السفيه
(ص98 – كتاب البناية شرح الهداية – تصرفات المحجور عليه – المكتبة الشاملة الحديثة)

(وَالْوَلَايَةُ تَنْفِيذُ الْقَوْلِ عَلَى الْغَيْرِ) تَثْبُتُ بِأَرْبَعٍ: قَرَابَةٌ، وَمِلْكٌ، وَوَلَاءٌ، وَإِمَامَةٌ (شَاءَ أَوْ أَبَى) وَهِيَ هُنَا نَوْعَانِ: وِلَايَةُ نَدْبٍ عَلَى الْمُكَلَّفَةِ وَلَوْ بِكْرًا وَوِلَايَةُ إجْبَارٍ عَلَى الصَّغِيرَةِ وَلَوْ ثَيِّبًا وَمَعْتُوهَةٍ وَمَرْقُوقَةٍ كَمَا أَفَادَهُ بِقَوْلِهِ (وَهُوَ) أَيْ الْوَلِيُّ (شَرْطُ) صِحَّةِ (نِكَاحِ صَغِيرٍ وَمَجْنُونٍ
(ص55 – كتاب الدر المختار وحاشية ابن عابدين رد المحتار – باب الولي – المكتبة الشاملة الحديثة)

والمعتوه والمعتوهة والمجنون والمجنونة كالصغير والصغيرة فللولي إنكاحها
(ص208 – كتاب النهر الفائق شرح كنز الدقائق – باب الأولياء والأكفاء – المكتبة الشاملة الحديثة)

والله اعلم بالصواب