আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৮৪৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনাব, আমার আপন ভাগ্নির আপন চাচাতো বোনকে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ?দলীলসহ জানালে উপকৃত হব।

২৫ জুন, ২০২১
সিলেট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



আপনার ভাগ্নির চাচাতো বোনের সাথে আপনার কোন বংশীয় বা বৈবাহিক আত্মীয়তা নেই। তাকে বিবাহ করতে নিষেধ নয়।

যাদেরকে স্থায়ীভাবে বিবাহ করা যাবে না, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে তাদের তালিকা দিয়েছেন-

حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَبَنٰتُکُمۡ وَاَخَوٰتُکُمۡ وَعَمّٰتُکُمۡ وَخٰلٰتُکُمۡ وَبَنٰتُ الۡاَخِ وَبَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَاُمَّہٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَاَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَاُمَّہٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَرَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ ۫  فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫  وَحَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ  وَاَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ  اِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ۙ

তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছ তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু তোমাদের খালা, ভাতিজী, ভাগ্নি, তোমাদের সেই সকল মা, যারা তোমাদেরকে দুধ পান করিয়েছে, তোমাদের দুধ বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমাদের প্রতিপালনাধীন তোমাদের সৎ কন্যা, যারা তোমাদের এমন স্ত্রীদের গর্ভজাত যাদের সাথে তোমরা নিভৃতে মিলিত হয়েছ। তোমরা যদি তাদের সাথে নিভৃত-মিলন না করে থাক এবং তাদেরকে তালাক দিয়ে দাও বা তাদের মৃত্যু হয়ে যায়), তবে (তাদের কন্যাদেরকে বিবাহ করাতে) তোমাদের কোন গুনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীগণও (তোমাদের জন্য হারাম) এবং এটাও (হারাম) যে, তোমরা দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করবে। তবে পূর্বে যা হয়েছে, হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
—আন নিসা - ২৩

وَّالۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَاُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا

সেই সকল নারীও (তোমাদের জন্য হারাম), যারা বিবাহাধীন আছে। তবে যে দাসীরা তোমাদের মালিকানায় এসে গেছে, (তারা ব্যতিক্রম)। এটা তোমাদের প্রতি আল্লাহর বিধান। আর এ ছাড়া অন্য নারীদেরকে নিজেদের অর্থ সম্পদ খরচের মাধ্যমে (অর্থাৎ মাহর দিয়ে নিজেদের বিবাহে আনার) কামনা করাকে বৈধ করা হয়েছে, এই শর্তে যে, তোমরা (বিবাহ দ্বারা) চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার ইচ্ছা করবে, কেবল কাম চরিতার্থকারী হবে না। সুতরাং তোমরা (বিবাহ সূত্রে) যে সকল নারী দ্বারা আনন্দ ভোগ করেছ, তাদেরকে ধার্যকৃত মাহর প্রদান কর। অবশ্য (মাহর) ধার্য করার পরও তোমরা পরস্পরে যেই (কম-বেশি করা) সম্পর্কে সম্মত হবে, তাতে তোমাদের কোন শুনাহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
—আন নিসা - ২৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন