আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

গোপনে বিয়ে করার পুনরায় আকদ করতে হবে?

প্রশ্নঃ ৩০৯৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একটা মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি এবং গোপন বিয়ে করে ফেলেছি, এখন আমাদের বিয়ে কি বিশুদ্ধ বিয়ে হবে না আবার বিয়ে করতে হবে? সম্পর্ক হালাল করার জন্য আসলে বিয়ে করেছি। এখন আমি ইসলামের পথে চলতে চাই।,

১ এপ্রিল, ২০২৩

৭XQF+MVC

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এক. দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সমঝদার স্বাক্ষীর সামনে প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র ও পাত্রীর একজন প্রস্তাব দিলে এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নিলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়।
فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
অর্থাৎ, বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)
আরব বিশ্বের অন্যতম আলেম শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আলমুনাজ্জিদ বলেন,
المسألة اجتهادية .. . .فإنه إذا كان أهل بلد يعتمدون المذهب الحنفي كبلادكم وبلاد الهند وباكستان وغيرها ، فيصححون النكاح بلا ولي ، ويتناكحون على هذا،فإنهم يقرّون على أنكحتهم ، ولا يطالبون بفسخها
অর্থাৎ এটি একটি ইজতিহাদি মাসআলা..সুতরাং যে সব দেশের মানুষেরা হানাফী মাজহাবের উপর নির্ভর করে , ওলী (অভিবাবক) ছাড়া বিবাহবে বৈধ মনে করে এবং এভাবে তাদের বিয়ে হয় যেমন, ভারত, (বাংলাদেশ) পাকিস্তান ইত্যাদি, তাহলে তাদের বিবাহের স্বীকৃতি দেয়া হবে । বাতিল করতে বলা হবে না।
সে হিসেবে আপনারা উক্ত বিয়ে যদি বাস্তবেই দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সমঝদার স্বাক্ষীর সামনে এভাবে করে থাকেন যে, একজন প্রস্তাব দিয়েছেন এবং অপরজন তা গ্রহণ করেছেন তাহলে আপনাদের উক্ত বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বিধায় পুনরায় বিয়ে করার প্রয়োজন নেই।
তবে ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামতকে ‘চূড়ান্ত মতামত’ হিসাবে সাব্যস্ত করলেও পাশাপাশি অভিভাবকের মতামতকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেখুন, আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وأَنْكِحوا الأيامى منكم
আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। (সূরা নুর ৩২)
সুতরাং অভিভাবককে গুরত্ব না দিয়ে আপনারা একটি মহা অন্যায় এবং অমানবিক ও অসামাজিক কাজ করেছেন, তাই আল্লাহ তাআলার নিকট এই গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। পাশাপাশি অভিভাবকের সঙ্গে এমন আচরণ দেখান, যাতে তাঁদের মনোব্যথা দূর হয়ে যায়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯১৩১৩

আমার স্বামী, আমার জামাই বা আমার বউ বলার দ্বারা কি বিবাহ সম্পন্ন হয়?


২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

৭৮৯৮৭

গৃহস্থলি কাজে নারীর দায়বদ্ধতা


২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩৩৭৪০

তাওবা করার পরেও কি ভালো স্ত্রী পাওয়া যাবে না?


২৯ মে, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯০৭৭২

রমাযান মাসে বিবাহ করা


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy