আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৫৭২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোরআন তেলাওয়াত এর ফযিলত অসংখ্য। কিন্ত খতম করার বিশেষ কোন ফযিলত আছে কি না, আছার দারা প্রমানিত কি না? কুরআন খতম করা কি কোন ইবাদাতে মাকসুদা কি না? না হয়ে থাকলে ৩,৫,১০ জন মিলে খতমের ফায়দা কি? জানালে উপকৃত হবো। জাযাকুমুল্লাহ,

২৯ এপ্রিল, ২০২১

Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহ হাকিম সূত্র উল্লেখ করেন

قال: كان محمد بن اسماعيل البخاري، اذا كان اول ليلة من شهر رمضان، يجتمع اليه اصحابه، فيصلي بهم ويقرأ، في كل ركعة عشرين اية، وكذلك الى ان يختم القران وكان يقرا في السحر ما بين النصف الى الثلث من القران، ويختم عند السحر في كل ثلاث ليال، و كان يختم بالنهار في كل يوم ختمة، و يكون ختمه عند الافطار كل ليلة، ويقول : عند كل ختمة دعوة مستجابة.

ইমাম বুখারীর প্রথম রাত থেকেই তাঁর শিষ্যদের নিয়ে রাতের প্রথমভাগে (তারাবীহের) নামায পড়তেন। এতে প্রতি রাকাআতে ২০ আয়াত করে পড়ে কুরআন খতম করতেন। এতে বুঝা যায় তিনি বিশ রাকাআত তারাবীহ পড়তেন। কারণ ৮ রাকাআত করে পড়লে পুরো রমজানে এক খতমও হয় না। অতঃপর শেষ রাতে (তাহাজ্জুদের) নামাজে কুরআন পড়তেন। এতে প্রতি তিন দিনে এক খতম করতেন। আবার প্রত্যহ একবার করে কুরআন খতম করতেন। ইফতারের সময় তার খতম শেষ হতো। তিনি বলতেন: প্রতিবার কুরআন খতমের সময় দোয়া কবুল হয়।
শুয়াবুল ঈমান, ইমাম বাইহাকী হাদীস ২০৫৮, ফাতহুল বারী মুকাদ্দামা ১/৪৮১, তাগলীকুত তালীক ১/৩৯৯

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: