প্রশ্নঃ ২১৮২৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হাদিসে আছে নামাজের এই এই হালতে দোয়া কবুল হয়। আমার প্রশ্ন হলো দোয়া করবো কীভাবে। আমার ভাষায় দোয়া করতে পারবো কি? কোন দোয়া গুলো করা নিষেধ। সঠিক সমাধান জানতে চায় হযরতের কাছ থেকে।,
১৭ আগস্ট, ২০২২
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাযে দোয়া করার স্থানসমূহ দুই প্রকার:
প্রথম প্রকার: যে স্থানগুলোতে দোয়া করা মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে দলিল-প্রমাণ এসেছে ও দোয়া করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। নামাযীর জন্য এ স্থানগুলোতে তার সাধ্যানুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া করা মুস্তাহাব। দোয়ার মধ্যে তিনি আল্লাহ্র কাছে নিজের সাধারণ প্রয়োজন পেশ করবেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে যে সব কল্যাণ পেতে পছন্দ করেন সেগুলোও প্রার্থনা করবেন।
প্রথম স্থান: সেজদাতে। এর দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: "বান্দা তার প্রভুর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় সেজদারত অবস্থায়। অতএব, তোমরা বেশি বেশি দোয়া কর।"[সহিহ মুসলিম (৪৮২)]
এটি সবচেয়ে বেশি দোয়া করার স্থান এবং এখানে দোয়া করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সিজদায় আমরা যা পড়তে পারি, তা হলো...
«سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى»
উচ্চারণ : সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা। অর্থ : আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।’ (তিনবার বলা)
(দাউদ, হাদিস : ৮৭০; তিরমিজি, হাদিস : ২৬২; নাসায়ি, হাদিস : ১০০৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৯৭; আহমাদ, হাদিস : ৩৫১৪)
দুই.
«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي»
উচ্চারণ : সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের প্রভু! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।
(আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭০; তিরমিজি, হাদিস : ২৬২; নাসায়ি, হাদিস : ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদিস : ৮৯৭; আহমাদ, হাদিস : ৩৫১৪)
তিন.
«سُبوحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ»
উচ্চারণ : সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।
অর্থ : (তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রুহের প্রতিপালক।
(মুসলিম, হাদিস : ১/৩৫৩, ৪৮৭; আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭২)
চার.
«اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ»
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ অত্যন্ত বরকতময়। (মুসলিম, হাদিস : ১/৫৩৪)
পাঁচ.
«سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ»
উচ্চারণ : সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
অর্থ : পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।
(আবু দাউদ, হাদিস : ১/২৩০, ৮৭৩; নাসায়ি, হাদিস : ১১৩১; আহমাদ, হাদিস : ২৩৯৮০)
ছয়.
«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ»
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।
(মুসলিম, হাদিস : ১/২৩০, : ৪৮৩)
«اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ»
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।
(মুসলিম, হাদিস : ১/৩৫২, ৪৮৬)
দ্বিতীয় স্থান: শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর, সালাম ফেরানোর আগে। দলিল হচ্ছে—ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন। এরপর তিনি হাদিসের শেষের দিকে বলেন: "এরপর যা ইচ্ছা প্রার্থনা করবে।"[সহিহ বুখারী (৫৮৭৬) ও সহিহ মুসলিম (৪০২)]
তৃতীয় স্থান: বিতিরের নামাযের দোয়ায়ে কুনুতে। এর দলিল আবু দাউদ (১৪২৫) কর্তৃক হাসান বিন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন: রাসূলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু বাণী শিখিয়ে দিয়েছেন সেগুলো আমি বিতিরের নামায দোয়ায়ে কুনুত হিসেবে পড়ি:
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ ، وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
(অনুবাদ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের সাথে আমার দায়িত্বও গ্রহণ করুন। আপনি আমাকে যা কিছু দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। কেননা আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার নির্ধারণের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই। নিশ্চয় আপনি যাকে নৈকট্য দান করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। আপনি যার সাথে শত্রুতা করেন, সে সম্মানিত হতে পারে না। আপনার কল্যাণ অবারিত হোক এবং আপনার মর্যাদা সমুন্নত হোক।)
দ্বিতীয় প্রকার: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাযের বর্ণনায় যে স্থানগুলোতে তিনি দোয়া করেছেন মর্মে উদ্ধৃত হয়েছে। কিন্তু দোয়াকে দীর্ঘ করেননি, খাস করেননি এবং সাধারণ কোন প্রয়োজন পেশ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেননি। কেবল তিনি কিছু সংখ্যক বাক্য দিয়ে দোয়া করেছেন। এ স্থানগুলোর দোয়া সাধারণ দোয়ার বদলে নির্দিষ্ট কিছু যিকির আযকার পড়ার সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রথম স্থান: তাকবীরে তাহরীমার পরে সূরা ফাতিহা শুরু করার আগে দুয়ায়ে ইস্তিফ্তাহ।
দ্বিতীয় স্থান: রুকুতে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে রুকুতে গিয়ে বলতেন:
سبحانك اللهمّ ربنا وبحمدك اللهمّ اغفر لي
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব্ব! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দিন।)[সহিহ বুখারী (৭৬১) ও সহিহ মুসলিমে (৪৮৪) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত]
তৃতীয় স্থান: রুকু থেকে উঠার পর। দলিল হচ্ছে—আব্দুল্লাহ বিন আবি আওফা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলতেন:
اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاءِ ، وَمِلْءُ الْأَرْضِ ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْوَسَخِ
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আপনার প্রশংসা আসমান পূর্ণ করে, জমিন পূর্ণ করে, আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে আল্লাহ্! আমাকে পবিত্র করুন বরফ দিয়ে, শিলা দিয়ে এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। হে আল্লাহ্! আমাকে গুনাহ ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে পবিত্র করুন যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে নির্মল করা হয়)[সহিহ মুসলিম (৪৭৬)]
চতুর্থ স্থান: দুই সেজদার মাঝখানে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সেজদার মাঝখানে বলতেন:
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ، وَارْحَمْنِي ، وَاجْبُرْنِي ، وَاهْدِنِي ، وَارْزُقْنِي
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে হেদায়েতের উপর রাখুন, আমাকে রিযিক দিন।)[সুনানে তিরিমযি (২৮৪)
দোয়া করার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দুইটি: সেজদাতে ও শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর।
হাফেয ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন:
নামাযে দোয়া করার স্থান হচ্ছে- সেজদা কিংবা তাশাহ্হুদ।[ফাতহুর বারী (১১/১৮৬) থেকে সমাপ্ত; আরও দেখুন প্রাগুক্ত গ্রন্থের (২/৩১৮)]
আর সাধারণত যে সকল বিষয় মানুষের নিকট চাওয়া হয় যেমন, টাকা পয়সা ইত্যাদি, সেগুলো যদি নামাজের মধ্যে বলা হয় তাহলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
والله اعلم بالصواب
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরবিয়া মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৯০৩৩৬
ভালোভাবে ধৌত করার পরও নাপাকির দাগ কাপড়ে লেগে থাকলে সে কাপড়ে নামায হবে কি?
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Kaliganj

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
৭০২০৭
নামাজে ঢেকুরের সাথে মুখে খাবার চলে আসলে নামাজের বিধান
৯ অক্টোবর, ২০২৪
ঘোড়াশাল

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে