প্রশ্নঃ ১৮৮১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,আমাদের মসজিদের ইমাম নামাজ শুরু করার সময় আল্লাহু আকবার বলার আগেই হাত বেঁধে ফেলে। বিষয়টা এমন যে সে কান পর্যন্ত হাত তুলে। তার পরে আল্লাহু আকবার বলার আগে হাত বাধে তার পর আল্লাহু আকবার বলে এভাবে তার নামায শুরু হয় হাত বাধা দিয়ে। অথচ আমরা জানি যে নামাজের ভিতরের ফরজ গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম টি হল তাকবীরে তাহরীমা তথা আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। আবার সে যখন রুকু থেকে সিজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে সেটা এমনভাবে বলে জেন মনে হয় যে সে সিজদায় জাওয়ার পরে আল্লাহু আকবার বলেছে।এরকম নামাজের ভিতরের জত জায়গায় তাকবির আছে সব জায়গাতেই সে এমন করে। তাকে আমি বিষয়টা বললে সে তেমন পাত্তা দেখায় না।আর আমার কথার কোনো জবাব ও দেয় নাই। বলে রাখি যে সে এবার মাদ্রাসার 10 শ্রেনিতে পরিক্ষা দিবে এখন আমার ধারনা অনুজায়ি ফরয তরফের কারনে তার নামাজ বাতিল্আর আপনার উত্তর ও যদি এটাই হয় তাহলে আমি কি তার সাথে জামাতে নামায পরা ত্যাগ করব যতদিন সে সংশোধন না করে??বা আপনার মতে আমার কি করা উচিত?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তাকবীরে তাহরিমার মাধ্যমেই নামাজের সূচনা হয়। তার আগে হাত বাঁধা যদিও সুন্নাহ পরিপন্থী কিন্তু এর কারণে তাহরিমার আগেই নামাজ শুরু হয়ে গেছে বলা যাবে না। তাছাড়া নামাজের মধ্যে হাত বাঁধাও সুন্নত। কাজেই তার কাজটি অবশ্যই সুন্নাহ পরিপন্থী এবং তা সংশোধন করে নেয়া উচিত।
আর নামাজের অন্যান্য তাকবিরগুলোও সুন্নত। এবং সেগুলো আদায়ের সঠিক পদ্ধতি হলো, প্রত্যেক ওঠাবসার শুরু থেকে পরবর্তী অবস্থায় পৌঁছা পর্যন্ত তাকবির দীর্ঘায়িত করবে। যেমন রুকু থেকে সেজদায় যাওয়ার সময় দাঁড়ানো থেকে তাকবির শুরু করবে এবং সেজদায় পৌঁছে শেষ করবে। ব্যতিক্রম করা ঠিক নয়। তবে এর কারণে নামাজের বড় ধরণের কোনো ক্ষতি হবে না।
যদি ইমামের নামাজে অন্য কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে উক্ত ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করতে কোনো অসুবিধা নাই। সম্ভব হলে কৌশলে কিংবা সরাসরি তাকে বিষয়টি আবারো বোঝাতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন