আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৮৫৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,১) মেয়েদের মারহাম ছাড়া দূরে কোথাও অবস্থান/ ভ্রমণ করা কি একেবারে হারাম ? যদি তার সাথী থাকার জন্য কোনো মাহরাম না থাকে ? পড়াশোনার জন্য অনেক মেয়েরাই তো ছাত্রীনিবাস এ থাকে , পরিবার বা মাহরাম ছাড়া । তাহলে এটাও কি গোনাহ এর কাজ/ হারাম ?২) যদি আমি কোনো ব্যক্তিকে facebook/youtube account খুলে দেই এবং সে বেপর্দা মহিলা , খারাপ অশ্লীলতা অহেতুক জিনিস দেখে । তাহলে আমি কি গুনাহগার হবো ?,

১৭ মে, ২০২২

রাজশাহী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





১.
শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের জন্য তার মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ৪৮মাইল বা তদাপেক্ষা বেশী দুরুত্বের সফর করা জায়েয নয়। এর কম হলে জায়েয আছে । তবে সর্বাবস্থায় মাহরাম পুরুষের সাথে সফর করাই উত্তম। আর গাইরে মাহরামদের সাথে সফর করা মারাত্তক গোনাহ।হাদীসে মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের সফরের ব্যপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। -বুখারী শরীফ হা: নং১০৮৬,ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪২।
,
সফর কমপক্ষে ৭৮ কিলোমিটারের চেয়ে কম হলে মহিলাগণ পর্দার সাথে একা একা সফর করতে পারবে। ৭৮ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি হলে স্বামী বা মাহরাম ছাড়া কারো সাথে বা একা সফর করা জায়েজ নয়। {আহসানুল ফাতওয়া-৪/৯৫}
,
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখে
এমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
,

فى الدر المختار- ومع زوج او محرم ولو عبدا (الى قوله) لامرأة حرة ولو عجوزا في سفر
وفى رد الرد المحتار-هو ثلاثة أيام ولياليها فيباح لها الخروج إلى ما دونه لحاجة بغير محرم بحر (رد المحتار-كتاب الحج-2/157)
وكذا فى النهر الفائق-2/58-59)

যার সারকথা হলো, শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের সাথে তার স্বামী বা মাহরাম ব্যক্তি থাকতে হবে। কোন নারী থাকলে বা গায়রে মাহরাম কেউ থাকলে হবে না। মহিলাদের মাহরাম ঐ সকল ব্যক্তিদের বলা হয়, যাদের সাথে আজীবন বিবাহ নিষিদ্ধ। যেমন- পিতা, দাদা, ছেলে, নাতি, ভাগিনা, মামা, ভাই, ভাতিজা, শ্বশুর, চাচা, মেয়ের জামাই প্রমূখ।
২. এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, ভালো কাজ করা যেমন সাওয়াবে কাজ, তেমনিভাবে ভালো কাজে কোনোভাবে সহযোগিতা করাও সাওয়াবের কাজ। এর বিপরীতে মন্দ কাজ করা যেমন গুনাহের কাজ, তেমনিভাবে মন্দ কাজে সহযোগিতা করাও গুনাহের কাজ। সুতরাং আপনি উল্লেখিত কাজগুলো করে দেওয়ার পর যদি ওই ব্যক্তি আপনার সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে গুনাহের কাজ করে, তাহলে আপনার সহযোগিতার ফল পাবেন এটাই বুঝে আসে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৭৯৩৮৪

টাকা দিয়ে মিথ্যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বানানো কি জায়েয?


২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Narayanganj

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৩৪০৫৪

ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করা কি হারাম?


২২ জুন, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩০৮৯৭

খেলার সামগ্রী এবং ছবি সম্বলিত পণ্য বিক্রির হুকুম


৪ এপ্রিল, ২০২৩

Yanqul

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩১৮০১

পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করার হুকুম


১ এপ্রিল, ২০২৩

রংপুর ৫৪০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy