আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩৮২০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার স্ত্রী সরকারী প্রাইমারি ইস্কুলের টিচার ছিলেন। উনি মারা যাওওয়ার পর সরকারী পাওনা অর্থ আদায় করতে গিয়ে আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় যাকে ঘুস ও বলা যায়। এ ক্ষেত্রে আমার আদায়কৃত অর্থ আমার জন্য বৈধ না অবৈধ? আমি এই টাকা দিয়ে কি হজ্জ করতে পারব?

১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
Chittagong, Bangladesh

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





ঘুষ আদান প্রদান অবৈধ হলেও , এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ আপনার জন্য বৈধ । কেননা এটা আপনার হক । যদিও ঘুষ প্রদানে আপনাকে বাদ্ধ করা হয়েছে। এবং এ টাকা দিয়ে আপনি হজ্জও আদায় করতে পারবেন।
------------
মূলত ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া স্পষ্ট হারাম। হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহণকারী উভয়কেই অভিসম্পাত করেছেন।

’ (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৩৫৮২)
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েজ নয়। এভাবে চাকরি নিলে ঘুষ দেওয়ার কারণে কবিরা গুনাহ হয়, আবার ঘুষ গ্রহণের কারণেও বড় গোনাহে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে ঘুষদাতা কর্মের অযোগ্য হলে অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর অধিকার নষ্ট করার গুনাহও হয়।

তবে কেউ যদি বাস্তবেই চাকরির যোগ্য হয় এবং (ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্ত্বেও) ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়। আর পরে সে যদি যথাযোগ্য দক্ষতা ও নিপুণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া অবৈধ ও গোনাহ হলেও বেতন হালাল হবে। কিন্তু ঘুষদাতা যদি কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার জন্য ওই চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৩৩৭)

-------

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন