و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
শরীয়তের দৃষ্টিতে বিনিময় অথবা পারিশ্রমিকযোগ্য কাজের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক জানা থাকা অবশ্যক। পারিশ্রমিক উহ্য বা অস্পষ্ট রেখে কোনো কাজ করা জায়েজ নাই। এমনিভাবে মাদরাসা-মসজিদ বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কালেকশন করাও পরিশ্রমের কাজ। কাজেই সেটারও পারিশ্রমিক উল্লেখ (জানা) থাকতে হবে। কিন্তু কমিশন বা অনুপাতিক হারে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা জায়েজ নাই। যেমন 10% বা 20% ইত্যাদী। কাজেই কেউ যদি এভাবে কমিশনকে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে কালেকশন করে তাহলে তার জন্য সেই কমিশন গ্রহন করা জায়েজ হবে না।

وشرطھا کون الأجرة والمنفعة معلومتین؛ لأن جھالتھما تفضي إلی المنازعة (الدر المختار مع رد المحتار،کتاب الإجارة، ۹:۷، ط: مکتبة زکریا دیوبند)،
(تفسد الإجارة بالشروط المخالفة لمقتضی العقد…)کجھالة مأجور أو أجرة أو مدة أو عمل (المصدر السابق، ص ۶۴)،
(ولو دفع غزلا لآخر لینسجہ لہ بنصفہ) أي: بنصف الغزل (أو استأجر بغلا لیحمل طعامہ ببعضہ أو ثورا لیطحن برہ ببعض دقیقہ) فسدت فی الکل؛ لأنہ استأجرہ بجزء من عملہ، والأصل في ذلک نھیہ صلی اللہ علیہ وسلم عن قفیز الطحان (المصدر السابق، ص ۷۸، ۷۹)۔

এর বৈধ পদ্ধতি হলো,
(১) যারা কালেকশন করেন তাদের জন্য (আলোচনা সাপেক্ষে) আলাদা অজিফা নির্ধারণ করা। যেমন মাসে ২০ হাজার বা ৩০ হাজার। আর তাদের দায়িত্ব হলো, জিম্মাদারীর সাথে তাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়া।

(২) কালেকশনের জন্য তাদের কোনো বেতন নির্দিষ্ট থাকবে না। বরং তারা সেটা বিনিময়হীন খেদমত মনের করেই করবেন। কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের হাদিয়া, উপহার, গিফট বা পুরস্কার হিসেবে যেকোনো পরিমাণ টাকা দিতে পারবেন। এমনকি সেটার পরিমাণ আগে থেকেও নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই কালেকশনের সমুদেয় টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। তারপর তারা সেখান থেকে হাদিয়া দিবেন। জমা না দিয়ে নিজ থেকে রেখে দিতে পারবেন না।

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু মাদরাসার বেতনভুক্ত শিক্ষক। তাই আপনি মাদরাসার জন্য স্বেচ্ছাসেবা হিসেবে কালেকশনও করবেন এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য আলাদা কোনো কমিশন তলব করতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ কর্তৃপক্ষ যদি আপনাকে কোনো টাকা দেয় তাহলে সেটা হাদিয়া-উপহার হিসেবে গ্রহন করতে পারবেন। এবং কমিশন হিসেবে নয়। বর্তমানে আপনি যেটা নিচ্ছেন সেটাও হাদিয়া। কমিশন নয়। তাই অবশ্যই কালেকশনের সমুদেয় টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। তারপর তারা সেখান থেকে হাদিয়া দিবেন। জমা না দিয়ে নিজ থেকে রেখে দিতে পারবেন না। মাদরাসা-মসজিদের জন্য যারা কালেকশন করেন তাদের জন্য আশ্যক হলো, বিষয়টিকে এইভাবে সমন্বয় করা।

سوال
مدرسہ کا مہتمم اگر کسی سے مدرسہ کے لیے چندہ مانگے تو کیا اس چندہ سے وہ اپنے لیے بطور کمیشن کچھ روپیہ لے سکتا ہے؟ اگر لے سکتا ہے تو کتنے فیصد لے سکتا ہے؟

جواب
مہتمم مدرسہ کے لیے چندہ میں سے کمیشن لینا جائز نہیں، چندہ کی تمام رقم ادارہ میں جمع کرانا ضروری ہے۔ ( زکوة کےمسائل کاانسائیکلو پیڈیا از مفتی محمد انعام الحق قاسمی صاحب، بعنوان: کمیشن پر زکوة کا چندہ وصول کرنا، ص: ٣٦٨ - ٣٦٩)

البتہ درج ذیل صورتیں اختیار کی جاسکتی ہیں:

1- باقاعدہ ضابطے کے تحت (مثلاً: مجلسِ مشاورت وغیرہ کے مشورے سے) چندے والے ایام کی تنخواہ دوگنی طے کردی جائے، اور تنخواہ کے مصرف سے ہی تنخواہ ادا کی جائے۔

2- ادارہ یہ طے کردے کہ اتنا چندہ لےکرآئے تو اتنا انعام الگ سے دیاجائے گا، مثلاً ایک ہزار روپے لائے تو پچاس روپے بطورانعام کے دیے جائیں گے، لیکن جو چندہ سفیرکرے اس میں سے اجرت طے کرنا غلط ہے۔ فقط واللہ اعلم

https://darulifta-deoband.com/home/ur/halal-haram/177230
https://www.banuri.edu.pk/readquestion/commission-pr-chanda-krna-144111200671/03-07-2020

والله اعلم بالصواب