আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

স্বপ্নের কী দোষ?

প্রশ্নঃ ১৩২০৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শায়েখ,আমার বয়স ২৪ বছর। জীবিকা তাগিদে আমাকে পাহাড়ের মধ্যে থাকতে হয়।এখানে পানির সমস্যা অনেক।আমার মাসে ৪-৫ বার স্বপ্নদোষ হয় আমার কোন খারাপ আভ্যাস নাই তার পরেও স্বপ্নদোষ বেশি হয়। পানির সমস্যা বেশি থাকায় এ অবস্তায় ও নামায আমার ছাড়তে মনে চায় না। এই পরিস্থিতি তে আমি কি করতে পারি জানাবেন। নিজেকে ইসলামের দিকে রাখি,নামাজ, রোযা থাকি তারপর ও কেন এমন হয়। শায়েখ,কোন কাযকারি আমল থাকলে বলবেন প্লিজ আমি খুব সমস্যায় আছি।,

২৬ অক্টোবর, ২০২৪

৭৪৭H+HF৩

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. ঘুমে যৌন উত্তেজনার কারণে বীর্যপাত হওয়াকে যদিও আমাদের সমাজে স্বপ্নদোষ বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আসলে এখানে যিনি স্বপ্ন দেখেছেন তার কোনো দোষ নেই। এবং এজাতীয় স্বপ্নের পিছনে অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ কোনো কারণ থাকে না। এটা মানবজীবনের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে মূলত মানুষের দেহে স্থীরতা তৈরী হয়। মূত্রথলি ভরে গেলে যেমন পেশাব বের হয় ঠিক মানুষ বয়প্রাপ্ত হওয়ার পর তার শরীরেও বীর্য উৎপাদিত হয়ে একটি থলিতে জমা হয়। এখন যদি সে স্ত্রীর সাথে মিলনের মাধ্যমে সেটা বের করে তাহলে তার শরীর স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু যাদের স্ত্রী ব্যবহারের সুযোগ নেই তাদের সেই বীর্যটা ঘুমের মধ্যে বেরিয়ে আসে। সাধারণত বৈবাহিক জীবনে পরিমানমত স্ত্রী সহাবাস করলে সেটা আর থাকে না।

কথিত হারবাল ব্যবসায়ীরা চকদার এবং বিভিন্ন অবাস্তব, কাল্পনিক এবং মিথ্যা গল্প শোনিয়ে এটাকে মানুষের সামনে মারাত্মত রোগ হিসেবে প্রচার করে। এমনকি তাদের প্রোপাগান্ডর শিকার হয়ে মানুষ নিজের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কেও দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকে। মূলতা এটাই তাদের পেটের সম্বল। তা না হলে মানুষ তাদের কাছে ঘেঁষতো না। এরাও এক প্রকারের যৌন ব্যবসায়ী। কাজেই তাদের থেকে সাবধান থাকুন।

২. শরীর থেকে বীর্যস্খলন হলে গোসল ফরজ হয়। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে গোসল করেই নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু যদি আপনার কাছে গোসল করার মতো পানি না থাকে (অর্থাৎ আপনার অবস্থান থেকে নূন্যতম এক মাইল দূরে পানি থাকে) কিংবা সাথে যে পরিমাণ পানি আছে তা দিয়ে গোসল করলে পিপাসার্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে তাহলে সে ক্ষেত্রে শরীরের ময়লা দূর করে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। যদি এমন কঠিন পরিস্থিতির সম্মূখীন হতে না হয় তাহলে গোসল করেই নামাজ আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, গোসলের তায়াম্মুম এবং অজুর তায়াম্মুমের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৭১৯৫

স্ত্রীর দুধ পান করার হুকুম


৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৭৯০৮

বিধবা নারীর বিয়ে হলে তার সন্তানদের লালন পালনের দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে?


২৮ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৯১৭৬

স্ত্রীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলে তৃপ্ত হওয়া হওয়া যাবে কি?


১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

Maharashtra ৪০০০০৩

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৮৯০৭

স্ত্রীর নামের সঙ্গে স্বামীর নাম-পদবি যোগ করা যাবে কি?


৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আশুগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy