আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বিধবা নারীর বিয়ে হলে তার সন্তানদের লালন পালনের দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে?

প্রশ্নঃ ৩৭৯০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একজন বিধবা নারী ১ম স্বামীর সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর কয়েকবছর পর মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এখন তার ১ম স্বামীর ঘরের সন্তানের প্রতি কি তার কোনো দায়িত্ব রয়েছে? সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে? মহিলার ২য় স্বামী যদি মহিলাকে তার ১ম স্বামীর ঘরের সন্তানের সাথে দেখা করতে না দেয় তাহলে কি সে তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া দেখা করতে পারবে?,

২৮ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
যদি কোন বিধবা নারী এমন কোন পুরুষকে বিবাহ করে যে পুরুষ তার সন্তানের মাহারাম নয় তাহলে তার জন্য সন্তান লালন-পালনের কোনো অধিকার বা দয়িত্ব থাকে না। সেক্ষেত্রে ছেলেদের সাত বছর এবং মেয়েদের নয় বছরের আগে লালন-পালনের অধিকার নানী ও পরনানী (নানীর মা) কে দেওয়া হবে। তাদের অনুপস্থিতিতে দাদী ও প্রপিতামহকে, তারপর খালা ও ফুফুকে দেওয়া হবে।

যদি সন্তান লালন-পালনের জন্য কোন মহিলা আত্মীয় না থাকে, তাহলে দাদা বা অন্যান্য আত্মীয় (বংশানুক্রম বা আসাবা হিসেবে) লালন পালনের দায়িত্ব পালন করবে। এই সুযোগ সন্তানের শিক্ষা ও তারবিয়াতের জন্য।

কিন্তু যদি বিধবা নারী তার সন্তানের কোন মাহরাম আত্মীয়কে বিয়ে করে থাকে, যেমন সন্তানের চাচা, তাহলে সেক্ষেত্রে ছেলের সাত বছর এবং মেয়ের নয় বছর পর্যন্ত তাকে তার সন্তানদের লালন-পালনের অধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্বামীর বাধা দেওয়ার কোন অধিকার থাকবে না। তবে এই সময়ের ভরণপোষণের খরচ সন্তানের, নানা, দাদা, চাচা বা অন্যরা বহন করবে এটা তাদের উপর ফরয হবে।

সন্তানদের মরহুম পিতা যদি কোনো মিরাস রেখে যায় তাহলে সেখানে সন্তানদের অংশে যা থাকবে তা তাদের লালন-পালনের পিছনে ব্যয় করা হবে।
قَالَ - رَحِمَہُ اللَّہُ - (وَمَنْ نَکَحَتْ غَیْرَ مَحْرَمِہِ سَقَطَ حَقُّہَا) أَیْ مَنْ تَزَوَّجَ مِمَّنْ لَہُ حَقُّ الْحَضَانَةِ بِغَیْرِ مَحْرَمٍ لِلصَّغِیرِ سَقَطَ حَقُّہَا لِمَا رَوَیْنَا، وَلِأَنَّ زَوْجَ الْأُمِّ یُعْطِیہِ نَزْرًا، وَیَنْظُرُ إلَیْہِ شَزْرًا فَلَا نَظَرَ فِی الدَّفْعِ إلَیْہِ بِخِلَافِ مَا إذَا کَانَ الزَّوْجُ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ لِلصَّغِیرِ کَالْجَدَّةِ إذَا کَانَ زَوْجُہَا الْجَدَّ، أَوْ الْأُمِّ إذَا کَانَ زَوْجُہَا عَمَّ الصَّغِیرِ، أَوْ الْخَالَةِ إذَا کَانَ زَوْجُہَا عَمَّہُ أَوْ أَخَاہُ، أَوْ عَمَّتِہِ إذَا کَانَ زَوْجُہَا خَالَہُ أَوْ أَخَاہُ مِنْ أُمِّہِ لَا یَسْقُطُ حَقُّہَا لِانْتِفَاءِ الضَّرَرِ عَنْ الصَّغِیر ۔ ( تبیین الحقائق : ۴۷/۳، باب الحضانة ، : المطبعة الأمیریة الکبرى)

الولد متی کان عند أحد الأبوین لایمنع الأخر عن النظر إلیہ وعن تعاہدہ۔ (الفتاویٰ التاتارخانیة ۵/۲۷۴رقم: ۷۸۳۵زکریا، الفتاویٰ الہندیة ۱/۵۴۳)

قال الحصکفی :(ثُمَّ) أَیْ بَعْدَ الْأُمِّ بِأَنْ مَاتَتْ، أَوْ لَمْ تَقْبَلْ أَوْ أَسْقَطَتْ حَقَّہَا۔۔۔۔۔۔۔۔أَوْ تَزَوَّجَتْ بِأَجْنَبِیٍّ (أُمِّ الْأُمِّ) وَإِنْ عَلَتْ عِنْدَ عَدَمِ أَہْلِیَّةِ الْقُرْبَی (ثُمَّ أُمِّ الْأَبِ وَإِنْ عَلَتْ) بِالشَّرْطِ الْمَذْکُورِ وَأَمَّا أُمُّ أَبِی الْأُمِّ فَتُوٴَخَّرُ عَنْ أُمِّ الْأَبِ بَلْ عَنْ الْخَالَةِ أَیْضًا بَحْرٌ (ثُمَّ الْأُخْتِ لِأَبٍ وَأُمٍّ ثُمَّ لِأُمٍّ) لِأَنَّ ہَذَا الْحَقَّ لِقَرَابَةِ الْأُمِّ (ثُمَّ) الْأُخْتِ (لِأَبٍ) ثُمَّ بِنْتِ الْأُخْتِ لِأَبَوَیْنِ ثُمَّ لِأُمٍّ ثُمَّ لِأَبٍ (ثُمَّ الْخَالَاتِ کَذَلِکَ) أَیْ لِأَبَوَیْنِ، ثُمَّ لِأُمٍّ ثُمَّ لِأَبٍ، ثُمَّ بِنْتِ الْأُخْتِ لِأَبٍ ثُمَّ بَنَاتِ الْأَخِ (ثُمَّ الْعَمَّاتِ کَذَلِکَ) ثُمَّ خَالَةِ الْأُمِّ کَذَلِکَ، ثُمَّ خَالَةِ الْأَبِ کَذَلِکَ ثُمَّ عَمَّاتِ الْأُمَّہَاتِ وَالْآبَاءِ بِہَذَا التَّرْتِیبِ؛ ثُمَّ الْعَصَبَاتِ بِتَرْتِیبِ الْإِرْثِ، فَیُقَدَّمُ الْأَبُ ثُمَّ الْجَدُّ ثُمَّ الْأَخُ الشَّقِیقُ، ثُمَّ لِأَبٍ ثُمَّ بَنُوہُ کَذَلِکَ، ثُمَّ الْعَمُّ ثُمَّ بَنُوہُ.۔۔ ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۶۳/۳، باب الحضانة، ط: دار الفکر، بیروت)۔

صورت مسئولہ میں اگر بیوہ عورت ایسے مرد سے نکاح کرے گی جو بچوں کا محرم رشتہ دار نہیں ہے ، تو ایسی صورت میں بیوہ کو بچہ کی پرورش کا حق نہیں ہے، ایسی صورت میں سات برس سے پہلے لڑکے اور نو برس سے پہلے لڑکیوں کی پرورش کا حق نانی اور پرنانی کو ملے گا، اُن کے بعد دادی اور پردادی کو، پھر خالہ اور پھوپی کو اور اگر بچوں کی رشتہ داروں میں سے کوئی عورت پرورش کے لیے نہ ملے ، تو دادا وغیرہ ( عصبات کی ترتیب کے مطابق ) پرورش کریں گے ۔ یہ استحقاق بچہ کی تربیت اور مفاد کے خاطر ہے اور اگر بیوہ نے ایسے مرد سے نکاح کیا ہے جو بچوں کا محرم رشتہ دار ہے ، جیسے بچوں کا چچا، تو ایسی صورت میں سات برس تک لڑکے کی پرورش کا حق اور نو برس تک لڑکیوں کی پرورش کا حق بیوہ ماں کو ملے گا اور دوسرے شوہر کو منع کرنے کا کوئی حق نہیں ہوگا ۔اور بچوں کا نفقہ بہر صورت دادا، پردادا ، چچا وغیرہ پر عصبات کی ترتیب پر واجب ہوگا ، اگر مرحوم باپ نے ترکہ میں کچھ مال چھوڑا ہے ، تو بچوں کے حصے میں سے اُن پر خرچ کیا جائے گا۔ (طلاق عدل و انصاف پر مبنی اسلام کا ایک مستحکم قانون، دوسرا حصہ ، ص:۵۱، پرورش کا حق ، ط: مکتبہ دار العلوم /دیوبند )
واللہ تعالیٰ اعلم (دارالافتاء، دارالعلوم دیوبند)
https://darulifta-deoband.com/home/ur/nikah-marriage/151996

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০৫১৯

মেসেঞ্জারে বিবাহ করলে‌ কি তা হয়


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Gazirchat

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩৪৫১৩

স্বামী মেয়েদের সাথে চ্যাট করে; স্ত্রীর করণীয় কী?


১১ জুন, ২০২৩

Narayanganj ১৩৬১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯১৩১৩

আমার স্বামী, আমার জামাই বা আমার বউ বলার দ্বারা কি বিবাহ সম্পন্ন হয়?


২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

৩৬৪৮৯

স্ত্রীসহবাসের হুকুম


২১ জুলাই, ২০২৩

শেরপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy