و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রথমত সচ্ছল জীবন যাপনের জন্য দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করতে কোন বাধা নেই যদি আপনার স্ত্রী বা পরিবার সাথে থাকে। আর যদি শুধু আপনি প্রবাসে থাকেন আর আপনার স্ত্রী দেশে থাকে তবে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি নিম্নরূপ—-
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে নারী ও পুরুষরূপে সৃষ্টি করেছেন। তাদের মাঝে দিয়েছেন যৌবিক চাহিদা। আর সে চাহিদা পূরণের বৈধ পন্থা হলো শরিয়তনির্দেশিত পন্থায় স্ত্রী গ্রহণ করা।
স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক কিছু হক আছে। আল্লাহ তাআলা পুরুষদেরকে সম্বোধন করে বলেন,
{وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ} [النساء: 19]
অর্থাৎ, তোমরা তাদের সাথে উত্তম আরচণ করো। [আন-নিসা : ১৯]
স্ত্রীকে সঙ্গ দেওয়া স্ত্রীর একটি হক। শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি হলো স্বামী স্ত্রী এক সাথে থাকবে। দীর্ঘদিন আলাদ থাকবে না। কেননা এর মাধ্যমেই কেবল একে অপরের হক আদায় করতে পারবে এবং নিজেদেরকে অন্যায় অপকর্ম থেকে রক্ষা করতে পারবে।
উমর রা.-এর খেলাফতকালের এক ঘটনা থেকে জানা যায়, নারীরা তাদের স্বামী ছাড়া চার মাসের বেশি ধৈর্য ধারণ করতে পারে না। যদিও অঞ্চল ভেদে নারীদের চাহিদা ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু উলামায়ে কেরাম উমর রা.-এর এ ফায়সালা থেকে বলেছেন, স্বামী স্ত্রীকে রেখে চার মাসের বেশি প্রবাসে বা দূরে থাকবে না। এর মধ্যে ফিরে আসা স্ত্রীর হক।
হ্যাঁ স্ত্রী যদি মেনে নেয় তাহলে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেও সমস্যা নেই। তবে এ সময়ে যদি তার দ্বারা কোন অপকর্ম সংঘটিত হয় তাহলে অবশ্যই এর দায়ভার স্বামীর উপরও বর্তাবে। আর বর্তমানে তো ফিতনার সয়লাব। আমাদের চোখের সামনে হাজারও দূর্ঘটনা ঘটছে। সেজন্য পরামর্শ থাকবে, যদি দেশে কোন ধরণের টানাপোড়েন ছাড়া পরিবারের সাথে স্বাভাবিকভাবে চলা সম্ভব হয়, তাহলে দীর্ঘদিনের জন্য প্রবাসে না যাওয়া, আর যদি এমন প্রবাসের ব্যবস্থা হয় যে, অল্প বিরতিতে দেশে এসে স্ত্রীকে সময় দেওয়ার সুযোগ আছে তাহলে তো ভালো কথা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন বুঝার তাওফিক দান করুন।
والله أعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب