و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই! ফরয নামায আদায় করার পর সাথে সাথে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক না বললে
(ক) মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে
(খ) অথবা নামায ফাসেদকারী কোনো কথা বা কাজ করলে
(গ) অথবা অযু নষ্ট হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করলে তাকবীরে তাশরীক আদায়ের সময় বাকি থাকে না। তাই এক্ষেত্রে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার জন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর নামাযের পর উপরোল্লিখিত কোনো কাজ না করলে বিলম্বে হলেও তাকবীরে তাশরীক পড়ে নিতে পারবে এবং এর দ্বারা ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। (আলমাবসূত, সারাখসী ২/৪৫ ফাতহুল কাদীর ২/৫০)

উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা বুঝা যায় তাকবীরে তাশরীক মাসনুন আমলের পরও আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে। যদি নামায ফাসেদকারী কোনো কথা বা কাজ ইত্যাদী না করে। তবে আপনার উচিত ছিলো প্রথমেই তাকবীরে তাশরীক পড়ে নেয়া। আপনার কৃত আমলটি তারতীব/ওয়াজিব পরিপন্থী হয়েছে। আগামীতে এমন না করাই কাম্য। যেহেতু ফিকহের কিতাবে নামাযের পর সাথে সাথে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব বলা হয়েছে। কেননা, দেরি করে তাকবীরে তাশরীকের আমল করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত অনেক সময় তাকবীর ছুটে যায়।

শরঈ দলীল:
وَیَجِبُ تَکْبِیرُ التَّشْرِیقِ) فِی الْأَصَحِّ ۔۔۔(عَلَی إمَامٍ مُقِیمٍ)وَ عَلَی مُقْتَدٍ (مُسَافِرٍ أَوْ قَرَوِیٍّ أَوْ امْرَأَۃٍ)۔۔۔ وقالا بوجوبہ فَوْرَ کُلِّ فَرْضٍ مُطْلَقًا) وَلَوْ مُنْفَرِدًا أَوْ مُسَافِرًا أَوْ امْرَأَۃً لِأَنَّہُ تَبَعٌ لِلْمَکْتُوبَۃِ (إلَی)عَصْرِ الْیَوْمِ الْخَامِسِ(آخِرِ أَیَّامِ التَّشْرِیقِ وَعَلَیْہِ الِاعْتِمَادُ)وَالْعَمَلُ وَالْفَتْوَی فِی عَامَّۃِ الْأَمْصَارِ وَکَافَّۃِ الْأَعْصَارِ.''(الدر المختار، کتاب الصلاۃ، باب العیدین،٢/١٧٩،١٨٠،سعید)

''وقالا بوجوبہ فَوْرَ کُلِّ فَرْضٍ مُطْلَقًا) وَلَوْ مُنْفَرِدًا أَوْ مُسَافِرًا أَوْ امْرَأَۃً لِأَنَّہُ تَبَعٌ لِلْمَکْتُوبَۃِ ۔۔۔عَصْرِ الْیَوْمِ الْخَامِسِ(آخِرِ أَیَّامِ التَّشْرِیقِ وَعَلَیْہِ الِاعْتِمَادُ) وَالْعَمَلُ وَالْفَتْوَی فِی عَامَّۃِ الْأَمْصَارِ وَکَافَّۃِ الْأَعْصَارِ.''(الھندیۃ، کتاب الصلاۃ ١/١٥٢،رشیدیۃ)

''وَیَجِبُ تَکْبِیرُ التَّشْرِیقِ) فِی الْأَصَحّ لِلْأَمْرِ بِہِ (مَرَّۃً)۔۔۔(عَقِبَ کُلِّ فَرْضٍ)بِلَا فَصْلٍ یَمْنَعُ الْبِنَاء َ.''الدر المختار)

(قَوْلُہُ بِلَا فَصْلٍ یَمْنَعُ الْبِنَاء َ)فَلَوْ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ أَوْ تَکَلَّمَ عَامِدًا أَوْ سَاہِیًا أَوْ أَحْدَثَ عَامِدًا سَقَطَ عَنْہُ التَّکْبِیرُ.'' (رد المحتار، کتاب الصلوٰۃ، باب صلاۃ العیدین،٢/١٧٧،١٧٩،سعید)

''وَأَمَّا أَدَائِہِ فَدُبُرُ الصَّلَاۃِ وَفَوْرُہَا مِنْ غَیْرِ أَنْ یَتَخَلَّلَ مَا یَقْطَعُ حُرْمَۃَ الصَّلَاۃِ حَتَّی لَوْ ضَحِکَ قَہْقَہَۃً أَوْ أَحْدَثَ مُتَعَمِّدًا أَوْ تَکَلَّمَ عَامِدًا أَوْ سَاہِیًا ۔۔۔لَا یُکَبِّرُ؛ لِأَنَّ التَّکْبِیرَ مِنْ خَصَائِصِ الصَّلَاۃِ.''(البحرالرائق،کتاب الصلوٰۃ،باب صلاۃ العیدین،٢/٢٨٨،رشیدیۃ).

والله اعلم بالصواب