আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৮৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যে সূরায় সিজদাহ আছে সে সূরা কি নামাযের মধ্যে পড়া যাবে?ইহরাম বাধা কি?

২২ ডিসেম্বর, ২০২১
সিলেট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





১-
হ্যাঁ, সেজদার আয়াত সম্বলিত সূরা নামাজের মধ্যে পাঠ করা যাবে।

২--হজ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক অকাট্য দলিলের ভিত্তিতে জারিকৃত ফরজ ইবাদত। হজ ও ওমরার ইবাদতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম রুকনই হলো ইহরাম। ইহরাম সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোনো ধারণা নেই। অথচ হজ ও ওমরা পালনে ইহরাম বাঁধা হলো ফরজ। সংক্ষেপে ইহরাম কি? তার পরিচয় ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো-

Advertisement


ইহরাম কি?اَلْاِحْرَامُ (ইহরাম) শব্দটি حَرَامٌ (হারাম) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো কোনো জিনিসকে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেয়া। আর এ ইহরামই হজ ও ওমরার প্রথম ফরজ কাজ। পুরুষদের জন্য সেলাইবিহীন দুই টুকরো সাদা কাপড় আর নারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় শালীন পোশাক পরিধান করাই হলো ইহরাম।

ইহরাম কেন?এ কারণেই হজ ও ওমরা পালনকারী ব্যক্তি ইহরামের মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের ক্ষৌর কর্যাদি, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাই করা পোশাক পরিধান এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয়কে হারাম করে নেয়।

প্রকাশ থাকে যে-উল্লেখিত কাজগুলো পাশাপাশি ‘হজ ও ওমরা’ এ দুটির মধ্যে যেটি আদায় করার ইচ্ছা করবে; তার নিয়ত করে চার ভাগে উচ্চ স্বরে তিন বার তালবিয়া পাঠ করাকেই ইহরাম বলে।

Advertisement


ইহরামের প্রয়োজনীয়তানামাজের জন্য যেমন তাকবিরে তাহরিমা বাধা হয়। তেমনি হজের জন্য ইহরাম বাধা হয়। তাকবিরে তাহরিমার দ্বারা স্বাভাবিক অবস্থার হালাল ও বৈধ কাজগুলো নামাজি ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায়ের সময় হারাম হয়ে যায়।

ঠিক ইহরামের মাধ্যমেই হজ ও ওমরা পালনকারী ব্যক্তির জন্যও স্বাভাবিক অবস্থার অনেক হালাল কাজও হারাম হয়ে যায়। এ কারণেই হজ ও ওমরার জন্য ইহরামে ফরজ করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ ও ওমরা পালনকারীকে সঠিকভাবে ইহরাম বাধার ও ইহরাম বাধার করণীয় সম্পর্কে জানার তাওফিক দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন