আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৩৩৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাযে প্রথম রাকাআতে যদি ৯৩ নং সুরা তেলাওয়াত করি এবং দ্বিতীয় রাকায়াতে যদি ৯৫ নং সুরা তেলাওয়াত করি তাতে কি কোনো সমস্যা হবে?** কোরান তেলাওয়াতের সাথে সাথে যদি তাফসির পড়ি তাহলে কি পুনরায় তেলাওয়াতের সময় আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পরে নিতে হবে???

১৫ ডিসেম্বর, ২০২১
ভালুকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী। তবে কোনো কারণে যদি ওই ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয়ে যায় তাহলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। কিন্তু অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না। যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,

ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ اﻟْﻔَﺼْﻞُ ﺑِﺴُﻮﺭَﺓٍ ﻗَﺼِﻴﺮَﺓٍ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﻘْﺮَﺃَ ﻣَﻨْﻜُﻮﺳًﺎ وفي الشامية تحت قوله(و يكره..........و يتم) ﺃَﻓَﺎﺩَ ﺃَﻥَّ اﻟﺘَّﻨْﻜِﻴﺲَ ﺃَﻭْ اﻟْﻔَﺼْﻞَ ﺑِﺎﻟْﻘَﺼِﻴﺮَﺓِ ﺇﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺇﺫَا ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻦْ ﻗَﺼْﺪٍ، ﻓَﻠَﻮْ ﺳَﻬْﻮًا ﻓَﻼَ ﻛَﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺷَﺮْﺡِ اﻟْﻤُﻨْﻴَﺔِ.
রদ্দুলমুহতার১/৫৪৭

বিঃদ্রঃ ক্বেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার বিধান শুধুমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে। নফলের ক্ষেত্রে উক্ত বিধান প্রযোজ্য নয়। যেমন দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭَﻻَ ﻳُﻜْﺮَﻩُ ﻓِﻲ اﻟﻨَّﻔْﻞِ ﺷَﻲْءٌ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚ
ভাবার্থঃ নফল নামাযে ধারাবাহিতা রক্ষা না করে পড়া মাকরুহ নয়। ১/৫৪৭

তবে ইচ্ছাকৃত ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ।অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না। ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৪৩২ কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৫ আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন