প্রশ্নঃ ১১১৬৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন ও থাকবেন।আমার ২টি প্রশ্নের উত্তর দিবেন।১।- বেতের নামাজের পরে যে নফল নামাজ আছে সেটি বসিয়া পড়া উত্তম, না দাঁড়াইয়া পড়া উত্তম।২।- যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ পড়ার সময় সালাম ফিরানোর পর ওয়াক্ত চলে যায় তাহলে নামাজ তো হয়ে গেলো কিন্তু সেই ওয়াক্তের নামাজের শেষে যে দোয়া, দুরূদ, তসবিহ, জিকির ইত্যাদি পড়া হয় সেগুলো ওয়াক্তের পরেও পড়া যাবে কি?
৬ ডিসেম্বর, ২০২১
West Bengal ৭২১৪০১
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১.
নফল নামায ওযর ছাড়াই বসে আদায় করতে পারবে। তবে এতে সওয়াবের অর্ধেক পাবে। তাই দাঁড়িয়ে রুকু সেজদা করে নামায আদায় করাই উত্তম। কিন্তু শরয়ী ওযরবশত বসে আদায় করলেও পূর্ণ ছওয়াব পাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَاعِدِ
‘ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বসে সালাত আদায়কারী ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ান ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে সালাত আদায় করল, তার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব।
★এশার সালাতের পর সুন্নাত বিতর পড়ে বসে নফল আদায়ের বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত।
হাদীস শরীফে হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .
রাসূলুল্লাহ সা. বিতিরের পর বসে বসে দুই রাকাত নামায পড়েছেন। (সহীহমুসলিম-৭৩৮)
তবে অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায় বিষয়টি ওজরের কারণেই ছিল।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। অতঃপর রুকূ করার ইচ্ছা করলে উঠে দাঁড়িয়ে যেতেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭৩১নং)
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘রাতের নামাযে আমি নবী (সাঃ)-কে বসে ক্বিরাআত করতে দেখিনি। অতঃপর তিনি যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন, তখন তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। পরিশেষে যখন ৪০ বা ৩০ আয়াত বাকী থাকত, তখন তিনি খাড়া হয়ে তা পাঠ করতেন। অতঃপর (রুকূ) সিজদা করতেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭৩১নং, আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)
২.
জি পড়া যাবে। বরং ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে মনে করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া অনুচিত।
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১