মুসলিম বিবাহ

আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কখন গোসল ফরজ?

প্রশ্নঃ ১০৫১১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার স্বপ্নদোষ হলে সেটা যদি কোন অবস্থায় শরীরে কাপড়চোপড়ে না লাগে তাহলে কি গোসল ফরজ,

২১ জুলাই, ২০২৫

Naodoba

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


স্বপ্নদোষ হলে বীর্যপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত হলে, সেটা শরীরে বা কাপড়ে লাগুক বা না লাগুক, সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে।

তিনটি অবস্থায় গোসল ফরজ হয়। এ অবস্থায় গোসল না করলে অপবিত্র থাকতে হয়। তা হলো,

১. স্বপ্নদোষ হলে।

ঘুম কিংবা জেগে থাকা অবস্থায় শারীরিক উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হলে ওই ব্যক্তির ওপর গোসল করা ফরজ। গোসল না করা পর্যন্ত সে অপবিত্র থাকবে। তবে ঘুমে থাকা অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কারণ অনেক সময় ঘুমে স্বপ্নদোষ হলে টের পাওয়া যায় না। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যদি কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখা যায় আর সেক্ষেত্রে স্বপ্ন দোষের কথা স্মরণ থাকুক আর না থাকুক এ অবস্থায়ও গোসল করা ফরজ। (হেদায়া)

২. স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করলে।

সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল করা ফরজ। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে। তাতে বীর্যপাত হোক আর না হোক; উভয়কে গোসল করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম)


৩. হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত হলে।

নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়েজ) বন্ধ হলে এবং সন্তান প্রসব করার পর রক্ত (নেফাস) বন্ধ হলে পবিত্রতার নিয়তে গোসল করা ফরজ। যতদিন রক্ত বন্ধ না হবে ততদিন ওই নারী অপবিত্র থাকবে।

মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে নারী-পুরুষের যৌনমিলন, স্বপ্নদোষ বা যে কোনো উপায়ে বীর্যপাতের মাধ্যমে কিংবা হাফেজ-নেফাসের কারণে অপবিত্র হলে তাকে পবিত্রতা হওয়ার নির্দেশ দেন এভাবে-

وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ

‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)


البحر الرائق :

’’فرض الغسل عند خروج المني موصوف بالدفق و الشهوة عند الإنفصال عن محله‘‘. (كتاب الطهارة، [ المعاني الموجبة للغسل] ١/ ٥٥، ط: سعيد)

الدر المختار مع رد المحتار :

’’لو احتلم أو نظر بشهوة فأمسك ذكره حتي سكنت شهوته، ثم أرسله فأنزل وجب عندهما لا عنده ... وبقول أبي يوسف ناخذ‘‘.

و في الشامية: ’’ظاهره الميل إلی اختيار ما في النوازل، و لكن أكثر الكتب علي خلافه حتي البحر و النهر، و لا سيما قد ذكروا أن قوله: قياس، و قولهما: استحسان، و أنه الأحوط، فينبغي الإفتاء بقوله في مواضع الضرورة فقط، تأمل‘‘. (كتاب الطهارة، مطلب في تحرير الصاع و المد و الرطل، ١/ ١٥٩، ١٦٠، ط: سعيد)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩১০৯৫

উপায়হীন অবস্থায় অপবিত্র কাপড়ে নামাজ পড়া


৩১ মার্চ, ২০২৩

Dhaka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৮০১৮৮

TVS টেস্টের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?


২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

নরসিংদী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮৯১৫৬

পিরিয়ড চলাকালীন অজু অবস্থায় থাকার লাভ


১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

চট্টগ্রাম ৪২১৭

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৩০২৬

পাকা বা টাইলস বিশিষ্ট ফ্লোরে বাচ্চা প্রস্রাব করলে তা পবিত্র করার পদ্ধতি


১২ মে, ২০২৩

হোমনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের