আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১৩৯৬৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
প্রত্যাশা করি আল্লহর রহমতে ভালো আছেন।

উস্তাদ, কোন বাবা-মা তার এক কন্যা সন্তানের পড়াশোনার জন্য ২০ লক্ষ টাকা খরচ করলেন। অপর কন্যা সন্তানের পড়াশোনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ করলেন। দুই কন্যা দুই ধরনের পড়াশোনা করেছেন, দুই জনের প্রতিষ্ঠান এর খরচ দুই রকম হওয়ায় এমন ভিন্ন পরিমাণের খরচ হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল, বাবা মায়ের সামর্থ থাকলে যে কন্যার পড়াশোনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তাকে কি আরোও ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দিতে হবে যেহেতু অন্য সন্তানের পড়াশোনার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা আরও বেশি খরচ হয়েছিল?

জাযাক আল্লহু খয়ির।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
Dhaka 1216
#১৩২৭১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,

আমার একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো ৬ মাসের আমরা দুইজনই দুইজনকে ভালোবাসতাম। পরে একদিন মনে হলো এইটাতো হারাম কাজ পরে আমি আমার পরিবারকে মেয়েটির বিষয়ে জানাই । কিন্তু আমার পরিবার মেয়েটিকে গ্রহণ করবে না বলে দিছে আমার মা বাবা ও রাজি না কারন আমি আমার মা বাবার এক মাএ সন্তান তারা তাদের পছন্দ মতো মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে। পরে আমি মেয়েটিকে অনেক ভাবে বোঝানর চেস্তা করছি কিন্তু মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে সে কিছুই বুজতে চায় না। সে শুধু বলে আপনি আমার বিশাস ভাংলেন। আর আমি ও আমার মা বাবাকে কস্ত দিতে চাই না। কিন্তু মেয়েটা আমার জন্ন্যে কাদে। আর আমি, ও মা কে রাজি করাতে পারছি না। এখন আমি কি করবো ?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা
#১৩১৫৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
হুজুর আশা করি ভালো আছেন।
আমি যখন নাবালক ছিলাম যখন আমার বয়স ছিল সাড়ে ১১ বছর তখন তুচ্ছ একটি বিষয়ে বলতে গেলে বিনা কারণেই আমার চেয়েও ছোট ৭ বা ৮ বছরের একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে সিরিয়াস ভাবে মেরেছিলাম। ছেলেটাকে এমন ভাবে মেরেছিলাম যে ও ২ দিন অসুস্থ হয়ে বিছানা থেকে উঠতে পারেনি। এরকম আরো অনেক ছোট বাচ্চাদের মেরেছিলাম আমার ঐ বয়সে, একজনকে মেরে ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আজ বড্ড মায়া হয় এবং অনুতপ্ত লাগে। ওদের কাছে মাফ চাওয়ারও সুযোগ নেই এখন। এখন আমি কি করতে পারি? আমি কি ওদের পক্ষ থেকে আল্লাহর নামে সদকাহ করে দিতে পারি? আর কি করতে পারি একটু কষ্ট করে জানালে উপকার হয়? আমার জন্য দোয়া করবেন।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৩১ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা
#১২৪৮২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি যখন নবম শ্রেণিতে পড়ি এখজন শিক্ষক আমাকে পড়াত ২০০০ টাকার বিনিময় আমার মা বাবার সাথে চুক্তি করে কিন্তু ওই শিক্ষক আমার থেকে জোড় করে, নানা ধরনের কথা বলে যৌন হয়রানি করত। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বেশি নিত তবে শেষ এর তিন মাস আমি ওনাকে আর কোনো টাকা দেয়নি ওনার খারাপ আচরণ এর কারনে তবে উনি এখনো এই টাকা দাবি করে বলে দিতে নাহলে উনি দাবি রাখবে এটা সেটা,,, তবে উনি মা বাবার সাথে চুক্তি ২০০০ এর ই করেছিল,, এখন কি করনীয়?? আর উনাকে টাকা দিতে গেলে আবার উনার যৌন হয়রানি শিকার হতে হবে,, আর উনি কি এটি পাওনা হবে,,
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
৮ জানুয়ারী, ২০২২
Brahmanbaria
#১১৮৯৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম,

বাবা মার কথা শোনা ওয়াজিব!

আচ্ছা, যদি তারা কাফির হয় বা নামে মুসলিম কিন্তু ইসলামী শরীয়তের কোনো তোয়াক্কা করেন না, তার ছেলে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে ফলো করলে নিচু চোখে দেখে, বা আল্লাহর হারামকে হালাল বানিয়ে ফেলে, হারামের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে এসব আইনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে!
আবার এমন কোনো বাবা মা আছেন, যারা কবর পূজারী মুখে সব সময় তাদের ভন্ড বাবাদের জিকির থাকে!

প্রশ্ন ১: এসব করলেও তাদের কথা শুনা ওয়াজিব?

প্রশ্ন ২: বাবা ইসলাম পালন করতে বাধা দেয়, যেমন নামাজ, রোজা, পর্দা করতে বাধা দেয়, শিরক করতে বাধ্য করে, খারাপ ব্যাবহার করে!

এমতাবস্থায় সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ হবে?

সম্পূরক প্রশ্ন: বাবা যদি হারাম আয় করে, তাহলে আমি হালাল আয়ের পথ খুঁজে আব্বার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবো?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
ঢাকা
#১১৭০৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আজেকে প্রথম আমি প্রশ্ন করছি, ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
বর্তমানে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়াও বেড়ে গিয়েছে এবং সরকার বর্ধিত ভাড়াও ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু অনেক গাড়ি তাদের ইচ্ছা মত ভাড়া দাবি করছে। যেমন আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা, আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা, সরকার কর্তৃক ৩০% বর্ধিত করলে ৭ টাকা মত হয়। আমার কাছে ১০ টাকা চাওয়া হল অর্থাৎ ৭০% বেশি। আমি ১০ টাকা দিতে রাজি না হলে বলা হল, ১ টাকাও কম নিবে না, না হলে ভাড়া দেওয়া লাগবে না, পরকালে নিবে। ( এমন ঘটনা অবশ্য অনেক সময়ই চোখে পড়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাড়া না দিয়ে নিমে যাওয়া)

আমিও রাগ করে ভাড়া না দিয়ে নেমে গেলাম, পরে আমি ৭ টাকা একজন ভিক্ষুককে দিয়ে দিলাম এই ভেবে যে পাওনাদার না পাওয়া গেলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হয়।
তবুও মনের দিক থেকে পুরাপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না যেহুতু ব্যাপার টা বান্দর হক।
আমার কাজটা ঠিক হলো কিনা এবং এমন পরিস্থিতিতে আমার করণীয় কি হবে কুরআন সুন্নাহের আলোকে জানালে খুবই উপকৃত হব, ধন্যবাদ।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
দেবহাটা