আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৭০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আজেকে প্রথম আমি প্রশ্ন করছি, ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বর্তমানে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়াও বেড়ে গিয়েছে এবং সরকার বর্ধিত ভাড়াও ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু অনেক গাড়ি তাদের ইচ্ছা মত ভাড়া দাবি করছে। যেমন আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা, আগে ভাড়া ছিল ৫ টাকা, সরকার কর্তৃক ৩০% বর্ধিত করলে ৭ টাকা মত হয়। আমার কাছে ১০ টাকা চাওয়া হল অর্থাৎ ৭০% বেশি। আমি ১০ টাকা দিতে রাজি না হলে বলা হল, ১ টাকাও কম নিবে না, না হলে ভাড়া দেওয়া লাগবে না, পরকালে নিবে। ( এমন ঘটনা অবশ্য অনেক সময়ই চোখে পড়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাড়া না দিয়ে নিমে যাওয়া) আমিও রাগ করে ভাড়া না দিয়ে নেমে গেলাম, পরে আমি ৭ টাকা একজন ভিক্ষুককে দিয়ে দিলাম এই ভেবে যে পাওনাদার না পাওয়া গেলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হয়। তবুও মনের দিক থেকে পুরাপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না যেহুতু ব্যাপার টা বান্দর হক। আমার কাজটা ঠিক হলো কিনা এবং এমন পরিস্থিতিতে আমার করণীয় কি হবে কুরআন সুন্নাহের আলোকে জানালে খুবই উপকৃত হব, ধন্যবাদ।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
দেবহাটা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





ঝগড়াঝাঁটি শেষে পরিবহনের ভাড়া না দিয়ে নেমে যাওয়া কিছুতেই উচিত হয়নি। তার ন্যায্য ভাড়া পরিশোধ করা আপনার জন্য ফরজ।
সাধ্য অনুযায়ী ঐ পরিবহন খুঁজে নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করে দিন। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও কাঙ্খিত পরিবহন না পেয়ে থাকলে ঐ কোম্পানির যদি আরো কোন ব্যবসা থাকে, সেখানে পরিশোধ করলেও চলবে। এটিও সম্ভব না হলে সর্বশেষ অনন্যোপায় হয়ে সমপরিমাণ টাকা সদাকাহ করবেন। এর আগে নয়।

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَلَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
—আন নিসা - ২৯

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৯৯৫১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমরা ৪বোন ১ভাই, ভাই সবার ছোট, বাবা মা বেচে আছেন আলহামদুলিল্লাহ, ৪বোনই বিবাহিতা, ভাই এখনো ছাত্র(২৬)।
আমাদের ঢাকায় একটি ৩তলা বাড়ি আছে, গ্রামে পাকা ১তলা বাড়ি আছে শহরে, এ ছাড়াও কিছু ধানী জমি আছে আমার বাবার। গ্রামে আমার ভাই এর নামে বাবা আলাদা জমি কিনে রেখেছেন। গ্রামের বাড়ির জমিসহ বর্তমান মূল্য ২কোটির মতো বার আরও বেশি। গ্রামের বাড়ির জমিতে চাচার অংশ আছে।
২০১৮ সালে আমার বাবা ঢাকার বাড়িটি আমার ভাইয়ের নামে হেবা আইন অনুযায়ী লিখে দেয় কিন্তু এই বিষয়ে কেউ কিছু জানে না এমনকি আমার ভাইও, আমি জেনেছি শুধু। আমার বাবা মা ওই বাড়িতেই থাকেন।
আমি জানতে চাচ্ছি,

১. আমার বাবা মা ভাইকে যে বাড়িটি লিখে দিয়েছেন তাতে আমরা বোনেরা কষ্ট পেয়েছি যে ওনারা আমাদের সমান চোখে দেখেননা আর আমাদের বঞ্চিত করেছেন। এতে করে আমার বাবা মায়ের কি কোন গুনাহ হবে? ইসলাম কি এমন দানকে সায় দেয়?

২. আমার ভাইয়ের হাতে মালিকানা হস্তান্তর হয়নি এখনো, যা বুঝলাম বাবা মা বেচে থাকতে তা হবে না। এমন দান কি বৈধ?

**আমাদের বাকি জমিগুলোতে কোন না কোন সমস্যা আছে যা আমাদের জীবদ্দশায় ভোগ করা বা মালিকানা ঠিক করা অসম্ভব বলতে গেলে। এই বাড়িটিতে কোন সমস্যা নেই শুধু।

ধন্যবাদ
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৪ জুলাই, ২০২২
ঢাকা