আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৯৭২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার ছোট খালার বিয়ে হয় জেনারেল শিক্ষিত এক ফ্যামিলিতে, দ্বীনদারীতে যারা একদম শূন্যের কোঠায়। তাছাড়া তাদের ঘরের পরিবেশও ততো ভালো নয়। খালাকেও তারা দ্বীন থেকে সরে আসতে বাধ্য করে। এমনকি এক পর্যায়ে বোরখা পর্যন্ত পরতে দেয় না।

অনেক বুঝিয়েও কোনো লাভ না হওয়ায় আমার বড় মামা, খালাকে ঐ বিয়ে থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন এবং এক পর্যায়ে তাদের তালাকও হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় খালার দু‘বছরের ছোট ছেলেটিকে নিয়ে। শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা জোর করে তাকে নিয়ে যায়। আমরা কয়েক বছরের জন্য রাখতে চাইলেও তারা সম্মত হয় না।

আমরা জানতে চাই, ইসলামের দৃষ্টিতে এই ছেলের উপর বেশি অধিকার কার? মায়ের না বাবার? জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#৮২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা ছয় ভাই দুই বোন। বোনদের বিবাহ হয়ে গেছে। তিন ভাইয়ের আলাদা সংসারও আছে। আমরা দুই ভাই আলেম ও হাফেজ। আমরা তিন ভাই আব্বা-আম্মার সাথে আছি। আমাদের মধ্যে বড় ভাইয়ের আমল ভাল। তাই আব্বা-আম্মা তাকে নিয়ে হজে¦ গেছেন। আর তাকে ও ভাবিকে আর্থিক সহযোগিতাও করেন। আমাদের ভাইদের আবদারে আব্বা হজ¦ থেকে এসে আমাদের ৬ ভাইয়ের জন্য জমি ক্রয় করেছেন। তাতেও বড় ভাইকে অন্যদের থেকে বেশি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এগুলো ওয়ারিস সম্পত্তি হিসেবে নয়, যা মৃত্যুর পর সন্তানরা পায়। এখন জানার বিষয় হল, আব্বার শুধু বড় ভাইকে নিয়ে হজে¦ যাওয়া এবং তারা স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা ও বিষয়-সম্পত্তি বেশি দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না?

নতুন জমিতে আমাদের বোনেরা অংশিদার হবে কি না? যদি হয় তাহলে কীভাবে হবে? অনুগ্রহ করে শরয়ী সমাধান দিয়ে উপকৃত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

মুহতারাম, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকি, যা আমার বাবা তার জীবদ্দশায় মায়ের নামে লিখে দিয়েছেন। এখানে মায়ের ও আমাদের রুম ভিন্ন এবং ওয়াশরুমও ভিন্ন। বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী আলাদা বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। তার যুক্তি হল, ‘তোমার বড় ভাই যদি তোমার ভাবিকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারে তাহলে তুমি কেন পারবে না।’ কিন্তু একে তো আমার এই পরিমাণ সামর্থ্য নেই যে, আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকব। তাছাড়া আলাদা হয়ে যাবার মতো কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে হয় না। অর্থাৎ কারণে অকারণে ঝগড়া-বিবাদ, মনোমালিন্য বা একে অন্যের খুঁত ধরা- এজাতীয় কিছু তাদের মাঝে সাধারণত হয় না। শুধু বড় ভাইয়ের স্ত্রীর প্রতি ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে সে এরকম আলাদা বাসা ভাড়া নেওয়ার আবদার করছে। মুহতারামের নিকট জিজ্ঞাসা হল, শরীয়তের দৃষ্টিতে তার এই আবদার কি ঠিক আছে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এক বোনকে কিছু দিন আগে তার স্বামী তালাক দিয়ে দেয় এবং দু’জনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের বোন তার ইদ্দত পূর্ণ করে। এরপরই তার বিবাহের নতুন সম্বন্ধ আসতে শুরু করে। এদিকে তাদের পনেরো মাস বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এই মুহূর্তে সে তার মায়ের কাছেই অর্থাৎ আমাদের বাড়ীতেই আছে। তবে তার বাবার পরিবার থেকে বলা হচ্ছে, মেয়ের মা যদি অন্যত্র বিবাহ করে তাহলে সে বা এ বাড়ীর অন্য কেউ বাচ্চার লালন-পালনের অধিকার ধরে রাখতে পারবে না। বাবার পরিবারই নাকি তখন মেয়ের প্রতিপালনের একমাত্র হকদার। মুহতারামের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, শরীয়তের দৃষ্টিতে বাচ্চার প্রতিপালনের বেশি হকদার কে? মা নাকি বাবা? তাছাড়া বাচ্চার মা অন্যত্র বিবাহ করলে কি সত্যিই সে আর বাচ্চার প্রতিপালনের অধিকার রাখে না? যদি নাও রাখে তথাপি মায়ের পর বাচ্চার প্রতিপালনের বেশি হকদার কে? এবং এর কোনো সময়সীমা আছে কি না? বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০