আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক ব্যক্তির ছেলে-মেয়ে উভয়ে সামর্থ্যবান। সকলের বিবাহ হয়ে গেছে। তাদের মা-বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেলে ছেলে মা-বাবার খরচ বহন করে। তবে ছেলে বলতে চায় যে, বোনেরও তো টাকা-পয়সা আছে। সেও যেন আমার সঙ্গে সমানভাবে মা-বাবার খরচ বহন করে। জানতে চাই, বিবাহিতা মেয়ের উপর কি বাবা-মায়ের খরচ বহন করা জরুরি?

৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মেয়ের যদি নিজস্ব মালিকানাধীন (স্বামীর নয়) সম্পদ থাকে এবং প্রয়োজনীয় খরচাদির পর মাতা-পিতার জন্য খরচ করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে সে বিবাহিতা হোক কিংবা অবিবাহিতা- ভাইয়ের সঙ্গে তারও পিতা-মাতার খরচ বহন করা জরুরি।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

إِنّ أَوْلَادَكُمْ هِبَةُ اللهِ لَكُمْ، يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا، وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذّكُورَ، فَهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ لَكُمْ إِذَا احْتَجْتُمْ إِلَيْهَا.

তোমাদের সন্তান তোমাদের প্রতি আল্লাহর দান। তিনি যাকে চান কন্যা দান করেন আর যাকে চান তাকে দান করেন পুত্র। তারা এবং তাদের সম্পদ দুই-ই তোমাদের, যখন তোমাদের প্রয়োজন পড়ে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩১৭৭)

উক্ত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রয়োজনের সময় পিতা-মাতাকে সন্তানের সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার দিয়েছেন। তাই সন্তানের- চাই সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে- কর্বত্য হল, যথাসাধ্য তাদের খরচ বহন করা।

প্রকাশ থাকে যে, মেয়ে যদি বিবাহিতা হয় এবং তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করে, অপরদিকে ছেলে যদি বাবা-মার বাড়িতে অবস্থান করে এবং তাদের স্থায়ী সহায়-সম্পদ (ঘর-বাড়ি, পুকুর, কৃষি জমি ইত্যাদি) এককভাবে ভোগ করে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের খরচের বড় অংশ ছেলেদেরই দেওয়া উচিত। তবে আগেই বলা হয়েছে, সামর্থ্যবান মেয়েদেরও (যদিও সে শ্বশুর বাড়িতে থাকে) বাবা-মায়ের দেখা শোনা ও তাদের খরচাদি বহনে যথাসাধ্য অংশ গ্রহণ করা দায়িত্ব।


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৩৮৩১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বাপ যদি সন্তানের কাছে ওয়াদা করে সন্তানের বাড়ি লিখে নেয় এই বলে যে তোর বাড়ি আমার কাছে আমানত হিসেবে রাখ। যখন তোর প্রয়োজন হবে তখন তোর আমানত তোকে ফেরত দিব। সন্তান তার কথা মত তার বাপ কে তার সমস্ত সম্পত্তির 60% তার বাবার নামে লেখে দেয়। কিন্তু এখন তার বাবা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যে সে এরকম কোনো ওয়াদা করে নি। আর বলে যে সে তার সন্তান এর পিছনে ছোট বেলা থেকে এই পর্যন্ত যত খরচ করেছে এটা সেই খরচ হিসেবে তার প্রাপ্য। এমনকি সন্তান যে বাড়িতে থাকে তার একটি ফ্লোর পুরা দখল করে। সে তার ছেলেকে কোনো ভাগ দেয় না। এখন বলে যে তোমাকে যদি দিয়ে দিই তো আমার মেয়েদের কি হবে। আর যখন তার সন্তান তার সাথে কথা কাটা কটি হয় তখন বলে যে তারা এই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও ভাড়া থাকবে। এবং তার যে সম্পত্তি তার থেকে তার ছেলে কিছু পাবে না। এখন হযরত আপনি বলুন ছেলের কি করা উচিত। তার আল্লাহ কি এত বড় অবিচার করবে সেই ছেলের সাথে? আরো অনেক কথা ছিল বলা হলো না। যদি আপনার সময় হয় তো আমাকে একটা মিসকল দিয়েন। আমি আপনাকে কল দিব। ০১৭৭৫০০৩৫৫৬
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
খুলনা