আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭৪৬৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সামি কাছে থাকাকালিন বউকে মাসিক কিছু হাত খরচের টাকা দেওয়া কি,কোনো হাদিসে আছে। থাকলে একটু যানাবেন।

২৪ জুলাই, ২০২১
আলফাডাঙ্গা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته



স্ত্রী যদি স্বামীর ভালোবাসা অর্জন করতে পারে, আল্লাহর হুকুমের গন্ডির মধ্যে থেকে স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সেখানে মাসালার বিষয় নয়, ভালোবাসার টানে স্বামী তাকে হাত খরচের টাকা দিতে পারে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আম্মাজানদের বাৎসরিক ভাতা তাদের কাছে অর্পণ করে দিতেন। সেখান থেকে আম্মাজানরা ধীরে ধীরে খরচ করতেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রীর মাসিক খরচ ন্যায্যভাবে যা লাগবে সেটুকু তাঁর হাতে দিয়ে দেওয়া প্রমাণ হয়। তবে সেটি ন্যায্য হতে হবে।
শুধু ভাত আর কাপড় দেওয়াই স্ত্রীর ভরণপোষণ নয়।

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى النِّصْفِ مِمَّا خَرَجَ مِنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ‏"‏ ‏.‏ فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ التَّمْرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ وَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَطْعَمَ كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ مِنَ الْخُمُسِ مِائَةَ وَسْقٍ تَمْرًا وَعِشْرِينَ وَسْقًا شَعِيرًا فَلَمَّا أَرَادَ عُمَرُ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ أَرْسَلَ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُنَّ مَنْ أَحَبَّ مِنْكُنَّ أَنْ أَقْسِمَ لَهَا نَخْلاً بِخَرْصِهَا مِائَةَ وَسْقٍ فَيَكُونَ لَهَا أَصْلُهَا وَأَرْضُهَا وَمَاؤُهَا وَمِنَ الزَّرْعِ مَزْرَعَةُ خَرْصٍ عِشْرِينَ وَسْقًا فَعَلْنَا وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ نَعْزِلَ الَّذِي لَهَا فِي الْخُمُسِ كَمَا هُوَ فَعَلْنَا ‏.‏

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলনে, খায়বার এলাকা বিজিত হলে ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আবেদন করে যে, তাদেরকে যেন সেখানে বসবাস করতে দেয়া হয়। তারা জমিতে কাজ করে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক তারা গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এ শর্তে আমি তোমাদেরকে যতদিন ইচ্ছা বসবাসের অনুমতি দিলাম। তারা এ শর্তে সেখানে বসবাস করলো। খায়বারে উৎপন্ন খেজুরের অর্ধেক কয়েক ভাগে ভাগ করতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক-পঞ্চমাংশ নিতেন এবং স্বীয় স্ত্রীদের প্রত্যেককে এক-পঞ্চমাংশ থেকে একশ ওয়াসাক খেজুর এবং বিশ ওয়াসাক বার্লি দিতেন। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) তাঁর খিলাফতকালে ইয়াহুদীদের বহিষ্কারের ইচ্ছা করলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীদের বলে পাঠালেন: “আপনাদের মধ্যে যিনি চাইবেন আমি অনুমানের ভিত্তিতে একশো ওয়াসাক খেজুর হওয়ার পরিমাণ গাছ তাকে ছেড়ে দিবো। এ অবস্থায় বাগানের ও গাছের তত্ত্বাবধান এবং পানি সেচের ব্যবস্থা তাকেই করতে হবে। অনুরূপভাবে কৃষি উৎপাদনের জমি ছেড়ে দিতে পারি। এ ক্ষেত্রেও জমির তত্ত্বাবধান ও সেচের ব্যবস্থা তাকেই করতে হবে। তাদের কেউ ইচ্ছা করলে, পূর্ব থেকে যেভাবে এক-পঞ্চমাংশ হতে আমরা বণ্টন করে আসছি, সেভাবেও নিতে পারেন।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩০০৮

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৩৮৩১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বাপ যদি সন্তানের কাছে ওয়াদা করে সন্তানের বাড়ি লিখে নেয় এই বলে যে তোর বাড়ি আমার কাছে আমানত হিসেবে রাখ। যখন তোর প্রয়োজন হবে তখন তোর আমানত তোকে ফেরত দিব। সন্তান তার কথা মত তার বাপ কে তার সমস্ত সম্পত্তির 60% তার বাবার নামে লেখে দেয়। কিন্তু এখন তার বাবা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যে সে এরকম কোনো ওয়াদা করে নি। আর বলে যে সে তার সন্তান এর পিছনে ছোট বেলা থেকে এই পর্যন্ত যত খরচ করেছে এটা সেই খরচ হিসেবে তার প্রাপ্য। এমনকি সন্তান যে বাড়িতে থাকে তার একটি ফ্লোর পুরা দখল করে। সে তার ছেলেকে কোনো ভাগ দেয় না। এখন বলে যে তোমাকে যদি দিয়ে দিই তো আমার মেয়েদের কি হবে। আর যখন তার সন্তান তার সাথে কথা কাটা কটি হয় তখন বলে যে তারা এই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও ভাড়া থাকবে। এবং তার যে সম্পত্তি তার থেকে তার ছেলে কিছু পাবে না। এখন হযরত আপনি বলুন ছেলের কি করা উচিত। তার আল্লাহ কি এত বড় অবিচার করবে সেই ছেলের সাথে? আরো অনেক কথা ছিল বলা হলো না। যদি আপনার সময় হয় তো আমাকে একটা মিসকল দিয়েন। আমি আপনাকে কল দিব। ০১৭৭৫০০৩৫৫৬
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
খুলনা
#৪৭৮০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১) আমার মা কিডনি ডায়ালাইসিস এর রোগী।উনি কথায় কথায় বলেন উনিনভালো নাই। চিকিৎসা করে কি লাভ। একদিন তো মরেই যাবো। এগুলা কথার দ্বারা গুনাহ হচ্ছে?
২) আমার মা আমার খালা এবং নানীর কাছে থাকেন। আমার বাবা সরকারি চাকরি করেন। উনি প্রতি সপ্তাহে আসেন। দুইদিন থেকে চলে যান। আমি এবং অমর স্ত্রী অনেক দূরে থাকি। এমত অবস্থায় আমি কি তাকে জোর করে মায়ের সেবার জন্য পাঠাবো? এইটা কি হাদিসসম্মত? রেফারেন্স দিবেন।
৩) আমার শশুর ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত। আমার স্ত্রী যদি বলে আমার মায়ের সেবা করা আমার স্ত্রীর দায়িত্ব তাহলে আমার শশুর এর সেবা করা আমার দায়িত্ব। বুঝিয়ে বলবেন
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
রাজশাহী