আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#৩৪৮৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রশ্ন: ১) আমি কাজী অফিসে বিয়ে করছি। ওখানে আমার স্ত্রীর বাবা/ভাই উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু তার কাকা ও দুই ভাবী উপস্থিত ছিলেন। আর ওদের পরিবারের সবাই আমাদের সম্পর্কের কথা আগে থেকেই জানতো ও রাজি ছিলো কিন্তু ওর বাবা কে বিয়ের কথাটা পরে জানানো হয়েছে। বিয়ে টা বৈধ?

প্রশ্ন: ২) দেনমোহর এর কোন টাকা আমি দেই নি এখনো। আমার স্ত্রী বলছে দেয়া লাগবে না। মাফ করে দিছে। আর আমার কাছে নগদ অত টাকাও নাই। এখন এই টাকা কি মাফ হইছে?

প্রশ্ন: ৩) তালাক দেয়ার জন্য মুখে "তালাক" উচ্চারন করা লাগে নাকি শুধু ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর দিলেই হয়?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
৭ নভেম্বর, ২০২০
খোকসা
#৩৪৫২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হুজুর অনুগ্রহ করে আমার উত্তর টা দিলে আমি অনেক উপকৃত হব।
আমার বোন বাবা মা কে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে এবং বাবা মা কে এই বিষয়ে কিচ্ছু জানায় নাই এবং আমার বাবা অন্য জায়গায় থেকে তার বিয়ের কথা জানতে পায় এবং আমার বাবা কোন ভাবেই এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি না। তাই আমার বোন ওই ছেলের থেকে দূরে সরে আসে এবং ও ওর ভুল বুঝতে পারে এবং ওই ছেলের থেকে তালাক চাই কিন্তু ওই ছেলে তালাক দিতে রাজি হয় নাই এবং আমার বাবা অন্য জায়গায় তালাক ছাড়া আমার বোন কে বিয়ে দেয়।

বিয়ের ৬ মাস পরে আমার বোন ওই ছেলের সাথে কথা বলে এবং ওই ছেলে তালাক দিতে রাজি হয় ওই ছেলে আমার বোন কে আল্লাহ কসম দিয়ে বলে যে সে আমার বোন কে আর চায় না এবং আমার বোন কে মুক্তি করে দিয়েছে এবং ওই ছেলে আমার বোন কে তালাক দিতে বলে এবং আমার বন তালাক তালাক তালাক বলে এবং ওই ছেলে রাজি হয় তালাক এ। এই পুরো বিষয় টা আমরা বোন আমাদের এলাকার এক হুজুর সাথে বলে এবং হুজুর ওই ছেলের সাথে কথা বলে এবং ওই ছেলে আমার বোন কে ওই হুজুর এর সামনে তালাক দেয়,, এবং হুজুর ৩ মাস পরে আমার বাবা মা যেই ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে তার সাথে নতুন করে শুধু ইজাব আর কবুল টা পরায়। তাহলে কি আমার বোন এর ২ বিয়েটা ঠিক ও সহি আছে।
+8801687000455
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
৪ নভেম্বর, ২০২০
ঢাকা
#২০৬২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক মেযের সাথে আমার গোপনে পরিচয় হয়। স্থায়ী সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে আমার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবসহ একটি রেস্টুরেন্টে একত্রিত হই। আমার এক বন্ধু কাজী অফিসের পিয়ন হিসেবে একজনকে নিয়ে আসে। সে কাজী অফিস থেকে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসে। এছাড়াও সরকারি দলিল-স্ট্যাম্পে একটি বিবাহ হলফনামা নিয়ে আসে। সেখানে আমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নিমিত্তে স্বাক্ষর করি এবং নিকাহনামা রেজিস্টারেও উভয়ে স্বাক্ষর করি। সেখানে চারজন পুরুষও উপস্থিত ছিল। এছাড়া বিবাহ পড়ানোর উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা কাজী অফিসের কেউ উপস্থিত ছিল না। উক্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১,০০,০০১ টাকা দেনমোহরের শর্তে আমরা বিবাহ সম্পন্ন করি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা কেউই ইজাব-কবুল বলিনি। পিয়ন আমাদের বললেন, আপনারা দুজন স্বামী স্ত্রী। এরপর আমরা যার যার মতো চলে আসি।

বিয়ের ২-৩ মাসের পর থেকে আমাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ৩-৪ মাস পর এক পুরুষ শিক্ষক নিয়ে পর্দার ব্যাপারে আমার সাথে ওর ঝগড়া হয়। আমি রাগ করে একপর্যায়ে বলেছিলাম, তুমি যদি কালকে, পরশু এবং এর পরের দিন তার কাছে পড় তাহলে তুমি যথাক্রমে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। পরে জানতে পারি, সে তিন দিনই পড়েছিল। এখন প্রশ্ন হল, ক) আমাদের বিবাহ কি সঠিক হয়েছিল? খ) আমাদের মধ্যে তালাক হয়েছিল কি? গ) এখন আমি পারিবারিকভাবে ওকে ঘরে তুলতে বা বিয়ে করতে চাই। এজন্য আমার কী করা উচিত বা আদৌ কি তা সম্ভব?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
#১৮০২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার প্রতিবেশী সাদেক তার স্ত্রী সুহানাকে বিভিন্ন কারণে একের পর এক তিন তালাক দেয়। তৃতীয় তালাক দেওয়ার পর ইদ্দতের ভেতরেই সুহানাকে আশিক বিয়ে করে। সুহানা বিশ দিন যাবত আশিকের কাছে ছিল। এবং তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীসূলভ আচরণও হয়। বিশ দিন পর আশিক সুহানাকে তালাক দিয়ে দেয়। পরে আশিক জানতে পারে যে, সুহানার সাথে তার বিবাহ ইদ্দতের ভেতরেই সংগঠিত হয়েছিল। জানার বিষয় হল, সুহানার সাথে আশিকের এই বিবাহ কি শুদ্ধ হয়েছিল? যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে এখন মহিলাটি ইদ্দত পালন করবে কীভাবে? আর এ বিবাহের কারণে কি সাদেকের জন্য সুহানাকে দ্বিতীয়বার বিবাহ করা বৈধ হবে? আর আশিক মহিলাটির জন্য বিবাহের সময় যে মোহর নির্ধারণ করেছিল তা কি দিতে হবে?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
#১৮০১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈক মহিলার স্বামী কুয়েতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। গত ২৫ রজব কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এক মর্মামিত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে উদঘটিত হয় যে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তখন উভয় দেশের দূতাবাসের আলোচনার ফলে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়। গত ২৪ শাবান বাংলাদেশ দূতাবাস মৃত ব্যক্তির পরিবারকে খবরটি নিশ্চিত করে। জানার বিষয় হল, উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী কবে থেকে ইদ্দত গণনা শুরু করবে? মৃত্যুবরণ করার সময় থেকে নাকি সংবাদ পাওয়ার পর থেকে? জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
#৩১২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর হয়েছে। প্রথম দেড় বছর মোটমুটি ভালো কাটলেও এরপরই সমস্যা শুরু হয়। সমস্যার সূচনা আমার স্ত্রীর ফেইসবুক চালানো নিয়ে। সে বিভিন্ন মানুষের সাথে মেসেজ আদান-প্রদান করত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়। সে বারবার বলত, আমি ফেইসবুক চালালে তোমার সমস্যা কোথায়? এক মাস আগে এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে বলে ফেলি, ফেইসবুক চালালে আমার ঘরে আর থাকতে পারবে না। পরের দিন আমি অফিসে যাওয়ার পর সে তার বাবার বাসায় চলে যায়। আমার ও আমার পরিবারের লোকদের কয়েকবার চেষ্টার পরও সে আসেনি। পরে আমি মুরব্বীদের সাথে পরামর্শ করে তাকে তালাক দিয়ে দিই।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু তার দোষেই আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে তাই মহর, তালাক পরবর্তী ইদ্দতের ভরণ-পোষণ এগুলো দিতে কি আমি বাধ্য? তাছাড়া আমার স্ত্রী পারিবারিকভাবে বেশ সচ্ছল।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকার একটি লোক মারা যান। লোকটি অনেক ধনী ছিলেন। তিনি দুই বিবাহ করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী থেকে তার দুই ছেলে তিন মেয়ে আর দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে এক ছেলে। লোকটি মারা যাওয়ার পাঁচ মাস পূর্বে স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে প্রথম স্ত্রীর ঘরেই থাকতেন। তখন প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানেরা তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তাদের কথা অনুযায়ী তিনি কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনের সামনে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডেকে বলেন, ‘আজ থেকে তুমি তালাক’। তালাক দেওয়ার দেড় মাস পর তিনি মারা যান। এখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিরাসের সম্পত্তি পাবে কি না এ নিয়ে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কথা চলছে। তাই মুহতারামের নিকট দুটি বিষয়ে সঠিক সমাধান চাচ্ছি :

এক. লোকটির দ্বিতীয় স্ত্রী মিরাসের সম্পত্তি পাবে কি না?

দুই. প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানদের দাবি হল, লোকটি  ‘আজ থেকে তুমি তালাক’ এ কথা বলে বায়েন তালাকের নিয়ত করেছিল।  তাই সে সম্পত্তি পাবে না। জানার বিষয় হচ্ছে, ‘তুমি তালাক’- বলে বাইন তালাকের নিয়ত করা যায় কি না?

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় স্ত্রীর ইদ্দত এখনো শেষ হয়নি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার মামাতো বোনের তুলনায় ওর স্বামীর বয়স অনেক বেশি ছিল। সে কারণে ওদের মধ্যে কোনো বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলেই আমার মামাতো বোন বলত, তুমি যদি আমাকে তালাক দিয়ে দাও তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। গত সপ্তাহে আবার ঝগড়া হলে আমার মামাতো বোন কথার একপর্যায়ে বলে উঠে, তাহলে তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দাও। তখন ওর স্বামী রাগের মাথায় বলে ফেলেছে, যা দিলাম। মুখে তালাক বা এজাতীয় কোনো শব্দ উল্লেখ করেনি। এখন একথা বলার দ্বারা তালাক হয়েছে কি না? কয়েকজন থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। সঠিক মাসআলাটি মুহতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি। আর যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে পুনরায় একত্রে থাকতে চাইলে কী করণীয়?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০