আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ঔষধের ক্ষেত্রে মুমিনের বিশ্বাস কেমন হবে

প্রশ্নঃ ৯৭১৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ওষুধেরকিছুটা ক্ষমতাআছে সুস্থ করার? আমিভাবতাম ওষুধ দেহে বিভিন্নকাজ করে সুস্থকরে মানুষ চেষ্টাকরে রক্ষা করে।আল্লাহ কিভাবে আসলে করে ভালোমত বুঝতে না পারলে শিরক?মনেহয় মানুষকেই মূল ক্ষমতায় ভেব ফেলি।কান্নাকাটি করি।২আল্লাহ ব্যতীত কারো ক্ষমতা আছে কিনা সন্দেহ থাকলে কোন দিকে দৃঢ় বিশ্বাস না করলে ঈমান থাকবে?

২৩ মার্চ, ২০২৫
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


باب لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ وَاسْتِحْبَابُ التَّدَاوِي

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَأَبُو الطَّاهِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .

পরিচ্ছেদঃ ২৬. প্রতিটি রোগের ঔষধ রয়েছে এবং চিকিৎসা করা মুস্তাহাব

৫৫৫৩। হারুন ইবনে মারুফ, আবু তাহির ও আহমদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ প্রতিটি রোগের ঔষধ রয়েছে। সুতরাং রোগে যথাযথ ওষুধ প্রয়োগ করা হলে মহান ও মহিয়ান আল্লাহর হুকুমে রোগ নিরাময় হয়।

আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ৫৫৫৩

তাহকীকঃ তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ)(মৃত্যুঃ ৭৮ হিজরী)

হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/12602
অ্যাপসের লিংকঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.namajtime

উল্লেখিত হাদিসটি খুব মনোযোগের সাথে পড়ুন। বলা হয়েছে যে, প্রতিটি রোগের ঔষধ রয়েছে। কিন্তু শেষে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলার হুকুমে রোগ নিরাময় হয়। সুতরাং ঔষধ প্রয়োগ করতে নিষেধ নেই। কিন্তু বিশ্বাস রাখতে হবে, ঔষধের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। আল্লাহর ইচ্ছায় ঔষধ কাজ করে। আল্লাহ না চাইলে ঔষধ প্রয়োগে কোনো লাভ হবে না।

والله اعلم بالصواب

মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২১৭৪৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন কিছু মানুষের সাথে চলাফেরা করতাম যারা বাঙালি সংস্কৃতির বিষয়ে খুব সুন্দর করে বোঝাতো। তখন হলে থাকতে প্রতি বছর প্রত্যেকটা পূজায় উৎসাহিত করা হতো। তাদের সাথে আমিও যেতাম দেখতে। এমনভাবে মিশে গিয়েছিলাম যে আমি দুর্গাপূজার সময় মূর্তির পা ধোয়া চরণামৃত খেয়েছি। সরস্বতী পূজার প্রসাদ, তারপর বিভিন্ন সময় হিন্দুদের আনা প্রসাদ খেয়েছি। ওদের পূজার সময় মন্ডপে বসেও থেকেছি। অন্যদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি। আস্তাগফিরুল্লাহ।

আচ্ছা, আমি কি শিরক করে ফেলেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন? আমি গত দুই বছরে অনেকবার এর জন্য তওবা করেছি। এখন আমি অনেক অনুতপ্ত। আল্লাহ তো জানেন। বলবেন প্লিজ আমি কি সত্যি শিরক করে ফেলেছি? ভুল করে করলেও নাকি এর গুণাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না? আমি এখন কি করবো? কিভাবে ক্ষমা পাবো আমি? আমার সেই সময় মাথায়ই আসেনি যে এটা শিরক হতে পারে। প্লিজ আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো আমাকে মাফ করে দেয়। আর ঠিকমতো হয়তো লিখতে পারিনি। আমাকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন প্লিজ
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৮ আগস্ট, ২০২২
টঙ্গী