আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১৭৪৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন কিছু মানুষের সাথে চলাফেরা করতাম যারা বাঙালি সংস্কৃতির বিষয়ে খুব সুন্দর করে বোঝাতো। তখন হলে থাকতে প্রতি বছর প্রত্যেকটা পূজায় উৎসাহিত করা হতো। তাদের সাথে আমিও যেতাম দেখতে। এমনভাবে মিশে গিয়েছিলাম যে আমি দুর্গাপূজার সময় মূর্তির পা ধোয়া চরণামৃত খেয়েছি। সরস্বতী পূজার প্রসাদ, তারপর বিভিন্ন সময় হিন্দুদের আনা প্রসাদ খেয়েছি। ওদের পূজার সময় মন্ডপে বসেও থেকেছি। অন্যদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি। আস্তাগফিরুল্লাহ। আচ্ছা, আমি কি শিরক করে ফেলেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন? আমি গত দুই বছরে অনেকবার এর জন্য তওবা করেছি। এখন আমি অনেক অনুতপ্ত। আল্লাহ তো জানেন। বলবেন প্লিজ আমি কি সত্যি শিরক করে ফেলেছি? ভুল করে করলেও নাকি এর গুণাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না? আমি এখন কি করবো? কিভাবে ক্ষমা পাবো আমি? আমার সেই সময় মাথায়ই আসেনি যে এটা শিরক হতে পারে। প্লিজ আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো আমাকে মাফ করে দেয়। আর ঠিকমতো হয়তো লিখতে পারিনি। আমাকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন প্লিজ,

২৮ আগস্ট, ২০২২

টঙ্গী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দিন। উদারতার নামে বিজাতীয় সংস্কৃতির করাল থাবা থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হেফাজত করেছেন। এভাবেই একদল লোক আমাদের সরলমনা, স্বল্পশিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত মুসলমানদের নিজ ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে হিন্দু ধর্মের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা অমাদের ইমান, আমল, হেফাজত করুন।

আপনি যা লিখেছেন তা নিঃসন্দেহে শিরিক ছিল। কিন্তু হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‏ "‏ التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لاَ ذَنْبَ لَهُ ‏ যে ব্যক্তি তাওবাহ করল, সে এমন হয়ে গেল যেন কোনোদিন সে গুনাহ করেনি। —সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০

তাই খাঁটি দিলে তাওবাহ করার কারণে ইনশাআল্লাহ আপনি ওই গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে গেছেন। তবে আগামীর জন্যও সর্তক থাকবেন যেন পুনরায় ওই গুনাহ আপনার থেকে প্রকাশিত না হয়। পুরোপুরি দ্বিনের ওপর চলার চেষ্টা করুন। আল্লাহ ওয়ালা, ওলামায়ে কেরামের সাথে জুড়ে থাকুন। আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ: