আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অমুসলিমের কাছে দোয়া চাওয়া কি জায়েজ?

প্রশ্নঃ ৪০৭৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। একদিন আমার এক হিন্দু সহপাঠী মজা করে বলল যে আমি তোমার বিয়ের জন্য দোয়া করব । কিন্তু আসলে সে আমার জন্য দোয়া করবে না সে ঠাট্টা চলে এই কথাটা বলেছে। তখন আমি তাকে বললাম যে কর। এখন সে দোয়া করতে চাওয়ার পরে তাকে দোয়া করতে বলাটা কি আমার শিরক হলো? উল্লেখ্য যে সে মাঝে মাঝে আমাদের মুসলিমদের মতন আলহামদুলিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি ইসলামিক কথা বলে এবং তাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম তোমার কাছে ইসলাম ধর্ম কেমন লাগে সে বলেছিল যে খারাপ কি আছে? উক্ত কথা অনুযায়ী কি আমার কথাটা শিরক হবে? দয়া করে সঠিক উত্তর দেবেন এখন আমি সরাসরি এটা জানতে চাচ্ছি যে এই কাজটা আমার শিরক হলো কিনা?,

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কাফেরদের দোয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলা, কুরআনের আয়াত "وما دعاء الکفرین الا فی ضلل" থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, কাফেদের দোয়া কবুল হয় না, কিন্তু ইবলিসের ঘটনা এবং পূর্বোক্ত আয়াত থেকে তাদের দোয়া কবুলের ব্যাপারে অপত্তি উত্থাপিত হয়। এর সমাধান হলো, দুনিয়াতে কাফেরের দোয়াও কবুল হতে পারে। ইবলীসের মতো চুড়ান্ত অবিশ্বাসীর দুআও কবুল করা হয়েছে। কিন্তু আখেরাতে ব্যাপারে কাফেরের দোয়া কবুল হবে না এবং উপরোক্ত আয়াত "وما دعاء الکفرین الا فی ضلل" আখেরাতের সাথে সম্পর্কিত। দুনিয়াবী বিষয়ের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই।"
(سورہ اعراف، جلد:3، صفحہ:528، مکتبہ معارف القرآن)




কানজুল উম্মাল গ্রন্থে আছে-
"إن الكافر ليدعو الله عز وجل في حاجته، فتقضى له وإن المؤمن ليدعوا الله تعالى، فتبطئ عليه الإجابة، "فتضج –٢"" الملائكة لذلك. فيقول الله تعالى: إنما أجبت الكافر، لئلا يدعوني، ولا يذكرني فإني أبغضه، وأبغض صوته، وأبطئ للمؤمن، لئلا ينقطع عني، ويذكرني فإني أحبه، وأحب تضرعه". "الخليلي عن جابر".
অবিশ্বাসী ব্যক্তি যখন তার (জাগতিক) প্রয়োজনে মহান আল্লাহকে ডাকে তখন আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়োজন পুরণ করে দেন। এবং মুমিন যখন আল্লাহ তায়ালাকে ডাকে, তখন তিনি ডাকে সাড়া দিতে বিলম্ব করেন। ফেরেশতা (জিবরাইল আ.) তখন আল্লাহ তায়ালাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ বলেন: আমি অবিশ্বাসীর ডাকে (দ্রুত) সাড়া দিই যেন সে আমাকে আর না ডাকে, আমাকে স্মরণ না করে। আমি তার ডাকে রাগান্মিত হই। আর আমি মুমিনের ডাকে বিলম্বে সাড়া দিই যেন, সে আমাকে ডাকা বন্ধ না করে। আমাকে ডাকতে থাকে। আমি তাকে মুহাব্বত করি। তার অনুনয়-বিনয়কে আমি বড় ভালোবাসি।(হাদিস নং-٣٢٦٢- আলমাকতাবাতুশ শামিলা অনলাইন ভার্সন)

সম্মানিত প্রশ্নকারী! উপরোক্ত ব্যাখ্যার আলোকে আমরা বলতে পারি (আল্লাহই ভালো জানেন) অমুসলিমের কাছে দোয়া চাওয়া না জায়েজ নয়। তবে অনুত্তম। কেননা মুসলমানের দোয়ার জন্য অপর মুসলমানই যথেষ্ট। কাজেই পেছনে যা হয়েছে তো হয়েছেই। আগামীতে এব্যাপারে সর্তক থাকবেন। https://www.banuri.edu.pk/144403102296

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৪২৫৩

শুধু কুফরি ও শিরকি চিন্তা আসে; কী করবো?


১৫ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা ১২১১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫১০০

তাওহিদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও পুরস্কার


১৩ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা ১২১৪

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৪৩৮৯৫

আল্লাহ কি কেবল আরশেই আছেন?


১ নভেম্বর, ২০২৩

৯M৮F+P৯২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৬৩৪৮

মনে কুফরি চিন্তা আসলে করণীয়


২২ আগস্ট, ২০২৪

আক্কেলপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy