আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৮৩২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু । একজন ব্যাক্তি আমার বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করে , কিন্তু আমার তার সাথে বন্ধুত্ব করার তেমন কোনো ইচ্ছা নেই , মাঝে মাঝে আমি তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই , এখন সে বলে ৩ দিনের বেশি কোনো মুসলিমের সাথে কথা না বললে নাকি গুনাহ হয় , এখন প্রশ্ন হলো আমার তাকে ভালো লাগেনা , তাই আমি কি তার সাথে কথা বলিনা , এখন এটা যদি গুনাহ হয় , তাহলে আমার কি কোন ইচ্ছা নেই তার সাথে কথা না বলে থাকার? আর যদি সত্যিই গুনাহ হয় তবে কিভাবে তাকে এড়িয়ে চলবো?জাজাকাল্লাহু খাইরান,

২৫ আগস্ট, ২০২১

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






উত্তরের সুবিধার্তে প্রথমে হাদীস উল্লেখ করে তারপর ব্যাখ্যা করছি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَمَنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلاَثٍ فَمَاتَ دَخَلَ النَّارَ

অর্থ : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন মুসলমানের জন্য তিনদিনের বেশী তার (দ্বীনী) ভাইকে পরিত্যাগ করা বৈধ নয়। কেউ তিন দিনের বেশী পরিত্যাগ করে মৃত্যুবরণ করলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৯১৬

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا وَيُعْرِضُ هَذَا وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ

অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কারো জন্য হালাল নয় যে, সে তিন দিনের বেশী তার (দ্বীনী) ভাইকে এমনভাবে পরিত্যাগ করবে যে, দুজনের সাক্ষাত হলে একজন এদিকে অন্যজন
সেদিকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। তাদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম সালাম দেয়।–সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৭৭

উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে সাক্ষাতের সময় যৌক্তিক কারণ ছাড়া অকারণে ইচ্ছাকৃত বা বিদ্বেষবশতঃ উপেক্ষা করা , মুখ ফিরিয়ে নেয়া ও কথা না বলার নিন্দা করা হয়েছে।
আপনার কাউকে ভালো না লাগলে নিশ্চয়ই তার একটা যৌক্তিক কারণ থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনি তার সালামের জবাব দিয়ে নিজের ব্যস্ততায় মগ্ন থাকবেন। প্রয়োজনে পরিমিত কথা বলবেন। এতে গুনাহ হবেনা।
কিন্ত বিদ্বেষবশতঃ উপেক্ষা করা ইত্যাদি না করা চাই।

কিংবা কারও বদদ্বীনির কারনে আপনার তার সঙ্গ পরিহার করা জায়েয আছে,সেটি উক্ত হাদীসের আওতায় পরবেনা। বরং আপনার বিচ্ছিন্নতা তখন আল্লাহর জন্য হবে।

সূত্রঃ

ذخيرة العقبى في شرح المجتبى (17/ 280)
[فإن قيل]: كيف جاز لابن عباس مقاطعتها، وقد صح عنه - صلى اللَّه عليه وسلم -: "لا يحلّ لرجل أن يهجر أخاه فوق ثلاث ليال، يلتقيان، فيعرض هذا، ويعرض هذا، وخيرهما الذي يبدأ بالسلام" متفق عليه؟.
[أجيب]: بأنه ليس المنهي عنه ترك الكلام مطلقا، وإنما المنهي عنه الإعراض، وترك الكلام عند اللقاء، كما يدلّ عليه قوله: "يلتقيان الخ"، وابن عباس لم يترك الكلام عند اللقاء، بل ترك الدخول عليها، والقرب منها.
أو يقال: إن مقاطعته لها، لا لغرض نفسيّ، بل لأمر دينيّ في ظنه، وذلك أنه ظنّ أنها عاصية في دخولها في أمر الشيعتين المتقدّمتين، ولا شكّ أن هجران العاصي جائز.

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৪২৪৩

পরপুরুষকে সালাম দেওয়া যাবে কি?


১৫ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা ১২১২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬০৮০

পায়ে ধরে সালাম দেওয়ার হুকুম


৪ ডিসেম্বর, ২০২২

বিষ্ণুপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy