আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

পানিতে লিখে তালাক দিলে তার বিধান কি؟

প্রশ্নঃ ৪৬০৭২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জানতে চাই কেউ যদি পানির উপর আঙ্গুল দিয়ে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক লেখে তাহলে কি তালাক পতিত হবে? আমরা শুধু হুকুম জানতে চাই হাওয়ালা সহ, দয়া করে এটা বলবেন না যে তালাক সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে সরাসরি কোন বিজ্ঞ আলেম অথবা নিকটস্থ নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিভাগে যোগাযোগ করুন। আমরা জানি প্রশ্নটা অ্যাপের নীতির বাইরে তবুও প্রশ্নটা করলাম অনুগ্রহ করে জানালে উপকৃত হব। মুফতী সাজিদ কাসেমী কলকাতা,

১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ওয়েস্ট বেঙ্গল ৭৪৩৪৪৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনার প্রশ্নের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যেহেতু একজন আলিম এবং কাসেমী। তাই আপনার সামনে আমি মাসয়ালায় বিস্তারিত আলোকপাত করাটা সমিচিন মনে করছি না। তাই মূল কথাটা আপনার খেদমতে আরজ করছি।

মুহতরাম!
আপনি যে পদ্ধতির লেখার বিষয় উল্লেখ করেছেন আমাদের ফিকহের কিতাবে এই জাতীয় লেখাকে (الكتابة غير المستبينة ) বোধগম্যহীন লেখা বলে নামকরণ করা হয়েছে। আর তার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে-
وغير المستبينة ما يكتب على الهواء والماء وشيء لا يمكن فهمه وقراءته ففي غير المستبينة لا يقع الطلاق وإن نوى
আর গাইরে বোধগম্যহীন লেখা হলো, যা শূণ্যে/বাতাসে, পানির ওপর অথবা এমন কিছুর উপর লেখা হয় যা পড়া যায় না এবং যার মর্মও বুঝা যায় না।
তার বিধান হলো, যদি কেউ তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোধগম্যহীন (غير المستبينة) শব্দ লিখে তালাক দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে নিয়ত থাকলেও স্ত্রী তালাক হবে না।

কাজেই উপরোক্ত পদ্ধতিতে তালাক দিলে তালাক হবে না তবে পানিতে লেখার সময়ও যদি উচ্চারণ করে তাহলে উচ্চারণের কারণে তালাক হয়ে যাবে।

( الفصل السادس في الطلاق بالكتابة ) .
الكتابة على نوعين مرسومة وغير مرسومة ونعني بالمرسومة أن يكون مصدرا ومعنونا مثل ما يكتب إلى الغائب وغير موسومة أن لا يكون مصدرا ومعنونا وهو على وجهين مستبينة وغير مستبينة فالمستبينة ما يكتب على الصحيفة والحائط والأرض على وجه يمكن فهمه وقراءته وغير المستبينة ما يكتب على الهواء والماء وشيء لا يمكن فهمه وقراءته ففي غير المستبينة لا يقع الطلاق وإن نوى وإن كانت مستبينة لكنها غير مرسومة إن نوى الطلاق يقع وإلا فلا وإن كانت مرسومة يقع الطلاق نوى أو لم ينو ثم المرسومة
(ফতোয়া হিন্দিয়া: 1/446, ইত্তিহাদ)

[مطلب في الطلاق بالكتابة]
(قوله كتب الطلاق إلخ) قال في الهندية: الكتابة على نوعين: مرسومة وغير مرسومة، ونعني بالمرسومة أن يكون مصدرا ومعنونا مثل ما يكتب إلى الغائب. وغير المرسومة أن لا يكون مصدرا ومعنونا، وهو على وجهين: مستبينة وغير مستبينة، فالمستبينة ما يكتب على الصحيفة والحائط والأرض على وجه يمكن فهمه وقراءته. وغير المستبينة ما يكتب على الهواء والماء وشيء لا يمكنه فهمه وقراءته. ففي غير المستبينة لا يقع الطلاق وإن نوى، وإن كانت مستبينة لكنها غير مرسومة إن نوى الطلاق وإلا لا، وإن كانت مرسومة يقع الطلاق نوى أو لم ينو
(فتاوى قاضي خان صـــــــ287 جـــ1 )
আরো দেখুন:
বাদায়েউস সানায়ে,4/291: দারুল হাদিস
ফতোয়া শামী: 4/44 : মাকতাবাতুল আজহার

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৫৮২১

ডিমের বিনিময়ে ডিম কম বেশি করে বিক্রি করার হুকুম


২ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ আবু সাঈদ

২৯২১৫

শর্তযুক্ত তালাকের বিধান


১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৬৯৮

রাগের মাথায় তিন তালাক দিলে কি তালাক হয়ে যাবে?


৯ এপ্রিল, ২০২৩

জাজিরা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯৭৩৬৫

কাবিন নামার ১৮ ও ১৯ ধারা জানা অজানা কিছু বিষয়


২২ মার্চ, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy