و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

উত্তর
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানব জীবনে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো ঈমান। মানুষ এক মুহূর্তের জন্যেও জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেওয়াকে যেমন নিজের জীবন-হন্তারক মনে করে, প্রকৃত মুমিন সামান্য সময়ের জন্য কাফের হওয়াকেও ঠিক তেমনই আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে মনে করবে—ঈমানের অনুভূতি এমনই হওয়া উচিত।

তাই পার্থিব সামান্য সামান্য বিষয়ে ঈমান নিয়ে কসম করে বসা, কুফরের মতো জঘন্য বিষয়ে শপথ করে ফেলা, এই মহানেয়ামতের প্রতি চরম অকৃতজ্ঞতা।

কাজেই মোবাইল ফোনের মতো সামান্য বিষয়ে ঈমানের মতো বড় বিষয়কে জড়িয়ে ফেলা একেবারেই অনুচিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এর জন্যে খাছ দিলে তওবা করতে হবে। ভবিষ্যতে ঈমান নিয়ে এমন শপথ আর করবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে তালাক।

প্রশ্নে বর্ণিত সুরতের শরয়ী বিধান হল, প্রথমবার বিয়ে করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। হ্যাঁ, দ্বিতীয় বার যখন বিবাহ করবেন, তখন আর তালাক হবে না।

সুতরাং এখন বিয়ে করার দুটো পদ্ধতি হতে পারে।
এক.
যদি গোপনে কিংবা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির পরামর্শে কোন মহিলার সাথে আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায়, তাহলে সেটা করে নিতে পারেন। এতে করে স্বামী-স্ত্রী কবুল বলার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। ফলে আপনি আপনার পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে বিবাহ করবেন, সেটি হবে দ্বিতীয় বিবাহ। এবং এই দ্বিতীয় স্ত্রী আর তালাক হবেন না।

দুই.
অন্য পদ্ধতি হলো, পারিবারিকভাবে যার সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে, তিনি বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তালাক হয়ে যাবেন। তাই তার সাথে সাক্ষাতের পূর্বেই পুনরায় শর‌ঈ পদ্ধতিতে বিবাহ করে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার এই স্ত্রীকে পরবর্তী সময়ে কেবল দুই তালাক দেওয়ার অধিকার থাকবে।

উল্লেখ্য, মাসয়ালাটি তালাক সংক্রান্ত হওয়ায় এটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা তালাকের বিষয়ে কাগজে লিখিত প্রশ্ন এবং প্রশ্নকারীর জবানবন্দী না নিয়ে ফতোয়া দিতে আগ্রহী নই।
অতএব আপনি আপনার নিকটস্থ নির্ভরযোগ্য দারুল ইফতায় সরাসরি যোগাযোগ করুন কিংবা নির্ভরযোগ্য কোনও আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও একটি পদ্ধতি এখতিয়ার করুন। এককভাবে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্যে বিনীতভাবে অনুরোধ করা গেল।

في الفتاوى الهنديه
إذا أضاف الطلاق إلى النكاح وقع عقيب النكاح نحو أن يقول لامرأة: إن تزوجتك فأنت طالق أو كل امرأة أتزوجها فهي طالق ۔۔۔ وإذا أضافه إلى الشرط وقع عقيب الشرط اتفاقا مثل أن يقول لامرأته: إن دخلت الدار فأنت طالق ولا تصح إضافة الطلاق إلا أن يكون الحالف مالكا أو يضيفه إلى ملك

فتاوی دارالعلوم دیوبند
سوال:میں نے ایک گناہ سے بچنے کیلئے اپنے اوپر ایک شرط ڈال دی تھی کہ اگر فلاں کام کیا تو مستقبل میں ہونے والی بیوی کو طلاق. اس کے بعد وہ گناہ مجھ سے سرزد ہو گیا. اب پوچھنا یہ ہے کہ نکاح سے پہلے ہی طلاق کے الفاظ کہنے سے مستقبل کے نکاح پر کوئی فرق پڑے گا جبکہ اس وقت رشتہ بھی طے نہیں ہوا تھا.

جواب نمبر: 58284
بسم الله الرحمن الرحيم
احناف کے نزدیک طلاق کی تعلیق درست ہونے کے لیے ضروری ہے کہ عورت شوہر کے نکاح میں ہو یا تعلیق والے جملہ میں عورت کی جانب نکاح کی نسبت کی گئی ہو، اور صورت مسئولہ میں عورت کی جانب صراحتاً نہ سہی، معنی نکاح کی نسبت ضرور آئی ہے؛ کیوں کہ آپ نے کہا ہے ”مستقبل میں ہونے والی بیوی“ جس کا مطلب یہ ہے کہ وہ عورت جس سے میں نکاح کروں گا اور وہ میری بیوی بنے گی“۔ اس لیے صورت مسئولہ میں نکاح کرتے ہی آپ کی ہونے والی بیوی پر ایک طلاق بائنہ واقع ہوجائے گی، البتہ قسم بھی پوری ہوجائے گی، اس کے بعد اسی عورت سے دوبارہ یا کسی اور عورت سے نکاح کرنے پر ہونے والی بیوی پر کوئی طلاق واقع نہ ہوگی، البتہ اگر پہلی عورت ہی سے نکاح کیا تو آپ کو صرف دو طلاق کا حق ہوگا، مکمل تین کا نہیں؛ کیوں کہ آپ کی جانب سے اس پر ایک طلاق واقع ہوچکی

والله اعلم بالصواب