আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

লিখিত তালাক

প্রশ্নঃ ১০৪৯০৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, স্বামী তার স্ত্রীকে তার অজান্তে তাকে না জানিয়ে কাজী সাহেবের কাছে তালাকের কাগজপত্র ঠিক করল এমনকি নোটিশের সাইনও করেছে। কিন্তু নোটিশ পাঠানোর আগে সে আবার বাতিল করে ফেলল। এখন তার কি তালাক হয়ে গিয়েছে? নাকি হয় নাই? একটু বিস্তারিত জানাবেন।,

২৯ মে, ২০২৫

GX৭৪+CGV

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

মুখে দিলে যেমনিভাবে তালাক হয় তেমনিভাবে তালাক লিখিতভাবেও হতে পারে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ

তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ্, তালাক ও রজয়াত। (আবু দাউদ ২১৯৪ তিরমিযি ১১৮৪)

ফকিহগণ বলেন,

إن الكتابة يقع بها الطلاق، ولو كان الكاتب قادرا على النطق، فكما أن للزوج أن يطلق زوجته باللفظ، فله أن يكتب إليها الطلاق. واشترط الفقهاء: أن تكون الكتابة مُستَبينةً واضحة. ومعنى كونها مستبينة أي واضحة بحيث تقرأ في صحيفة ونحوها، ومعنى كونها مرسومة: أي مكتوبة بعنوان الزوجة

নিশ্চয় লেখা দ্বারাও তালাক পতিত হয়। যদিও লেখক বলতে সক্ষম হয়। সুতরাং যেমনিভাবে স্বামী মুখে তালাক দিতে পারে, তেমনিভাবে লিখিতভাবেও দিতে পারে। তবে লিখিত-তালাকের ক্ষেত্রে ফকিহগণ শর্ত দিয়েছেন, লেখাটি বোধগম্য-স্পষ্ট হতে হবে। অর্থাৎ কাগজ বা এজাতীয় কিছুতে পরিষ্কার ভাষায় লিখতে হবে। পাশাপাশি নিজের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখতে হবে। (ফিকহুস সুন্নাহ ৩/১৬৫)

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
উক্ত ব্যক্তি যেহেতু তার স্ত্রীকে লক্ষ করেই তালাক লিখেছে এবং সেখানে সাইনও করেছে তাই এখানে তালাক পতিত না হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আর লিখে তালাক দেওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে তালাকের লেটার পাঠানোও জরুরী নয়। বরং স্বামী লিখলেই তালাক হয়ে যাবে। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার স্ত্রীও তালাক হয়ে গেছে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ: