কোন পণ্য ক্রয় করার পর পুনরায় ওজন করা আবশ্যক কিনা?
প্রশ্নঃ ৪৫১৮২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রশ্ন একটু লম্বা হওয়ায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! আমাদের এখানে এক প্রসিদ্ধ আলেম বলছে যে ব্যবসার মধ্যে যদি কোন কাস্টমার এসে বলে যে আমাকে এক কেজি লবন দেন। যদি দোকানদার এক কেজি ওয়ালা একটা প্যাকেট দিয়ে দেয় তাহলে নাকি জায়েজ হবে না, হারাম। এক কেজি বললে এক কেজিটা কাস্টমারের সামনে মেপে দিতে হবে। যদি বলে এক প্যাকেট দেন তাহলে নাকি মেপে দিতে হবে না। আর যদি কোন পন্য কোম্পানি থেকে ১০০ পিসের প্যাকেট আসে। কাস্টমার এসে যদি বলে যে আমাকে অমুক জিনিসটি ১০০ পিস দেন। আর দোকানদার যদি ১০০ পিসের একটা প্যাকেট দিয়ে দেয় তাহলে নাকি জায়েজ হবে না, হারাম। ১০০ পিস বললে নাকি ১০০ পিস কাস্টমারের সামনে গুনে দিতে হবে। বিষয়টা বিস্তারিত দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম। জাযাকাল্লাহ খাইরান!,
১৩ জানুয়ারী, ২০২৪
দলই নগর
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিষয়টি পুরোপুরি এমন নয়। বরং ফিকহের কিতাবে এ মাসআলায় মতভেদ আছে। তবে এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য মত হলো, ঐ ধরনের ক্রয় বিক্রয়ে সমস্যা নেই, জায়েয আছে। যে পণ্যের ওজন/পরিমাণ নির্দিষ্ট বা সকলের জানা আছে। (যেমন বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক প্যাকেটকৃত পণ্য) সেগুলোর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
তবে যে পণ্যের পরিমাণ/ওজন নির্দিষ্ট না, যেমন খোলা চাল বা ডাল ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে যদি ক্রেতার বিক্রেতার উপর আস্থা/বিশ্বাস থাকে তাহলে সমস্যা নেই। আর যদি ক্রেতার ওজনের উপর আস্থা/বিশ্বাস না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে বিক্রেতার সামানেই ওজন করে দেওয়া উচিত।
فيض الباري جـ3 صـ436-437
في «القُدُوري»: أن من اشترى مَكِيلا مُكَايَلَةً، أو مَوْزُونًا موازنةً، فاكْتَالَهُ، أو اتَّزَنَهُ، ثم باعه مُكَايَلَةً، أو مُوَازنةً لم يَجُزْ للمشتري منه أن يَبِيعَه، ولا أن يأكلَه حتى يُعِيدَ الكيلَ والوزنَ. اهـ. وظاهره وجوبُ الكَيْلِ ثانيًا، ولو كَالَهُ البائعُ بحضور المشتري أيضًا. إلا أن في «الهداية»: إن الكَيْلَ إن كان بعد الإِيجاب والقَبُول بحضرة المشتري، أَغْنَى عن كَيْلِهِ لنفسه ثانيًا، وإن كان بغَيْبَةٍ لا بُدَّ له من إعادة الكَيْلِ. وعلَّله باحتمال أن يَزِيدَ على المشروط، وذلك للبائع، والتصرُّفُ في مال الغير حرامٌ، فيجب له الكَيْلُ، لِيَحْتَرِزَ عنه، بخلاف ما إذا كَالَهُ بحضرته، لأن به يَصِيرُ البيعُ معلومًا.
قلتُ: وهذا غير متجهٍ عندي، لأنَّا لو اعتبرنا مثل هذه الاحتمالات، لَزِمَ أن لا يَجُوزَ التصرُّفُ فيما إذا كان بحضرته أيضًا. فإن الاحتمالَ لا ينقطع إلا إذا كَالَهُ هو بنفسه، بل لا ينقطع إذ ذاك أيضًا، فلا مُعْتَبَرَ به. فالذي يتبيّن أن المشتري إن اعتمد على كَيْلِ البائع، جاز له أكله بدون إعادة الكَيْلِ، سواء كان بحضرته، أو بِغَيْبَتِهِ.
أما قوله صلى الله عليه وسلّم «نهى عن بيع الطعام حتى يجري فيه الصَّاعَان: صاعُ البائع، وصاعُ المشتري»، رواه ابن ماجه، فقد حمله صاحب «الهداية» على تعدُّد الصَّفْقَتَيْنِ، وإن كان المُتَبَادَرُ منه أن يكونَ الصاعان فيه في صفقةٍ واحدةٍ. وتقريرُه: أن رجلا إذا اشترى طعامًا مُكَايَلَةً، واكْتَالَهُ بحضرة رجلٍ يُشَاهِدُه، فأراد الرجلُ أن يشتري منه ذلك الطعام، عليه أن يُعِيدَ الكَيْلَ على الحديث، لأنه صفقةٌ مستقلةٌ، فلا مُعْتَبَرَ بكَيْلِهِ - أي كيل بائعه، وهو المشتري الأول - بل عليه أن يَكِيلَه ثانيًا.
قلتُ: ولي فيه أيضًا نظرٌ، وهو: أنه إذا كان هناك ثالثٌ يُشَاهِدُ الكَيْلَ، فاشتراه، كفاه عن إعادة الكَيْلِ عندي، لأن المطلوبَ كون المبيع معلومًا، وقد حَصَل. نعم إن كَالَهُ يُسْتَحَبُّ له ذلك، فلا حاجةَ إلى تعدُّد الكيل في الصفقتين أيضًا.
ثم اعلم أن صاحبَ «الهداية» حمل حديث جَرَيَان الصَّاعَيْنِ على اجتماع الصفقتين، كما صوَّرْنا، وهو معنى قوله: إذا بِعْتَ فكِلْ، وإذا ابْتَعْتَ فاكْتَلْ. فالكيلان في صفقتين، كما في حديث ابن ماجه المارِّ آنفًا. وأمَّا إذا كانت الصَّفْقَةُ واحدةً، فلا حاجةَ إلى الكَيْلِ ثانيًا، بل كَفَاهُ كيل البائع إن كان بحضرته عند صاحب «الهداية»، وعندي مطلقًا إذا اعْتَمَدَ عليه. ومنهم من حمله على الصفقةِ الواحدةِ، فقال: إن المشتري إذا تصرَّف في الطعام الذي كَالَهُ البائعُ بحضرته، لم يَجُزْ لأجل هذا الحديث، وعليه أن يَكِيلَه ثانيًا، وهذا خطأٌ
تكملة فتح الملهم بشرح صحيح مسلم جـ 7 صـ344-345
والله اعلم بالصواب
উস্তাজ, ইদারাতুত্ তাখাসসুস ফিল উলূমিল ইসলামিয়া, আজিমপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
২৫২০২
আদম বা ভিসার ব্যবসা করার শরঈ বিধান
২৮ নভেম্বর, ২০২২
Kalnirchor West (Shommanpur)

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৭০০০
বাইয়ে সালামের নামে সুদের লেনদেন
১১ জানুয়ারী, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৪৬১১০
ভালো মার্কেটিংয়ের করে কোনো পণ্য সাধারন বাজার মূল্যের চেয়ে ৩/৪ গুন বেশি দামে বিক্রি করা
১৮ নভেম্বর, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে