আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দুর্গা পূঁজায় কেন বৃষ্টি হয়?

প্রশ্নঃ ৪৩৮৭২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমারা শুনেছি মহান আল্লাহ বৃষ্টি দেয় যখন উনি খুশি হয়। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মের দূর্গা পূজার সময় আমি খেয়াল করেছি বৃষ্টি হয়। তাহলে কি মহান আল্লাহ পূঁজাতে খুশি হয়?

২৪ অক্টোবর, ২০২৩
ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


(নাউজুবিল্লাহি মিন জালিকা)
সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতি বছর শরৎকালে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়। এই কারণে একে শারদীয় দুর্গোৎসবও বলা হয়ে থাকে।

দুর্গাপূজার নিয়ম অনুযায়ী, আশ্বিন মাসে প্রথম যে অমাবস্যা হবে, সেটির নাম মহালয়া। এরপরে যে চাঁদ উঠবে, সেই চাঁদের ষষ্ঠ দিনে দেবীর বোধন বা মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হবে।

আশ্বিন মাসে সাধারণত অল্প বিস্তর বৃষ্টি হতে দেখা যায়। এটা প্রতিবছরই হয়। দূর্গা পূজা যেহেতু বাংলা মাস হিসেবে অশ্বিন মাসে হয়ে থাকে তাই দুর্গাপূজায় সময় বৃষ্টি থাকে। এর অর্থ এই নয় যে, পূজার কারণে বৃষ্টি হয়। বরং পূজাটাই বৃষ্টির সময়ে আয়োজন করা হয়। অন্য করণ নাই। তাছাড়া সবসময় পূঁজার সময় বৃষ্টি হয় এই ধারণাও সঠিক নয়। বরং এমন বহু হয়েছে যে তারা যখন প্রতিমা নদীতে ডুবাতে গেছেন তখন প্রচন্ড রোদে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার উপক্রম!

“আল্লাহ তায়ালা খুশি হলেই বৃষ্টি দেন” যেহতু দূর্গা পুজায় বৃষ্টি হয়েছে কাজেই এখানেও আল্লাহ তায়ালা .... (নাউজুবিল্লাহ)

কথাটা এভাবে কুরআন হাদিসে কোথাও বিবৃত হয়নি। তবে বৃষ্টি আল্লাহর রহমত সেটা ভিন্ন কথা। বিষয়টা নিয়ে এরচে ভাবার প্রয়োজন নাই। আরো ভাবা মানে হলো, সময় নষ্ট করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাহিহ বুঝ দান করুন। আমিন।
(তথ্য সংগ্রহ বিবিসি বাংলা)

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩১০৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় শাইখ আমি অনেক দিন হলে একটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করতাছি কিন্তু আমি এটার উত্তর এখনো বের করতে পাচ্ছি না তা হলো,
আমাদের দেশের কিছু সুন্নিরা বলে থাকে আমাদের নবী (সাঃ) গায়েব জানতেন কিন্তু এ ব্যাপ্যারে আমি কোরআন বা হাদিসে আস পর্যন্ত কোন দলিল পাই নাই। বরং কোরআন হাদিসে অন্য কথা বলা আছে।
যেমনঃ
মহান আল্লাহ বলেন,
(হে নবী) আপনে বলুন আসমান আর জমিনে যা কিছু আছে এর গায়েব এক মাত্র আল্লাহ জানেন...( সূরা নমল আয়াতঃ ৬৫)
এ ছাড়াও আরও বলা আছে ( সূরা আরাফ আয়াতঃ ১৮৮ এবং সূরা আহক্বাফ আয়াতঃ ৯) তা ছাড়াও সুন্নিদের এ কথা খ্রিষ্টানদের বাইবেলের বিরুদ্ধে যাই ( যে নবী (সাঃ) গায়েব জানতেন)
যেমনঃ ডঃ আহমেদ দিদাত, ডঃ জাকির নায়ক, ও ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার বাইবেলের একটা অনুছেদ ব্যাখ্যা করে খ্রিষ্টানদের বুঝাতে চেয়েছিলেন বা চাচ্ছেন তা হলো ( দ্বিতীয় বিবরন ১৮ অধ্যায় এর ১৮ নাংঃ অনুঃ... বলা হয়েছে আমি মূসার মতো/সদৃশ তার ভাইকে পাঠাবো ভাববাদী হিসাবে) এখন সুন্নিরা যদি বলে যে নবী সাঃ গায়েব জানতেন তা হলে এটা বাইবেলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারন খ্রিষ্টারা বলে এখানে যীশুর কথা বলা হয়েছে কিন্তু না কারন এ খানে বলা হয়েছে সে হবে মূসার সদৃশ আর মূসা আঃ সাধার মানুষ ছিলেন আর খ্রিষ্টনরা বলে যীশু/ঈসা আঃ ছিলেন ঈশ্বর তা হলে যীশু কখনোই মূসার মতো না বরং নবী সাঃ মূসার সদৃশ কারন তারা দুজনেই সাধারন মানুষ। কিন্তু সুন্নিরা যখনি বলতাছে নবী সাঃ গায়েব জানতেন তখনি এ কথা বাইবেলের বিরুদ্ধে যাচ্ছে কারন মূসা আঃ গায়েব জানতেন না। এটা অনেক কাহিনি আমি ঐ দিকে যেতে চাচ্ছি না। আর যারা বলে যে নাবী সাঃ গায়েব জানতেন আমি আশা করি তারা শিরক করেছে সে যতই বড় আলেম হোক না কেন কারন
মহান আল্লাহ বলেন
( অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে.. সূরা ইউসুফ আয়াতঃ ১০৬)
আমার বিশ্বাস তারা যদি নতুন করে তাওবা করে ইমান না আনে তা হলে তারা মুশরেক অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে, এ ব্যাপ্যারে আপনার মতা মত জানাবেন প্রিয় শাইখ...........
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২৯ জানুয়ারী, ২০২২
গাবতলী