আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৯০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় শায়েখ,আমার এক ছোট বোন প্রেম করে বিয়ে করেছিলো। বিয়ের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিল না। কিন্তু বন্ধু এবং প্রাপ্তবয়স্ক পরিচিতরা ছিলেন। বিয়ে সম্পুর্ন ইসলাম মেনেই হয়েছিল। প্রসংগত ছেলেটা হিন্দু ছিল বিয়ের আগে সে কলেমা পরে রেজিস্ট্রার করে মুসলিম হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর পারিবারিক কথা বিবেচনায় ছেলেটা মেয়েটিকে ছেড়ে বিদেশ চলে যায়। যাওয়ার আগে বিয়ের ডকুমেন্টস ছিড়ে ফেলে কিন্তু মুখে তালাক দেয়নি। তারপর সেই ছেলে আবার হিন্দু রীতিমত বিয়ে করে সংসার করে। এবং তার প্রায় দুই বছর পর মেয়েটার বিয়ে হয়। এক্ষেত্রে মেয়েটার বিয়েটা কি সঠিক? না হলে কিভাবে কি করতে হবে?

৮ ডিসেম্বর, ২০২০
MD ২১২২৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আপনার ঐ ছোট বোনের প্রথম বিবাহ শুদ্ধ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে (বিস্তারিত বর্ননা পেলে মাসআলা সহজ হত)। প্রথম বিবাহ শুদ্ধ হলেও পরবর্তীতে ঐ ছেলে যেহেতু হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী আরেকটি বিবাহ করেছে, সেহেতু সে পূর্বের ধর্মে ফিরে গেছে। (যদি ধরে নেয়া হয় তার প্রথম বিবাহের সময় ইসলাম গ্রহণ সঠিক ও বাস্তব ছিল)
এমতাবস্থায় সে মুরতাদ। ইসলাম ছেড়ে মুরতাদ হলে তার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পূর্বের স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইদ্দত শেষে অন্যত্র বিবাহ বসতে স্ত্রীর জন্য কোনো বাধা নেই।
অতএব আপনার ছোট বোনের দ্বিতীয় বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الشَّہۡرِ الۡحَرَامِ قِتَالٍ فِیۡہِ ؕ قُلۡ قِتَالٌ فِیۡہِ کَبِیۡرٌ ؕ وَصَدٌّ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَکُفۡرٌۢ بِہٖ وَالۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ٭ وَاِخۡرَاجُ اَہۡلِہٖ مِنۡہُ اَکۡبَرُ عِنۡدَ اللّٰہِ ۚ وَالۡفِتۡنَۃُ اَکۡبَرُ مِنَ الۡقَتۡلِ ؕ وَلَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ وَمَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَیَمُتۡ وَہُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ۚ وَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
(আল বাকারা - ২১৭)
সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন