আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অন্য ধর্মের মানুষের সাথে থাকা খাওয়ার বিধান

প্রশ্নঃ ৩৫৫০৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি পড়ালেখার জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকি।এক্ষেত্রে আমরা আমার প্রতিষ্ঠান এর কয়েকজন এর সাথে বাসা ভাড়া করে থাকি।সমস্যা হলো এদের মধ্যে একজন অন্য ধর্মের।তার সাথে থাকার ব্যাপারে শরিয়তের বিধান কি? আমাদের খাবার কেনার সময় তার টাকা থাকে,আবার অনেক সময় সে বাড়ি থেকে ফলমূল, পিঠা বা অন্যান্য খাদ্য আনে।ওইগুলো খাওয়ার ব্যাপারেই বা শরিয়তের কি আদেশ?,

২৪ জুন, ২০২৩

চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

অন্য ধর্মের মানুষরাও আল্লাহর বান্দা।তাদের সাথে ভালো আচরণও ইসলামের শিক্ষা। অযথা তাদের সঙ্গে মন্দ আচরণ করা ইসলাম কামনা করে না। তাই যথাসাধ্য তাদের সাথে উত্তম আচরণ পেশ করতে হবে। এতটা সহায় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে যে, আমাদের আখলাক দেখে যেন তারা মুসলমান হতে আগ্রহ বোধ করে। তবে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা নিষেধ। অন্তর থেকে তাদেরকে ভালোবাসা যাবে না। যদি কোনো প্রয়োজনে একসঙ্গে থাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে একই রুমে থাকা জায়েজ আছে। কিন্তু লাগাতার ওঠাবসা করতে থাকলে তাদের ধর্মের প্রতি আমাদেরও মন আকৃষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের সংস্পর্শ থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকা উচিত। তারা যেসব খাবার-দাবার দিয়ে থাকে, যদি তার মধ্যে কোন ধরনের নাপাকি না থাকে, তাহলে সেই খাবার খাওয়া জায়েজ আছে। ঠিক তেমনি ভাবে একই পাত্রের মধ্যে খানা খাওয়াও জায়েজ আছে। তার টাকা হালাল হলে ঐ টাকার খাবার খেতেও কোনো সমস্যা নেই।

فتاوی دارالعلوم کراچی
صورت مسئولہ میں آپ کے ساتھ رہنے والے ہندوؤں کے ساتھ کھانے پینے سے متعلق حکم یہ ہے کہ اگر ہندو کے ہاتھ اور منہ پر ظاہری نجاست نہ لگی ہو اور کھاناحلال ہو، اور برتن بھی پاک ہو، تو ان کے ساتھ ایک برتن میں کھانا کھانے میں کوئی قباحت نہیں ہے، لیکن اس پر مداومت اختیار کرنا یعنی اس کی عادت بنالینا مناسب نہیں ہے، البتہ اگر ان کے ساتھ اٹھنے بیٹھنے سے دینی حمیت ختم ہونے کا اندیشہ ہو، تو پھر ایسے کفار سے میل جول رکھنے اور ان کے ساتھ کھانے پینے سے احتیاط کرنا لازم ہے۔

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

প্রসঙ্গসমূহ: