আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৪৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজের ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব, এবং নফল নামাজ বাদ দিলে কোন টার জন্য কি ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে?কারন অনেকেই সুন্নত নামাজ ছেড়ে দেন এবং তা অত্যাবশ্যকীয় নয় বা গুনা হবে না বলে ধারণা করেন।এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা চাচ্ছি রেফারেন্স সহ।ধন্যবাদ

৪ নভেম্বর, ২০২০
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হুকুমের দৃষ্টিকোণে নামাজের চারটি স্তর রয়েছে। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ও নফল।
১. ফরজ নামাজ আল্লাহ তাআলার অলঙ্ঘনীয় বিধান। কোন অবস্থাতেই তা ছাড়া যাবে না। ফরজ নামাজ ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেয়া কুফরীর নামান্তর।
হাদীস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দিল, সে কুফরি পর্যায়ের গুনাহ করল।
২. বিতির নামাজ সংরক্ষণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশ করেছেন।
এছাড়া ইমামদের মতে বিতির নামায না পড়া হলে একমাস পরে হলেও কাযা করতে হবে।
৩. সুন্নত ও নফলের গুরুত্ব অপরিসীম। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা ফরজ নামাজে কোন ত্রুটি পেলে ফেরেশতাদেকে নির্দেশ দেবেন সুন্নত ও নফল থেকে তা পূরণ করতে।
বিশেষ কোনো কারণে সুন্নত নামাজ না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে না। তবে লাগাতার সুন্নত নামাজ না পড়া সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা বুঝায়। আর সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা করা কবিরা গুনাহ।

عَنْ أَنَسِ بْنِ حَكِيمٍ الضَّبِّيِّ قَالَ : خَافَ مِنْ زِيَادٍ - أَوِ ابْنِ زِيَادٍ - فَأَتَى الْمَدِينَةَ، فَلَقِيَ أَبَا هُرَيْرَةَ ، قَالَ : فَنَسَبَنِي فَانْتَسَبْتُ لَهُ، فَقَالَ : يَا فَتَى، أَلَا أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا ؟ قَالَ : قُلْتُ : بَلَى رَحِمَكَ اللَّهُ. قَالَ يُونُسُ : وَأَحْسَبُهُ ذَكَرَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : " إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ النَّاسُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ أَعْمَالِهِمُ الصَّلَاةُ ". قَالَ : " يَقُولُ رَبُّنَا جَلَّ وَعَزَّ لِمَلَائِكَتِهِ، وَهُوَ أَعْلَمُ : انْظُرُوا فِي صَلَاةِ عَبْدِي أَتَمَّهَا أَمْ نَقَصَهَا ؟ فَإِنْ كَانَتْ تَامَّةً كُتِبَتْ لَهُ تَامَّةً، وَإِنْ كَانَ انْتَقَصَ مِنْهَا شَيْئًا قَالَ : انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ ؟ فَإِنْ كَانَ لَهُ تَطَوُّعٌ قَالَ : أَتِمُّوا لِعَبْدِي فَرِيضَتَهُ مِنْ تَطَوُّعِهِ. ثُمَّ تُؤْخَذُ الْأَعْمَالُ عَلَى ذَاكُمْ ".
সুনানু আবী দাউদ ৮৬৪

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِنَّ اللَّهَ زَادَكُمْ صَلَاةً، فَحَافِظُوا عَلَيْهَا، وَهِيَ الْوِتْرُ ".
মুসনাদ আহমাদ ৬৯১৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ تَرْكُ الصَّلَاةِ، فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ".
মুসনাদ আহমাদ ২৩০০৭

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন